শিক্ষকের চড়থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটল ছাত্রের

শিক্ষকের চড়থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটল ছাত্রেরশিক্ষকের চড়থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটল ছাত্রের

বিদ্যালয়ে মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশে মানা আছে। কিন্তু তা মানেনি পাঁচ ছাত্র। এ অপরাধে তাদের চড়থাপ্পড় দিয়েছেন বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। এতে এক ছাত্রের কানের পর্দা ফেটে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা উচ্চবিদ্যালয়ে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জহুরুল ইসলাম। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। যে ছাত্রের কানের পর্দা ফেটেছে তার নাম রিয়াদ হোসেন (১৭)। সে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কচুগাড়ি গ্রামের আবদুল বাকীর ছেলে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চাটমোহর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রিয়াদ হোসেনসহ দশম শ্রেণির পাঁচ ছাত্র মুঠোফোন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। এরপর ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে গিয়ে কার কাছে মুঠোফোন আছে জানতে চান। এ সময় রিয়াদ হোসেনসহ পাঁচ ছাত্র উঠে দাঁড়ায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষক জহুরুল ইসলাম তাদের এলোপাতাড়ি চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। এতে রিয়াদের কানে ব্যথা শুরু হয়। পরে সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।

রিয়াদের বাবা আবদুল বাকী বলেন, ‘ছেলেকে নাটোরের গুরুদাসপুরে নাক-কান-গলার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক জানিয়েছেন, রিয়াদের কানের পর্দা ফেটে গেছে।’ তাঁর দাবি, রিয়াদ আগে শিক্ষক জহুরুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়ত। প্রাইভেট পড়া বাদ দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ রাগেই তিনি রিয়াদকে পিটিয়েছেন। এ ঘটনার বিচার চান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। এরপরও ছাত্ররা মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ করায় শাস্তি হিসেবে মেরেছি। তবে এটা আমার উচিত হয়নি। হঠাৎ করেই এমন হয়ে গেছে। আমি অনুতপ্ত।’
ইউএনও সৈকত ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *