আমাদের আধুনিক জীবনের এক নতুন অনুষঙ্গ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে রয়েছে—ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, পিন্টারেস্ট, টাম্বলার, টুইটার, ভাইবার, ইউটিউব, হোয়াটসআ্যাাপ, ইমো, স্ন্যাপচ্যাট, উইচ্যাট ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও অগ্রপথিক হচ্ছে ফেসবুক। সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে এযাবৎকালে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় আসক্তির নাম ফেসবুক। ঝঃধঃরংঃধ-র এপ্রিল ২০২১-এর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৯০ কোটির অধিক। আর বাংলাদেশে এই সংখ্যা চার কোটি ১০ লাখ। ফেসবুক এখন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র তথা ব্যক্তিগত সম্প্রচার মাধ্যম। সাধারণ মানুষ চাইলেই কোনো মেইন স্ট্রিম গণমাধ্যমে দ্রুত কিছু প্রচার-প্রদর্শন করতে পারেন না। কিন্তু ফেসবুকে তা সম্ভব। ফেসবুকের কল্যাণে সামাজিক যোগাযোগের মাত্রা অতীতের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ মানবীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক দূরত্বকে জয় করে নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। ব্যক্তিগত যোগাযোগের পাশাপাশি নতুন একটি প্রবণতা লক্ষণীয়। তা হলো ফেসবুক ব্লগিং।
সমসাময়িক রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য ও সামাজিক বিষয় নিয়ে আগে ব্যবহারকারীরা যা ব্লগে লিখতেন, তা এখন ফেসবুক স্ট্যাটাসেই লিখছেন। এই স্ট্যাটাস নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক হচ্ছে। নাগরিকদের নিজেদের ভাবনা-চিন্তা তুলে ধরার ক্ষেত্রে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় নাগরিকরা কোন ইস্যুকে প্রাধান্য দিচ্ছে তা প্রতিফলিত হচ্ছে এই মাধ্যমে। জনমত গঠনে ও সচেতনতা সৃষ্টিতেও ফেসবুকের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। বেশ কিছু ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সক্রিয় হয় আমাদের মেইন স্ট্রিম মিডিয়া। ত্বরিত আইনগত ও বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাষ্ট্র, সরকার। উদাহরণস্বরূপ, সিলেটে শিশু রাজন হত্যার ক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে। আর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কথা তো সবারই জানা। পড়াশোনা, সমাজসেবা, রক্তদান, সামাজিক ক্যাম্পেইন, সৃজনশীল কাজ এবং ব্যবসার জন্যও ফেসবুক ব্যবহার করছেন অনেকে। ফেসবুক অর্থনীতি এখন বিশাল অঙ্কের। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকে ভালো উপার্জন করছেন।
ফেসবুক প্রধানত পারস্পরিক যোগাযোগ, জনমত তৈরি, সমাজসেবামূলক, সৃজনশীল ও ব্যাবসায়িক-অর্থনৈতিক কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হলেও নানা নেতিবাচক ও অপরাধমূলক কাজে এর ব্যবহারও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকের কারণে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণায় প্রকাশ, ফেসবুকে নগ্ন ছবি-ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়, নারীদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করা হয় এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। কুরুচিপূর্ণ ছবি প্রকাশ করে কাউকে হেনস্তা করা, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানো নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। মতাদর্শগতভাবে পৃথক গ্রুপগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। অশ্লীল, কুরুচিকর মন্তব্য, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল, বানোয়াট কিংবা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও সম্মানহানিকর মন্তব্য প্রকাশ করা হচ্ছে, এমনকি হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ করে নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার মাবিং বা সাইবার বুলিংয়ের নিত্যনতুন ভয়াবহ অভিযোগ আসছে। এসবের মধ্যে রয়েছে অন্যের ছবিতে ছবি জুড়ে দেওয়া (সুপার ইম্পোজ) এবং পর্নোগ্রাফি। ইউটিউব ও বিভিন্ন সাইটে এসব পর্নোগ্রাফি ও ছবি ‘আপলোড’ করার হার বেড়েই চলেছে। নারী অভিযোগকারীদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ফেসবুকের চ্যাট বা ভিডিও চ্যাটের ছবি একটু এদিকে-ওদিক করে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিডিওচিত্র দ্রুত ইউটিউবে অথবা বিভিন্ন পর্নো সাইটে শেয়ার করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী নারীর পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পর দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করতে গিয়েও দেখা যায় যে এর মধ্যেই কয়েক হাজারবার শেয়ার হয়ে গেছে। তখন ফেসবুকে রিপোর্ট করেও কাজ হয় না। গুগলও আগ্রহী নয় এসব মুছে ফেলতে। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠছে। নারীদের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ ছাড়াও আছে ফেসবুক আইডি হ্যাক, ই-মেইল আইডি হ্যাক, বিভিন্ন ধরনের পর্নো সাইট বা ব্যক্তিগত ছবি পর্নো সাইটে ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও। এ ছাড়া তরুণরা ফেসবুক ব্যবহার করে তরুণীকে প্রেমের কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে। ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ কিংবা ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের অভিযোগও আসছে।
জঙ্গি সংগঠনগুলো অনেক দিন ধরেই তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও নিজেদের সংগঠিত করা ও নতুন সদস্য রিক্রুট করার কাজে ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছে। নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর প্রথম উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপসকে। এমনকি নাশকতা-হত্যা-সন্ত্রাসের পর তার কথা জানান দিতে ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে হত্যার কথা জঙ্গিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই প্রকাশ করে।
