সুস্থ্যতায় গাজরের ব্যবহার- আহার্য্য–০১

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে একটি মজার ঘটনা শেয়ার করব। জানেন, গত কিছুদিন আগে এক আত্মীয়ের মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত খেতে গেলাম। তো সবার মতো করে আমিও ভদ্রচিত্তে খেতে বসলাম। একজন এসে প্লেটে ভাত দিল, তার পিছন পিছন আরেক ছোকরা শসা, গাজর, পেয়াজ- কাচা মরিচ দিয়ে গেলো। আরেহ্, ভাত দিতে না দিতেই কি সব জিনিস পাতে দিয়ে গেলো। এরপর এলো সবজি নিয়ে একজন। সবজির মধ্যে পিচ পিচ করে লাল লাল কি যেন, হাত দিয়ে চাপ দিলাম তো গলে গেলো মুখে নিলাম। বাহ্ হালকা মিষ্টি সাথে ঝাল- যেন টক- ঝাল- মিষ্টি এরই নাম টেস্টির মতো অবস্থা। পরে বুঝলাম এটা গাজর।

সন্ধ্যায় বরপক্ষ এলো, বেশ কয়েকজন উঠতী তরুনী বরের গেট আটকিয়ে কিসের কিসের শরবত পান করালো। শরবত পানে বর লালচে রঙের শরবত দেখে ইতস্ততবোধ করলো। কে যেন বলে উঠলো, পাত্রসাহেব ওটা মরিচ গুঁড়ার শরবত না ওটা গাজরের শরবত। হায় খোদা! আমি তো থতমত খেয়ে গেলাম গাজরের ততধিক ব্যবহার দেখে। তাই ভাবলাম এই গাজরের গুজরাটি নিয়ে আপনার সাথে কিছু আলাপ-সালাপ করি।

◾রাতকানা রোগ প্রতিরোধে গাজর
গাজর খেলে যেসব উপকার তার মধ্যে অন্যতম একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। যদি প্রশ্ন করেন- চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে চাই? প্রতুত্তর হবে- নিয়মিত গাজর খাই। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে যা আপনার চোখের জন্য অতীব জরুরি একটি উপাদান। গাজরে থাকা বিপুল পরিমাণ বেটা ক্যারোটিন লিভারে গিয়ে ভিটামিন-এ’তে রূপান্তরিত হয়। বেটা ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি রাতকানা রোগ, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখাসহ প্রভৃতি সমস্যার সৃষ্টিতে বাধাদান করে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে নিয়মিত গাজর খাওয়ার বিকল্প নেই।

◾শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে: গাজর
গাজর মানব দেহে অসাধারণ শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। বলা হয়- গাজর একটি শক্তিশালী সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ১৭৩ কিজু, শর্করা, ৯৬ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, প্রোটিনসহ নানান কার্যকরি উপাদান। যা শরীরে শক্তি যোগাতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে ও শরীরকে দুর্বলতার হাত থেকে রক্ষা করে। গাজর বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়, সালাদ বানিয়ে, রান্না করে, জুস বানিয়ে অথবা গোটা গাজর। যেইভাবে হোক, নিয়মিত গাজর খাওয়ার অভ্যেস করুন।

◾ দাঁত সুস্থ রাখে…
সুস্থ, মজবুত মাড়ি ও সুন্দর দাঁত পেতে চাইলে আজকে থেকেই নিয়মিত গাজর খাওয়া শুরু করুন। রান্না অথবা জুস করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা সালাদ বা গোটা গাজর খেতে পারলে আরো ভালো। আপেল ও পেয়ারা যেমন দাঁতের মাড়ি মজবুত ও শক্ত রাখে গাজরও তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এটি চিবানোর সময় খুব সহজেই দাঁতে জমে থাকা প্ল্যাক ও অন্যান্য খাবার সরিয়ে নিতে পারে। ফলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সুযোগ একটা কমে গেলো। এর মিনারেলগুলো দাঁতকে সুস্থ- সুন্দর ও ঝকঝকে সাদা এবং মাড়ি মজবুত রাখতে সহায়তা করে। তাই প্রত্যেকেরই নিয়মিত কমপক্ষে ২/৩টা করে গাজর খাওয়া উচিত।

প্রিয় বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই। বাকি আলোচনা পরবর্তী অংশে হবে। ইনশাআল্লাহ

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *