বিসর্জনের প্রস্তুতি

রংপুরে সন্ধ্যার পর উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। এর আগে আজ শুক্রবার দশমীর দিন সকালে নগরের পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন ভক্ত নারীরা। এ সময় ঢাকের বাদ্যে পরিবেশ হয়ে ওঠে আনন্দমুখর। নগরের পালপাড়ায় মদনমোহন ঠাকুরবাড়ি পূজামণ্ডপে দেখা যায়, সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন নারীরা। এ সময় একে অপরের গালে–মুখে সিঁদুর মেখে উৎসব উদ্‌যাপন করতে দেখা যায়। একে অপরের সঙ্গে খুনসুটিতেও মেতে ওঠেন দেবী দুর্গার ভক্তরা। একই ধরনের উৎসব দেখা যায় করুণামীয় কালীবাড়ি পূজামণ্ডপেও।

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দুর্গোৎসবের আজ মহাদশমী। হৃদয়নিংড়ানো ভালোবাসায় শৈল্পিক কারুকার্য আর রংতুলির নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেওয়া হবে। পূজামণ্ডপগুলোতে এখন বাজছে দেবীর বিদায়ের ঘণ্টা। নগরের কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবন প্রসাদ বলেন, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপে। সন্ধ্যার পর একযোগে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকার জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, রংপুরের প্রতিটি পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পূজা উদ্‌যাপিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পূজা বিসর্জনে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা বিসর্জনে দলমত–নির্বিশেষে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বছর রংপুর জেলায় ৯৫৬টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজনে হয়। এর মধ্যে রংপুর নগরে ১৫৩, সদর উপজেলায় ১০২, বদরগঞ্জে ১৩২, মিঠাপুকুরে ১৪০, গঙ্গাচড়ায় ১০৮, পীরগঞ্জে ৯৭, কাউনিয়ায় ৬৫, তারাগঞ্জে ৬৭, পীরগাছায় ৮৯টি মণ্ডপ হয়েছিল।

Leave a Comment