শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে

গ্যালারিতে ওঠার সিঁড়িতে বেড়ে উঠেছে আগাছা। চেয়ারগুলো রোদ-বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে ভেঙে গেছে। মিডিয়া বক্স, ইলেকট্রনিক্স স্কোর বোর্ড, প্যাভিলিয়ন ভবন, সাইড স্ক্রিন সব কিছুই ভঙ্গুর অবস্থায়। এমন দৈন্যদশা দেখে যে কেউ অনায়াসে বলে উঠবে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি দেশের সপ্তম টেস্ট ভেন্যু। খুলনা-যশোর মহাসড়কের বৈকালী ও মুজগুন্নী এলাকার মধ্য সীমানায় অবস্থিত স্টেডিয়ামে সরেজমিনে গিয়ে এমন ভগ্নদশা দেখা গেছে।

২০০৪ সালে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়। ওই বছরই আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের কিছু খেলা এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার অনুমোদন পায়। ওই বছরই প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঠে সবশেষ টেস্ট হয়েছিল ২০১৫ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবশেষ হয়েছে ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারিতে। জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ সিরিজের চারটি টি-টোয়েন্টিই হয়েছিল এখানে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক নানা প্রতিযোগিতা, সবই হয়েছে এখানে। ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্টেডিয়াম। কিন্তু এরপর ৫ বছরে স্টেডিয়ামের কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ফলে দিনে দিনে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেডিয়াম আরও জরাজীর্ণ হয়েছে। গ্যালারি, মিডিয়া বক্স, সাইড স্ক্রিন, হসপিটালিটি বক্স সবই যেন ধ্বংসস্তূপ। সেই ঝড়ের ক্ষত চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে এখনও স্টেডিয়ামটি। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হওয়া ৩টি টেস্ট, চারটি ওয়ানডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সবগুলোতেই ছিল গ্যালারি পরিপূর্ণ দর্শক। সবগুলো ওয়ানডে খেলার জয়ের তকমাও আছে এই লাকি ভেন্যুর গায়ে। টাইগারদের কখনও খালি হাতে ফেরায়নি স্টেডিয়ামটি। অথচ দীর্ঘ ৫ বছর খেলা নেই এই ভেন্যুতে। ফলে ক্ষুব্ধ এ অঞ্চলের ক্রিকেটপ্রেমী ও সংশ্লিষ্টরা।

অনেকে আক্ষেপ করে বলছেন, আন্তজার্তিক ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামকে ‘বিকল্প ভেন্যু‘ হিসেবে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপদে না পড়লে খুলনায় কখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেনি বিসিবি। এখন তাও করছে না। খুলনা বিভাগকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঊর্বর ভূমি বলা হয়। এ অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে দেশের অধিকাংশ তারকা ক্রিকেটার। অথচ সেই খুলনা বিভাগের স্টেডিয়ামই উপেক্ষিত। তারা অবিলম্বে মাঠ সংস্কার করে আন্তর্জাতিক ম্যাচের দাবি জানান।

স্টেডিয়ামের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোল্লা খায়রুল ইসলাম রংপুর ডেইলীকে বলেন, শুধু স্টেডিয়ামের মাঠটা ভালো আছে। বাকি সবকিছু ব্যবহারের অনুপযোগী। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ এখানে আয়োজন করা যাবে না। আমরা খুলনার মানুষ চাই এ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ভেন্যু ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল

স্টেডিয়ামের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোল্লা খায়রুল ইসলাম রংপুর ডেইলীকে বলেন, শুধু স্টেডিয়ামের মাঠটা ভালো আছে। বাকি সবকিছু ব্যবহারের অনুপযোগী। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ এখানে আয়োজন করা যাবে না। আমরা খুলনার মানুষ চাই এ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ভেন্যু ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল

স্টেডিয়ামের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোল্লা খায়রুল ইসলাম রংপুর ডেইলীকে বলেন, শুধু স্টেডিয়ামের মাঠটা ভালো আছে। বাকি সবকিছু ব্যবহারের অনুপযোগী। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ এখানে আয়োজন করা যাবে না। আমরা খুলনার মানুষ চাই এ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ভেন্যু ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল রংপুর ডেইলীকে বলেন, মাঠ ভালো আছে ।

স্টেডিয়ামের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোল্লা খায়রুল ইসলাম রংপুর ডেইলীকে বলেন, শুধু স্টেডিয়ামের মাঠটা ভালো আছে। বাকি সবকিছু ব্যবহারের অনুপযোগী। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ এখানে আয়োজন করা যাবে না। আমরা খুলনার মানুষ চাই এ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ভেন্যু ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল রংপুর ডেইলীকে বলেন, মাঠ ভালো আছে। স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আরও ১০-১৫ দিন সময় লাগবে।

খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক এসএম মোর্ত্তজা রশিদি দারা রংপুর ডেইলীকে বলেন, শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রথমে ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিই। তারা বলে, এটা ক্রিকেট বোর্ড সংস্কার করবে। তখন আমরা ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিই। তারা বলে, যেহেতু এটা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম। তাই যেনতেন বাজেটে সংস্কার করবো না। এটা আমরা দ্বিগুণ বাজেটে সুন্দর একটা স্টেডিয়াম করবো। আমরা স্টেডিয়ামের বিষয়ে সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এবং ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেলের সাথে আলোচনা করেছি। তারা খুব আন্তরিক। তারা বার বার ক্রীড় পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রীকে বলেছেন এটা করে দিতে। তারা বলছেন, এটা ২০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম করে দেবেন। যে বাজেট হবে তা একনেকের মিটিংয়ে পাস হবে। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছুতে মন্থর গতি থাকায় হয়ে ওঠেনি।

Leave a Comment