রবিউল আউয়ালের আইয়ামে বিজের রোজা ২১-২৩ অক্টোবর

রবিউল আউয়ালের আইয়ামে বিজের রোজা ২১-২৩ অক্টোবর

হিজরি বছরের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভজন্মের মাসও এটি। ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের সুবহে সাদিকে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ পৃথিবীতে শুভাগমনের আনন্দকেই ইসলামী পরিভাষায় ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ বলা হয়। যাঁর নুরের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল । প্রিয় নবির সুন্নাতের অনুসরণে প্রতি আরবি মাসের ১৩-১৫ তারিখ রোজা রাখা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ তিনদিন রোজা রাখতেন। এছাড়াও ১২ রবিউল আউয়াল (২০ অক্টোবর) ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী’ উপলক্ষে দেশব্যাপী সীরাতুন্নবী ও উসওয়াতুন্নবী শীর্ষক আলোচনা-সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

১৪৪৩ হিজরির চলতি রবিউল আউয়াল মাসের ১৩-১৫ তারিখ হলো- ২১, ২২ ও ২৩ অক্টোবর মোতাবেক বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার। যারা আইয়ামে বিজের তিনদিন রোজা রাখবেন; তাদের জন্য ২০ অক্টোবর (১২ রবিউল আউয়াল) বুধবার দিবাগত রাতেই সাহরি খেতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যভাগে ৩ দিন রোজা রাখতেন। উম্মতে মোহাম্মাদির জন্য এ তিনদিন রোজা রাখা সুন্নাত। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে এ তিনদিন রোজা রাখতে বলেছেন।

আইয়ামে বিজের রোজার ফজিলত

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত ও গুরুত্বারোপ করে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে ঘোষণা করেছেন- হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখল; সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ অতঃপর এর সমর্থনে আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে নাজিল করেন-
যে একটি নেকি নিয়ে আসে তার জন্য রয়েছে তার ১০গুণ।’ অতএব একদিন ১০ দিনের সমান।’ (তিরমিজি)

হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা রাখতেন।’ (আবু দাউদ) হজরত ইবনু মিলহান আল-ক্বাইসি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আইয়ামে বিজের রোজার ব্যাপারে নসিহত করেছেন; আমরা যেন তা (মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ পালন করি। তিনি আরও বলেছেন, এটা সারা বছর রোজা রাখার মতোই।’ (আবু দাউদ)

এছাড়াও আইয়ামে বিজের রোজা সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে-

হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতের নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। আর তাদের শরীরের রংও কুৎসিত হয়ে যায়। অতঃপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চন্দ্র মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই তিন দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়। আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত বর্ণনায় হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা পালন, সারা বছর রোজা পালনের সমান।’

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

হিজরি বছরের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে সীরাতুন্নবী, উসওয়ান্নবীসহ নানানে নামে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ তুলে ধরা হয়। অনেকে দীর্ঘদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠান মিলাদ-মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকেন। ১৪৪৩ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল মোতাবেক পবিত্র ঈদে মিল্লাদুন্নবী ২০ অক্টোবর বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিনের আনন্দোৎসব দেশব্যাপী ‍উদযাপন করা হবে। । এ দিনটি তাঁরনি জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন হয়।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *