করোনা সংক্রমণ রোধে ১১ দফা স্বাস্থ্য গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধ না মানলে সামনে লকডাউন আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন ও ডায়ালাইসিস ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাত্রই ১১ দফার একটি কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছি। আমরা জনসাধারণকে এই নির্দেশনা মানতে আহ্বান করবো।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্দেশনা মানলে দেশে লকডাউনের প্রয়োজন হবে না। কারণ লকডাউন দিলে দেশের ক্ষতি, মানুষের ক্ষতি। নির্দেশনা না মানলেই লকডাউন দেওয়ার চিন্তা রয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা এখন ঊর্ধ্বমুখী, গতকাল ৪ হাজার ৪০০ মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন যে হারে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে তা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি সমীক্ষায় দেখেছি, আক্রান্ত যদি আড়াই হাজার হয়, সেখানে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ২-৩ শতাধিক রোগী। এর মধ্যে ১ শতাংশ রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন হচ্ছে বর্তমানে। এভাবে রোগী ও সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে হাসপাতালে জায়গা হবে না।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বেশিরভাগ লোকই মাস্ক ছাড়া; রাস্তাঘাটে অনেক লোককেই দেখা যা মাস্ক ছাড়া- এটা খুবই দুঃখজনক। তবে আশার আলো হলো, এখন অনেক লোক মাস্ক পরে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যাবে। তবে করোনা আক্রান্তের হাত থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে যাতে আমরা সংক্রমিত না হই। টিকা করোনা সংক্রমিত ঠেকাতে পারে না, কিন্তু মাস্ক করোনা সংক্রমিত ঠেকাতে পারে।
এ সময় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রমজান আলী, যুগ্ম-সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।