রোগনির্ণয় পরীক্ষায় পিছিয়ে বাংলাদেশ

কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে বা প্রচুর বমি করলে তার শরীর থেকে লবণ বা সোডিয়াম বের হয়ে যায়। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের ভারসাম্য নষ্ট হয়। চিকিৎসকেরা এই পরিস্থিতিকে বলেন ‘ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স’ বা শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্যহীনতা। রোগীর এই পরিস্থিতি জানা-বোঝার পরীক্ষার (সেরাম ইলেকট্রোলাইট) কোনো ব্যবস্থা নেই টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। অথচ সরকারি এই হাসপাতালের আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে সেরাম ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য তারা ফি নেয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। যাঁরা পরীক্ষা করাতে আসেন, তাঁদের বড় অংশই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের রোগী। টাঙ্গাইলের জেনারেল হাসপাতাল জেলার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র। এই হাসপাতাল এখন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের সংযুক্ত হাসপাতাল হিসেবেও কাজ করছে। গত ৩১ অক্টোবর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খ. সাদিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় । তিনি বলেন, সেরাম ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীরা এই পরীক্ষা বাইরে থেকে করিয়ে নেন। মেডিকেল কলেজের জন্য হাসপাতাল হলে সেখানে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।


শুধু সেরাম ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা নয়, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক পরীক্ষা টাঙ্গাইলের হাসপাতালে হয় না। জেলার কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। গত অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও কেনিয়ার পাঁচজন গবেষকের একটি প্রবন্ধ জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট–এ ছাপা হয়েছে। গবেষকেরা বাংলাদেশসহ ১০টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর হাসপাতালে অত্যাবশ্যকীয় রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা কী আছে, তা পর্যালোচনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা সবচেয়ে খারাপ বাংলাদেশে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মালাউই, উগান্ডা, নেপাল, রুয়ান্ডা, কেনিয়া, হাইতি, তানজানিয়া, সেনেগাল ও নামিবিয়া।


২০১৭ সালে সরকারের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট) যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির সহায়তায় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সেবা পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ করেছিল। ওই জরিপের তথ্য অনুযায়ী, হিমোগ্লোবিন, রক্তের শর্করা, প্রস্রাবে আমিষ, প্রস্রাবে শর্করা এবং গর্ভধারণ—এই পাঁচটি মৌলিক পরীক্ষার সব কটি একসঙ্গে নেই দেশের ৮৬ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগনির্ণয় সঠিক না হলে চিকিৎসায় সুফল পাওয়া যায় না। এ জন্য রোগ পরীক্ষার সুযোগ থাকা দরকার। রোগ পরীক্ষার সুযোগ কম থাকলে মানুষ সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশ মৌলিক রোগনির্ণয় পরীক্ষায় মালাউই, উগান্ডা, নেপাল, রুয়ান্ডা, কেনিয়া, হাইতি, তানজানিয়া, সেনেগাল ও নামিবিয়ার চেয়ে পিছিয়ে। ২০১৭ সালের সরকারি জরিপে দেখা যায়, দেশের ৮৬% হাসপাতালে একসঙ্গে হিমোগ্লোবিন, রক্তের শর্করা, প্রস্রাবে আমিষ, প্রস্রাবে শর্করা ও গর্ভধারণ—এই পাঁচটি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।


হাসপাতালের সেবা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘সমস্যাটি নতুন নয়। তবে গত প্রায় দুই বছর আমরা কোভিড নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অনেক বিষয়ে যথাযথ নজর দেওয়ার পর্যাপ্ত সময় আমরা পাইনি। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব বাড়াব।’ গত ২৩ ও ২৪ আগস্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৪৮ সরকারি হাসপাতালের রোগনির্ণয় পরীক্ষার যন্ত্রপাতির কী হাল, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে ২৩ আগস্ট ‘৩২ হাসপাতালের ৬৫ যন্ত্র অচল, অব্যবহৃত’ এবং ২৪ আগস্ট ‘১৬ হাসপাতালে ২৮ যন্ত্র বাক্সবন্দী’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, এক্স-রে, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর, আলট্রাসনোগ্রাফি, অ্যানেসথেসিয়া, ল্যাপারোস্কপি, স্টেরিলাইজার, অটোক্লেভ, ডায়াথার্মিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কোথাও পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোনোটির বাক্সই তখন পর্যন্ত খোলা হয়নি। লক্ষ্মীপুর, ফরিদপুর, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, পটুয়াখালী, নড়াইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পাবনা, মৌলভীবাজার, জামালপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ফেনী—এই ১৩ জেলার হাসপাতাল পরিস্থিতি নিয়ে ওই দুটি প্রতিবেদন করা হয়েছিল।

সরেজমিন সরকারি হাসপাতাল

টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর ৫০ শয্যার উপজেলা হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয় ২০১৫ সালে। অচল যন্ত্রটি গত অক্টোবর মাসেও হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহী উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অতি সম্প্রতি একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র বসানো হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে।’ তবে ৩১ অক্টোবর এক্স-রে কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, যন্ত্রটির গায়ে রঙিন বেলুন ঝুলছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, সরকারি এই হাসপাতালে এইচআইভি/এইডস পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রস্রাবে আমিষ পরিমাপের পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা এখানে হয় না। যৌনরোগ সিফিলিসের সব পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করার যন্ত্রও নেই। এখানে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষাও হয় না। ভূঞাপুরের পাশের উপজেলা কালিহাতী। এ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উম্মে রুমান সিদ্দিকী জানালেন, হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করার যন্ত্র নেই, ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষাও হয় না। এইচআইভি/এইডসের আংশিক পরীক্ষা হয়।

