রুশ ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী অস্ত্র পরীক্ষা; যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, বিরক্তি

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল সোমবার জানিয়েছে, রাশিয়া বেপরোয়াভাবে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এতে হাজার হাজার ধ্বংসাবশেষ তৈরি করেছে; যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) এবং লো-আর্থ কক্ষপথে অন্যান্য মহাকাশযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। খবর ইকোনমিক টাইমসের। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়ার এই পরীক্ষা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) থাকা ক্রুদের বিপন্ন করে তুলছে।

রাশিয়ার এ ধরনের আচরণে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মাকি প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। মার্কিন সামরিক বাহিনী ধ্বংসাবশেষ ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন। ইকোনমিক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী পরীক্ষাটি তার নিজস্ব স্যাটেলাইটগুলোর একটিকে উড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। ওইসব ধ্বংসাবশেষ আইএসএস ক্রুদের ক্যাপসুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে।

জানা গেছে, বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনটি প্রায় ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রদক্ষিণ করছে। সেখানে সাত জন ক্রু রয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জন মার্কিন নাগরিক, একজন জার্মান ও দু’জন রাশিয়ান। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলএছন, রাশিয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন পরীক্ষার কারণে দেড় হাজারের বেশি ট্র্যাকযোগ্য অরবিটাল ধ্বংসাবশেষ তৈরি করেছে। এছাড়া ছোট অরবিটাল ধ্বংসাবশেষ অগনিত। ওইসব ধ্বংসাবশেষ এখন সব জাতির স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যদিও রুশ মহাকাশ সংস্থা রোসকসমস ঘটনাটি অস্বীকার করেছে। এক টুইট বার্তায় তাদের দাবি, বস্তুর কক্ষপথ আইএসএস কক্ষপথ থেকে দূরে সরে গেছে। এ কারণে ক্রুরা স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি অনুসারে মহাকাশযানে যেতে বাধ্য হয়েছের। মহাকাশ স্টেশনটি এখন গ্রিন জোনে আছে।

Leave a Comment