আতঙ্কের বিষয় হলো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলাদেশে ভয়ংকর সব অপরাধ বাড়ছে। জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও মানবপাচার কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয়, এতে জড়িয়ে পড়ছে আমাদের কিশোর-তরুণরা। সম্প্রতি সংঘবদ্ধভাবে এক নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভারতের ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের একজন ‘টিকটক হৃদয়’ নামে পরিচিত এ ভি হৃদয়। পুলিশি জেরায় বেরিয়ে এসেছে, টিকটক অ্যাপে কাজ করার প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারের অপরাধ করে আসছিল ধর্ষক হৃদয় ও তার দল। টিকটক ভিডিও করার আড়ালে হৃদয় ও তার দল একটি সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্র হিসেবে কাজ করত।
হৃদয়ের গ্রুপের ‘বস রাফি’ আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছে, দুই বছর আগে টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে রাফির পরিচয় হয়। এরপর টিকটক হৃদয়ের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক তরুণীকে ভারতে পাচার করে সে। সম্প্রতি আরেকটি সংঘবদ্ধ অনলাইন অপরাধীচক্রের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। এই চক্রটি ‘স্ট্রিমকার’ নামে একটি জুয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের বাইরে টাকা পাচার করে আসছিল। তারা এই জুয়ায় বিটকয়েনসহ আরো কিছু অনলাইন মুদ্রা ব্যবহার করত। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, চরম সহিংস ও ভয়ংকর আসক্তসৃষ্টিকারী পাবজি গেমের ইন অ্যাপ পারচেজে মাসে অন্তত ৭০ থেকে ৯০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা, যৌন হয়রানিসহ আরো কিছু অপরাধ বাংলাদেশে আগে থেকেই চলছে। কিন্তু নতুন ধরনের এই অপরাধ শঙ্কার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা একা নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অ্যাপসে অপরাধীদের নানা ধরনের গ্রুপ রয়েছে। তদন্তে সেসব গ্রুপের নাম বেরিয়ে আসছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ভয়ংকর মাদক এলএসডির সন্ধান পেয়েছে। এই মাদকের বিষয়ে যোগাযোগও চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফেসবুকে এই মাদক সেবন ও সরবরাহকারীদের একাধিক গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিছুদিন আগে অনলাইন পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা পর্নোগ্রাফির বাজার গড়ে তুলেছিলেন উন্নত বিশ্বে। নানা প্রলোভন আর বন্ধুত্বের আড়ালে তাঁরা পর্নোগ্রাফি তৈরি করতেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া অপরাধ ঠেকাতে পুলিশি নজরদারি ও ব্যবস্থা গ্রহণই যথেষ্ট নয়। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, অপরাধের সঙ্গে জড়িত গ্রুপগুলো চিহ্নিত করে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করার পর ভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছে অপরাধীরা। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিভিন্ন অ্যাপস বন্ধের প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে। অ্যাপস বন্ধ করা যেমন কঠিন, তেমনি সেগুলো নিষিদ্ধ করেও লাভ নেই। নিষিদ্ধ করে ব্যবহার ঠেকানো যায় না। নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে অপরাধীরা অপরাধ চালিয়ে যায়। তাই ব্যবহারকারীদের নীতি ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ফেসবুকের নেতিবাচক দিক বর্জন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদের কথা, বিশেষ করে এসব প্রলোভন-প্রতারণার শিকার হলে কী ভয়ংকর পরিণতি হতে পারে সে বিষয়ে টেলিভিশন, রেডিও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, বিশেষ করে গার্মেন্ট কারখানা, বস্তি এলাকায় সচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা আবশ্যক।
সন্তানদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরাধে জড়িত হওয়া ঠেকাতে অভিভাবকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ছেলে-মেয়েরা কী পরিমাণ সময় ব্যয় করছে ফেসবুকে, পর্নোসাইট ভিজিট করছে কি না, পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে কি না, আচরণে পরিবর্তন এসেছে কি না সে বিষয়ে নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে। সন্তান যে গ্যাজেটটি ব্যবহার করছে তার প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অন করে দিতে হবে। ফলে সন্তান যদি কোনো নিষিদ্ধ অ্যাপ ব্যবহার করে, সাইটে ঢোকে বা গ্রুপে তৎপর হয় তাত্ক্ষণিকভাবে তিনি তার নোটিফিকেশন পাবেন। সবচেয়ে বড় কথা মা-বাবাকে সন্তানের সঙ্গে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তাদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে, যাতে তারা বিচ্ছিন্নতাবোধ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আশ্রয় না খোঁজে।
অনিয়ন্ত্রিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু দেশে চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রফাইল, স্ট্যাটাস, শেয়ার ইত্যাদি বিবেচনা করা হচ্ছে। বেলজিয়ামের Ghent University-i Professor Stijn Baert এক জরিপে দেখিয়েছেন, ফেসবুকে যাঁদের প্রফাইল ছবি বিতর্কিত, তাঁরা নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ডাক পাননি। নিয়োগকারী সংস্থা অনেক সময় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড নিয়ে ফেসবুক পরীক্ষা করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের ফেসবুক কমেন্ট, স্ট্যাটাস ইত্যাদি কোনো কলেজের নীতিমালা বা মূল্যবোধের পরিপন্থী হলে ওই কলেজে সে ভর্তির সুযোগ পাবে না। আগে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, অতীত একাডেমিক ফলাফল, পাঠক্রমবহির্ভূত কার্যক্রম ইত্যাদি বিবেচনা করা হতো। এখন সময় বদলেছে, অনেক দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ভর্তির সময় ভর্তীচ্ছুদের ফেসবুক প্রফাইল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আমাদের দেশেও অদূর ভবিষ্যতে চাকরি ও ভর্তির ক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়