উপজেলা পর্যায়ের মতো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালেও সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা নেই। দেশের যে জেলাগুলো এইচআইভি/এইডসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, সেই তালিকায় টাঙ্গাইলও আছে। তবে জেলার এই প্রধান হাসপাতালেও এইচআইভি/এইডসের পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলায় ম্যালেরিয়া পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও জেনারেল হাসপাতালে তা নেই।
প্রয়োজনীয় এসব পরীক্ষা না হওয়া এবং পরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকা প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার সিভিল সার্জন আবুল ফজল মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, দেশের সব উপজেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র সরকার দেয়নি। জেনারেল হাসপাতালের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সেরাম ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা হয় কি না, আমি জানি না। তবে ওই হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র বসানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই।’

বিদেশি গবেষকদের চোখে

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি ও মিসিগান বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেনিয়ার আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১৪ ধরনের রোগনির্ণয় পরীক্ষার পরিস্থিতি অনুসন্ধান করেছেন। যুক্তি হিসেবে গবেষকেরা বলেছেন, এই ১৪টি পরীক্ষা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অত্যাবশ্যকীয় রোগনির্ণয় পরীক্ষার তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে আছে: ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, প্রস্রাবে আমিষ, প্রস্রাবে শর্করা, গর্ভধারণ, সিফিলিস, কেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার, হেম অ্যানালাইজার, যক্ষ্মা, মাইক্রোস্কপি, জার্ম স্টেইন, এক্স-রে, আলট্রাসাউন্ড ও সিটি স্ক্যান। গবেষকেরা বলছেন, ওই ১০ দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ায়। সেখানকার প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এসব পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই হার ১৫ শতাংশ।

গবেষকেরা অবশ্য বলছেন, মৌলিক প্রাথমিক সেবা ও উচ্চতর প্রাথমিক সেবার ক্ষেত্রে দেশে দেশে প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য আছে। সে কারণে রোগনির্ণয় পরীক্ষার হারের ক্ষেত্রে কিছু তারতম্য আছে। বাংলাদেশের চেয়ে নেপালের পরিস্থিতি ভালো। নেপালের প্রায় ৩২ শতাংশ সেবাকেন্দ্রে এসব রোগনির্ণয়ের ব্যবস্থা আছে। গবেষকেরা বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে নিচে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিপিডি তৃতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু বাংলাদেশ মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের মাত্র ১৭ শতাংশ রোগনির্ণয় খাতে ব্যয় করে। দেশগুলোর মধ্যে তা তৃতীয় সর্বনিম্ন। বাংলাদেশে রোগনির্ণয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্তরের হাসপাতালে (জেলা সদর হাসপাতাল/জেনারেল হাসপাতাল/বিশেষায়িত হাসপাতাল) বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর নিচের ধাপের হাসপাতালগুলোতে তা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব দিতে হবে।

জাতীয় জরিপ কী বলেছিল

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট) ২০১৭ সালে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ১ হাজার ৫২৪টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও সেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ করেছিল। ওই জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মৌলিক রোগনির্ণয় পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে দেশের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা খুব সীমিত। সবচেয়ে বেশি যে পরীক্ষা হয় দেশের হাসপাতালগুলোতে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রক্তের শর্করা পরীক্ষা। কিন্তু এই পরীক্ষার ব্যবস্থা তখন মাত্র ২০ শতাংশ হাসপাতালে ছিল। জাতীয়ভাবে মাত্র ৪ শতাংশ হাসপাতালে হিমোগ্লোবিন, রক্তের শর্করা, প্রস্রাবে আমিষ, প্রস্রাবে শর্করা ও গর্ভধারণের পরীক্ষা হতো ২০১৭ সাল পর্যন্ত। তখন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে এই হার ছিল ১৪ শতাংশ। ইউনিয়ন ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এই হার অত্যন্ত নগণ্য। ব্যক্তিমালিকানাধীন ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এসব পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। তবে ২০১৭ সালের পর পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে, সে তথ্য সরকারের কাছে নেই।

গত প্রায় চার বছরে সরকারি হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার পরিস্থিতির যে বদল হয়নি, সেটি উঠে এসেছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষে ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে মূল উপস্থাপনায়। সেখানে বলা হয়, প্রয়োজনের সময় হাসপাতালে সহজে অক্সিজেন পাওয়া যায় না, হাসপাতাল অক্সিজেন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে না। ৫৮ শতাংশ হাসপাতালে নিউমোনিয়া ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা থাকে না, ৪৪ শতাংশ হাসপাতালে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নেই। পাশাপাশি হাসপাতালে নিউমোনিয়ার ওষুধের ঘাটতিও থাকে।সরকারি হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ঘাটতি প্রসঙ্গে সাবেক স্বাস্থ্যসচিব এম এম রেজা বলেন, অনেক সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হয় না। আবার কেনা হলেও ব্যবহার করা হয় না বা বাক্সবন্দী থাকে। এমনও দেখা গেছে, অনেক হাসপাতালে যন্ত্র দেওয়া হলেও তা ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী থাকে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরদারি দুর্বল হওয়ার কারণে এসব ঘটে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে দরিদ্র মানুষ। কারণ, সরকারি হাসপাতাল দরিদ্র মানুষই বেশি ব্যবহার করে।

Leave a Comment