বাচার উপায় কি?

বাচার উপায় কি হতে পারে?বাচার উপায় কি কি হতে পারে? বাচার উপায় জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

বেচে থাকতে খুব বেশী কষ্ট অনুভব হয়? আচ্ছা বলেন তো বেচে থাকা কি খুব কষ্টের কিছু? আপনি জন্ম হয়েছেন, পৃথিবীতে আছেন, সুস্থ আছেন এটাই কি যথেষ্ট না একটুখানী সুখের জন্য? বাচার উপায় হল নিজেকে খোজা নিজেকে বোঝা নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। আপনি কিভাবে মেনে নিচ্ছেন এটাই বলে দিবে আপনি কতটুকু সুখে আছেন?

বাচার উপায় কি?

বাচার উপায় কি এই বর্তমান পৃথিবীটার সুখ নির্ধারন করে আপনার আশে পাশের লোক যেটাকে আমরা সমাজ বলি। আচ্ছা একটু চোখ বন্ধ করে দয়াকরে ভাববেন যে বেচে থাকার জন্য এই রকম একটা বদ্ধ সমাজ কতটুকু দায়ী আপনার বেচে থাকার জন্য? আমি না খেয়ে থাকলে কি এই সমাজ আমাকে ভাত দেয়? না কেউ জিজ্ঞাস করতে আসে কেন বাবা তুমি না খেয়ে কেন আছো? যদি এসব প্রশ্নের এর উত্তর না হয়ে থাকে, তাহলে এই সমাজের ভাল-খারাপ কে কেন এত গুরুত্ব দেই আমরা বাচার উপায় কি?। পৃথিবীতে বেচে থাকার জন্য অক্সিজেন আর একটু খাবার কি যথেষ্ট না?

 

সহজ ভাবে বাচার উপায় কি?

পৃথিবীতে সহজভাবে বেচে থাকার অনেক উপায় আছে। তার মধ্যে সব থেকে সহজ উপায় হল কাউকে ভ্রুক্ষেপ না করে বেচে থাকা নিজেকে নিজের মতো করিয়ে বাচিয়ে রাখা তাহলেই সব থেকে সহজ ভাবে বেচে থাকা যায়। কে আপনাকে নিয়ে কত কি বলে বলুক আপনি তো জানেন আপনি কে, আপনি কেমন, আপনার ভিতরে কি আছে? নিজের গোপন সম্পদ যেমন নিজের চেয়ে কেউ জানে না। তেমনি গোপন প্রতিভা আর আল্লাহর দেওয়া ভাগ্য আপনি ছাড়া আর কেউ জানে না। তাই এই সমাজে কে কি বলে বলুক।

আপনি বেচে আছেন এটাই আপনার জন্য সুখের নিউজ। অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, টাকা, ক্ষমতা থাকলেই এই সমাজের কাছে আপনি ভাল আর না থাকলে আপনি খারাপ এখানে সমাজ বলতে আপনার নিজের বাবা-মা কিংবা নিজের বউ-সন্তানও হতে পারে। আমি দেখেছি এই সমাজের ২০ বছরের সন্তান যখন বেকার তখন কি নির্মম ব্যবহার করে এই সমাজ, তার থেকে খারাপ সন্তান আর দুনিয়াতে নাই কিন্ত এই সন্তানই যখন ৩০ বছরে বড় কোন পোষ্টে চাকুরী হয়ে যায় তখন তার মতো ভাল ছেলে অত্র এলাকায় আর কেউ নাই। টাকা আর ক্ষমতা যে সমাজের চোখে ভাল মন্দ নির্ধারণ করে, সেই সমাজ কি আদৌ আমাদের দরকার আছে আপাতোত? তাহলে সহজ ভাবে বাচার উপায় কি?

সহজ ভাবে বাচার উপায়

সহজ ভাবে বাচার উপায় একটাই সেটা হল এইরকম সমাজ থেকে আলাদা ভাবে বাচুন। নিজেকে একগুয়ে করে আলাদা রাখুন। যখন প্রতিষ্ঠিত হবেন তখন সমাজের সাথে আবার লেগে পড়বেন। সহজ ভাবে বাচার উপায় হল সমাজ যখন আপনাকে খারাপ বানায় তখন সেই সমাজ এর সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখুন। যখন এই সমাজই আবার ভাল বানায় তখন সমাজের সামনে আসুন। তখন আপনার অতিতকে ভুলে যাবেন না আবার। সমাজটাকে তো এত সহজে চেন্জ করা যাবে না। কিন্ত ধিরে ধিরে আমরাই পারি সমাজটাকে সামান্য একটু করে পরিবর্তন করতে এইভাবে।

 

বাচার উপায় নাই সেজন্যই মরবো

মরা কি এতো সস্তা।গলায় রশি দিয়ে বাধলাম, ফ্যানের সাথে নিজেকে ঝুলাইলাম আর জীবনটা চলে গেল, মরে গেলাম এইটাই তো মরণ বলে? খুবই সহজ না? আচ্ছা নিচের কতাগুলো কি একটু ভাবা যায় না?

পিতা-মাতার একটা ভয়ঙ্কয় সহবাস নামক যুদ্ধের সফলতার মধ্য দিয়ে আমি নামক শব্দটা যার উৎপত্তি সেই সফলতাকে গলায় রশি পেচাইয়া মরণটাই কী হতে পারে কোন মহৎ কাজ।

যিনি জন্ম দিয়েছেন, তিনি যখন নিবেন তখনই মরবেন। মরার চিন্তাটা মাথা থেকে ঝিরে ফেলুন। জন্মিলে মরিতেই হবে, এটা নিয়ে এত চিন্তার কি আছে? এখন আসি কেন মরতে হবে? আপনার মরার জন্য কখনোই আপনি নিজে দায়ী না। দায়ী ১০০% এই সমাজ, এই পরিবার, এই প্রতিবেশী, এই রাষ্ট। তাই যে মৃত্যুর জন্য আপনি নিজেই দায়ী না সেইজন্যই কিন্ত আপনি মরতে চাইছেন। কিন্ত এটার বিকল্পও তো আছে তাই নয় কি? যেই সমাজ আপনাকে দায়ী করে, বাধ্য করে মরতে, সেই সমাজ ছাড়া বাচা যায় তো, আধুনিক যুগে বেচে থাকা খুব কঠিন কিছু না। জাস্ট নিজেকে একটু ভিন্নভাবে ভাবতে হবে, তাহলেই বেচে থাকা খুবই সহজ হয়ে যাবে।

 

একটু নিজেকে গুছিয়ে নিন, নিজেকে নিজের মতো করে বাচিয়ে রাখুন। জীবন আপনার আর সেটা বাচাতে হবে আপনাকে। কেউ কারো জীবন কখনোই বাচাতে পারে না। যা পারে সেটা হল হেল্প। আর এটাও মনে রাখা দরকার কেউ কাউরে হেল্প করে না সুযোগ সুবিধা ছাড়া। আপনি জাস্ট এই সমাজ ছাড়া নিজেকে বাচার কথা চিন্তা করুন, দেখবেন জীবনটা আসলেই সুখের।

এই যুগে যে কোন শহর যাবেন চাকরি খুজবেন কিংবা কাজ খুজবেন। শুরুতে মনে রাখবেন কাজটা প্রাইমারি আপনাকে বাচাতে। যখন একটু করে বাচা শিখে যাবেন তারপর বড় কোন চাকুরী খুজুন। এভাবে আপনি হয়ে যাবেন প্রতিষ্ঠিত, সমাজের চোখেও ভাল মানুষ।

Leave a Comment