সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মাইকে ছাত্রলীগ নেতার নাম ঘোষণা না করায় প্যান্ডেল ও চেয়ার ভাঙচুর এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় ছাত্রলীগের ১২ জন নেতাকর্মীর নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। রানা মণ্ডল উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের আইয়ুব মণ্ডলের ছেলে।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করেন, ওই দিন ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না।
আজ বুধবার দুপুরে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলা রেকর্ড হয়েছে। এতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৫০-৬০টি চেয়ার ও মঞ্চের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত রোববার ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওই দিন বেলা একটার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডল কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এ সময় মাইকে তাঁর নাম ঘোষণা না করার অভিযোগে তিনি আয়োজকদের গালাগাল করতে থাকেন।
একপর্যায়ে তাঁর সমর্থকেরা মঞ্চ ও প্যান্ডেলের চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ভাঙচুর চলার পর অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে ৫ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইনে সংস্করণে সংবাদ প্রকাশিত হয়।