রাতে বাসা থেকে চোখ বেঁধে গ্রেপ্তারের অভিযোগ

পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডা, রাতে বাসা থেকে চোখ বেঁধে গ্রেপ্তারের অভিযোগপুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডা, রাতে বাসা থেকে চোখ বেঁধে গ্রেপ্তারের অভিযোগ

বগুড়ায় উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে বিতণ্ডার জেরে কলেজপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে রাতে বাসায় গিয়ে চোখ বেঁধে গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের ভাষ্য, বাগ্‌বিতণ্ডার সময় ওই তরুণ এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার কলেজশিক্ষার্থীর নাম আরমান আহমেদ রেজওয়ান (২৪)। তিনি বগুড়া শহরের উত্তর ফুলবাড়ির ওয়ার্কশপের মিস্ত্রি সাইফুল ইসলামের ছেলে। সরকারি আজিজুল হক কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরমান ।

ঘটনাটি গতকাল সোমবার সন্ধ্যার। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ধ্যায় শহরের বিসিক ফুলবাড়ি এলাকায় সাতমাথা-মাটিডালি সড়কে মোহাম্মদ রকি (২৭) নামের একজন আরোহীকে নিয়ে উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন রেজওয়ান। বিপরীত দিক থেকে একজন কনস্টেবলসহ সাতমাথার দিকে যাচ্ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়া কার্যালয়ে কর্মরত এসআই আহসান হাবিব। এসআই আহসান হাবিবের মোটরসাইকেলের সঙ্গে উল্টো পথে চালানো আরমানের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ওই এসআই ও তাঁর সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলকে মারধর করেন আরমান। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁদেরকেও মারধর করেন তিনি। পরে ফুলবাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় আরমানকে আটক করা হয় এবং রকি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।

তবে রেজওয়ানের বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, তাঁর ভাই মেধাবী ছাত্র। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর একই কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করছেন। সংসারে অসচ্ছলতার কারণে পড়াশোনার ফাঁকে অনলাইনে মোটরগাড়ির পার্টসের ব্যবসাও করেন।

জান্নাতুলের দাবি, ‘ব্যবসার কাজেই সোমবার সন্ধ্যায় বিসিক এলাকার একটি দোকানে কাজ সেরে মোটরসাইকেল চালিয়ে ফুটপাত ধরে মাটিডালির দিকে যাচ্ছিল আরমান। উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে পুলিশ কর্মকর্তা আসহান হাবীব প্রথমে আরমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে সামান্য বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পুলিশ পরিচয় জানার পর রেজওয়ান ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে বাসায় ফেরে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১২-১৫ জন পুলিশ বাসা থেকে আরমানকে তুলে নিয়ে পেশাদার অপরাধীর মতো হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে, চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ পুরোটাই সাজানো। তুচ্ছ ঘটনার জেরে আমার ভাইকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে অনেকগুলো ধারায় মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।’

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *