বোনেরা, আমাদের ডিটক্স করা প্রয়োজন। 

বোনেরা, আমাদের ডিটক্স করা প্রয়োজন।

ফেমিনিজমের যেসব বিষাক্ত আর বিধ্বংসী বার্তা আমাদের মাথায় গেঁথে দেয়া হয়েছে সেগুলো থেকে নিজেদের মুক্ত করা প্রয়োজন।
ফেমিনিজমের মিথ্যাচারগুলোকে নিচের সত্য দিয়ে প্রতিস্থাপন করুনঃ

১) নারী-পুরুষ সহজাতভাবে একে অপরের শত্রু বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমরা একে অপরের أولياء (আওলিয়া)- সাহায্যকারী, সহযোগী।

২) আপনি একজন নারী। আপনি পুরুষ নন। এতে অপমানের কিছু নেই।

৩) নারীত্ব আপনার শক্তি, একে নষ্ট করবেন না।

৪) পুরুষালী পুরুষেরা নারীদের মাঝে নারীসুলভ বৈশিষ্ট্য পছন্দ করে। নারীসুলভ নারীরা পুরুষদের মাঝে পুরুষসুলভ বৈশিষ্ট্য পছন্দ করে। উভলিঙ্গ হবার চেষ্টা করবেন না।

৫) আপনার জীবনে পুরুষের প্রয়োজন আছে। ( যেমন একজন পুরুষের জীবনে নারীর প্রয়োজন আছে)।

৬) পুরুষরা মূল্যহীন নয়।

৭) পুরুষরা যা করতে পারে আপনি তার সব করতে পারেন না। (একইভাবে নারীরা যা করতে পারে পুরুষরা সেগুলো সব করতে পারেনা)

৮) নারী আর পুরুষের আলাদা আলাদা ভূমিকা/দায়িত্ব আছে, দায়িত্বগুলো একে অপরের পরিপূরক। এটা খারাপ কিছু না। এটাকে বলা হয় Gender role।

৯) আধুনিক Strong Independent জাতের নারী হবেন না। একজন ট্র্যাডিশনাল নারী হন।

১০) নারী আর পুরুষের একে অপরের সাথে প্রতিযোগীতার সম্পর্ক না। নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।

১১) বিয়ের গুরুত্ব আছে। পরিবারের গুরুত্ব আছে।

১২) গৃহকর্ত্রী-গৃহিণী হওয়া একটা চমৎকার আর গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

১৩) মাতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানদের বড় করা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন কাজ, এবং তা অত্যন্ত empowering। সন্তানদের বড় করার মাধ্যমে আপনি পরবর্তী প্রজন্মের ছাচ তৈরি করছেন। এর পরেও নারীদের আর কত ক্ষমতায়ন দরকার?

১৪) পরিবারের বদলে ক্যারিয়ারকে বেছে নেবেন না। কর্পোরেট দাস হবার বদলে একজন স্ত্রী আর মা হওয়াকে বেছে নিন।

১৫) আপনার স্বামীকে সম্মান আর ভালোবাসা প্রদর্শন করুন, এই অনুক্রমেই। (আপনার স্বামীও আপনাকে সম্মান আর ভালবাসা প্রদর্শন করবেন, এই অনুক্রমে)

১৬) স্ত্রী হিসেবে আপনি সংসারের নেতা নন। আর এক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বামীর ‘সহকর্মী’ নন। আপনি অবশ্যই আপনার মতামত, অভিমত দিতে পারেন, তবে হেডশিপ হল আপনার স্বামীর।

১৭) সংসার দুইজন সাম্যবাদী নেতার ৫০-৫০ অংশীদারিত্ব নয়। আপনার স্বামী আপনার নেতা। তাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করতে দেয়ার সুবিধা ভোগ করুন।

১৮) আপনার স্বামীকে অবজ্ঞা করা, তাচ্ছিল্য করা সংসারে ভাঙন ধরানোর দ্রুততম পথ। নিজের সংসারকে স্যাবোটাজ করবেন না।

১৯) আপনার স্বামীর উপর ভরসা রাখুন, আস্থা রাখুন ( যদি তিনি একজন ন্যায়নিষ্ঠ, দৃঢ় ও তাক্বওয়াবান মুসলিম হন) । আপনার স্বামী অনিষ্ট করার জন্য আপনার পিছে লেগে নাই।

২০) সব Evil এর মূল কারন পুরুষতন্ত্র/পিতৃতন্ত্র নয়। ইসলামে পুরুষদেরকে  قوام, ক্বাওওয়াম আর مسؤول দায়িত্বশীল হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে। ইসলামে পুরুষেরা জাতি, সমাজ আর পরিবারের উপর দায়িত্বপ্রাপ্ত, এই দায়িত্বের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। এই ব্যবস্থা নারীদের ক্ষতিসাধন করার জন্য নয়, বরং তাদের উপকার আর সুরক্ষার জন্য।

ভালোবাসা, সংসার, পুরুষ, সম্পর্ক, সংসার, পরিবার, মাতৃত্ব কিংবা অন্য কোনো বিষয়েই  ফেমিনিস্টদের উপদেশ গ্রহণ করবেন না। এতে শুধু আপনার নিজের সুখ শান্তি বিসর্জিত হবে।  তার তাদের উপদেশগুলো কেবলই মিথ্যাসর্বস্ব।

“ফেমিনিজমের এই ২০ মিথ্যাচারকে সত্য দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।”

– উম্মে খালিদ
(অনূদিত)

إذا رأيت البنــات  تــزين بالخمــار !
فاعلم أنهن خرجن من بيوت رجال !

« যখন মেয়েদেরকে বোরখা পরিহিত দেখবেন !
জেনে নিন তারা কোনো প্রকৃত পুরুষের ঘর থেকে বের হয়েছেন ! »

By মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

My name is Mahazabin Sharmin Priya, and I am an author who studied Mathematics at the National University. I have a deep passion for writing in various genres, including Islam, technology, and mathematics. With my knowledge and expertise, I strive to provide insightful and engaging content to readers in these areas.

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *