ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা পিআইবি’র হাতে গ্রেপ্তার

আনিকা তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকা

ম্যাজিস্ট্রেট সেজে প্রতারণার অভিযোগে আনিকা তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকা নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। প্রতারক অনামিকাসহ অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন ছদ্মবেশে নিত্য নতুন প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে আসছিল। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, আনজু মিয়া নামের সাবেক কারা কর্মকর্তা গত সোমবার সকালে রংপুর নগরীর সিও বাজার এলাকার বাসা থেকে নিজ মোটরসাইকেল যোগে শহরে এসে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরদিন মঙ্গলবার তার সন্তান ও স্ত্রী পিবিআইসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটে তার নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করে সাধারণ ডায়েরি করেন। ওইদিনই পিবিআই’র একটি টিম ভিকটিম আনজু মিয়াকে রংপুর শহরস্থ ‘সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্র’ থেকে উদ্ধারসহ তার জবানবন্দি থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য সংগ্রহ করে।

এসময় ভিকটিম রংপুর কারাগারের সাবেক সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর আনজু মিয়া (৫১) জানান, প্রায় ছয় মাস পূর্বে জনৈক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকার সঙ্গে বিমানে ভ্রমণকালে পরিচয় হয়। তিনি দিনাজপুর কালেক্টরেটে কর্মরত আছেন বলে পরিচয় দেন। এর পর থেকে ফোনে প্রায় তার সঙ্গে যোগাযোগ হত। গত সোমবার সকালে কথিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা ফোন করে আনজু মিয়াকে রংপুর জিলা স্কুল গেটে আসতে বলেন।

সময়মত আনজু মিয়া সেখানে পৌঁছে দেখতে পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়া অনামিকা একটি সাদা মাইক্রোবাসে বসে আছেন। আনজু মিয়া তাকে সালাম জানিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে কয়েকজন অপরিচিত লোক তাকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে তার দেহ তল্লাশি করে নগদ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা, ঘড়ি ও একটি স্বর্ণের আংটিসহ ড্রাইভিং লাইন্সেস নিয়ে নেয় তারা।

এদিকে আনজুর নিখোঁজের বিষয়টি পিবিআই’র নজরে এলে গত মঙ্গলবার তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে আনজু মিয়া বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে পিবিআই’র একটি দল দিনাজপুরের ফুলবাড়ি থেকে আনিকা তাসনিম ওরফে অনামিকাকে গ্রেপ্তার করে। অনামিকা ফুলবাড়ির কাঁটাবাড়ি এলাকার শাহজাহান সরদারের মেয়ে।

আরো পড়ুন অসুস্থ্য সুলতানের পাশে আছিয়া – বছির ফাউন্ডেশন
এ ব্যাপারে রংপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই অপরাধসমূহ করে থাকে। কথিত নারী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতারক আনিকা তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকা ও অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন ছদ্মবেশে নিত্য নতুন প্রতারণা করে মানুষকে ঠকিয়ে থাকে। এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার অনামিকাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আজ বিকেলে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে পুরো চক্রকে তদন্তের আওতায় আনা হবে।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *