বাগেরহাটে বিনাভোটে আ. লীগের ৩৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের বাগেরহাটের ৬৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

জেলার ৬৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা ভোটে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৮ জন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন।

বাকি ২৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামী লীগের অন্তত ২৫ নেতাকর্মীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বাগেরহাটে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে ৬৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে ৩৮ জন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া ৬৬টি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ২৮৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮৫ জন নারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বাগেরহাটের চারটি ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ইভিএম এ ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে।

এর আগে ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে এই জেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাগেরহাটের ৬৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যারা দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও চিতলমারী উপজেলায় নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহীরা অংশ নেওয়ায় ২৫ জন নেতাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, বাগেরহাটের নয় উপজেলার ৬৬টি ইউনিয়নে একযোগে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৬৬টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা ভোটে ৩৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

বাকি ২৯টিতে প্রার্থী রয়েছে। এ ছাড়া ৬৬টি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ২৮৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮৫ জন নারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

জেলার ৬৬টি ইউনিয়নে নারী-পুরুষ মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বাগেরহাটের চারটি ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ইভিএম এ ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে।

বাগেরহাটের ৬৬টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, কোস্টগার্ড) বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের দিনে তারা স্ব স্ব এলাকায় টহল দেবে।

ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *