কুষ্টিয়ার খোকসায় মাছ চুরির অভিযোগ তুলে জসিম উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ছেলেদের বিরুদ্ধে।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার রতনপুর গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের পুকুর থেকে মাছ ধরার অভিযোগে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে যুবক মারাত্মক রক্তাক্ত জখমে গুরুতর আহত হয়।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জসিমকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উপজেলার ১নং খোকসা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী বিশ্বাসের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন এবং ভাইপো আলাউদ্দিন নামে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত যুবক জসিম উদ্দিন একই এলাকার বাসিন্দা রওশন আলীর ছেলে বলে জানায় পুলিশ।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান সোহেল জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ভর্তি হওয়া অচেতন যুবকের মাথায় মারাত্মক জখম ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছিলেন, কিন্তু তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থার অবনতি হয় এবং মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খোকসা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, উপজেলার ১নং খোকসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গভীর রাতে পুলিশে সংবাদ দেন যে তার নিজস্ব পুকুরে মাছ চুরির সময় একজনকে আটক করেছেন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জসিম নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঠিক কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী বিশ্বাসের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন এবং ভাইপো আলাউদ্দিন নামে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।