শাহজালালে বিমান প্রতিমন্ত্রীর ২ ঘণ্টার অভিযান

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার দু’ঘণ্টার অভিযান চালিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। যারা দায়িত্বে অবহেলা করবে তাদের তালিকা তৈরি করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। 

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত ব্যাগেজ এরিয়া, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এরিয়া, আরটি পিসিআর এর জন্য নির্ধারিত এলাকাসহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। 

এ সময় তিনি বিমানবন্দরের আগত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিমানবন্দরে যাত্রী সেবা নিয়ে তাদের অভিযোগ জানতে চান। 

যাত্রীদের ট্রলির তথ্য প্রদান করার জন্য প্রতিমন্ত্রী ব্যাগেজ এরিয়ার প্রত্যেকটি বেল্টে একজন করে ট্রলিম্যানকে দায়িত্বে রাখতে নির্বাহী পরিচালককে নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কর্মরতদের দ্রুত এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেবা প্রদানের নির্দেশন দেন প্রতিমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, যাত্রীদের দ্রুত সেবা প্রদান করতে হবে। কোনোভাবে সেবা ব্যাহত করা যাবে না বা কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। যাত্রীসেবার মান নিশ্চিতের জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রানজিট যাত্রীদের কাস্টমস চেকিংয়ে  সময় বেশি ব্যয় হওয়ায় বিভিন্ন ফ্লাইটে বিলম্ব ঘটে জানিয়ে  প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাস্টমস চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা ডেস্ক এবং কিউয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। 

এ সময়ে কাস্টমসের জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করা হলে প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

যাত্রী হয়রানি রোধে এবং পরীক্ষার ক্রম ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আরটি পিসিআর এর জন্য নির্ধারিত এলাকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কিউ কিওস্ক বসানোর জন্য দায়িত্বরতদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। 

এ সময় তিনি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত এলাকায় স্থাপিত দোকানের খাবারের মান এবং দাম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। যাত্রীদের কোনোভাবে প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি সেখানে ব্যবসা পরিচালনাকারীদের সাবধান করেন।

চেকইন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমানের কর্মকর্তারা যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করেন কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত এয়ারলাইন্সগুলো থেকে তথ্য নেয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে বা দায়িত্বে অবহেলা করে তবে তার বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্টারে না আসলে চাকরি থাকবে না। যাত্রী সেবার সঙ্গে কোনো আপস নয়। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অজুহাত গ্রহণ করা হবে না।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদুল আহসান প্রমুখ। 

Leave a Comment