‘শোন, সারা জীবন জেলে থাকমু না। কী হইছে? তাতে এত নিউজ করার কী আছে? আমি জেল থেইকা বাইর হইয়্যা লই। ব্যাপারটা দেখমু আনে।’
এসব কথা বলেছেন ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মোল্লা ওরফে কালাম মোল্লার। শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি উচ্চস্বরে এসব কথা বলছিলেন। কালাম বরিশাল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি।
আজাদ হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমারে নিয়া নিউজ কইরা কামডা (কাজ) ভালো করো নাই।’ এ সময় তাঁর ছবি তুলতে গেলে সহযোগীরা সাংবাদিকদের বাধা দেন। এমনকি এ নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।
গ্রেপ্তার আজাদ হোসেন মোল্লাকে শনিবার দুপুরের পর বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক পলি আফরোজ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজীব মজুমদার।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন এক তরুণী। মামলা হওয়ার খবর জানতে পেরে শুক্রবার বিকেলে আত্মগোপন করতে কুয়াকাটায় যাচ্ছিলেন জাকির হোসেন মোল্লা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিয়ের কথা বলে কাউন্সিলর আজাদ হোসেন ওই তরুণীকে কয়েক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতেও ধর্ষণ করেন। পরে ওই তরুণী তাঁকে বিয়ে করার কথা বললে কাউন্সিলর তাতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর শুক্রবার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।