বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতার পদ আইনি ভিত্তি পাচ্ছে

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং উপনেতার পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার সংক্রান্ত সামরিক আমলের আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে সংসদে উত্থাপিত বিলের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি। সংসদের আগামী অধিবেশনে এটি পাসের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত আইনি ভিত্তি পাচ্ছে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতার পদ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিলটির রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক, মো. শামসুল হক টুকু, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার অংশ নেন।

বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতার বিষয়ে দেশের সংবিধানে কিছু বলা নেই। তবে ‘বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশ-১৯৭৯’-এ তাদের পারিতোষিক ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতার স্বীকৃতি দেওয়ার একক ক্ষমতা সংসদের স্পিকারের।

বিরোধীদলীয় নেতা মনোনয়নের বিষয়ে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ২(১)(ট) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা- অর্থ স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতো দল বা অধিষঙ্গের নেতা’। তবে সংসদে কার্যপ্রণালী বিধিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার বিষয়ে কিছু বলা নেই। বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশ-১৯৭৯ বলেই বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রী এবং উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

প্রচলিত নিয়ম ও বিধিবিধান অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচন শেষে সংসদ গঠনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দল সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। প্রধান বিরোধী দলের পার্লামেন্টারি পার্টি বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা মনোনীত করে থাকে। সেটি সংশ্লিষ্ট দলের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সংসদের স্পিকারকে জানাতে হয়। পরবর্তী সময়ে স্পিকার কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন।

Leave a Comment