সব সময় ক্লান্ত, অলস ও নির্জীব লাগার কারণ

ক্লান্ত, নির্জীব বা আলসেমি লাগার অনেক ধরনের কারণ থাকতে পারে।সারা দিন ঝিমুনি, অবসন্নভাব, কাজে অনিহা ইত্যাদি ক্লান্ত থাকার লক্ষণ। পুষ্টির ঘাটতি, ব্যায়াম না করা, পানিশূন্যতা ইত্যাদি কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও বিশ্রামের মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।সবসময় ক্লান্ত থাকার কিছু কারণ নিম্নে দেওয়া হলো:

১.পানিশূন্যতা:পানিশূন্যতা ক্লান্তি ও অবসন্নভাব বাড়ায়। সামান্য পরিমাণ পানিস্বল্পতা হলেও শরীরে ক্লান্তিভাব হয়। তাই ক্লান্তিভাব কমাতে দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পাশাপাশি খাওয়া যেতে পারে ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি।

২.হতাশা ও বিষণ্নতা:কোনো কিছু নিয়ে গভীর হতাশা অথবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও বিষণ্নতায় উদ্ভব হতে পারে।এমন হলে আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলে উচিত।তার পরামর্শ মতো চললে সমাধান পাওয়া সম্ভব।

৩.ঘুমের সমস্যা:কম ঘুমানোর ফলে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়।এমনকি ঘুম একটু কম হলেও এটি মেজাজ ও স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

৪.নিয়মিত ব্যায়াম না করা:নিয়মিত ব্যায়াম না করা ক্লান্ত লাগার একটি অন্যতম কারণ। তবে ২০০৮ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়,ব্যায়ামের মাধ্যমে ৬৫ ভাগ ক্লান্তি দূর হয়।তাই ক্লান্তি দূর করতে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা উচিত।

৫.গরম ও অসুস্থতা:দীর্ঘ সময় ধরে উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে থাকলে ক্লান্ত অনুভূত হতে পারে। ফলে মাথা ব্যথা ও দুর্বলভাব দেখা দিতে পারে। একইভাবে অসুস্থ থাকলেও ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব শক্তির স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তাই এসব লক্ষণকে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৬.অতিরিক্ত শরীরচর্চা:কোনো নিয়ম না মেনে একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় ধরে শরীরচর্চা করলে ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। এ জন্য কিছুক্ষণ করে বিরতি নিয়ে শরীরচর্চা করা উচিত

৭.ব্লাড সুগারের ওঠানামা:ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামার কারণেও এমন শারীরিক ক্লান্তি তৈরি হতে পারে। ডায়াবেটিসের অনেক উপসর্গের মধ্যে প্রায়ই শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, ক্লান্তিতে নেতিয়ে পড়া অবস্থাও একটি। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা দরকার। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে সহজেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৮.লৌহ ও পুষ্টির ঘাটতি:শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলেও ক্লান্তিভাব হয়।ক্লান্তিভাব কমাতে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ ও ম্যাগনেসিয়াম রাখা উচিত।গর্ভবতী ও পিরিয়ড চলাকালীন লৌহের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়। তাই এই সময়ে বেশি করে শাক সবজি ও সালাদ খাওয়া প্রয়োজ়ন।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *