বাংলাদেশের মিষ্টি সকাল, দুর্দান্ত দুপুর

বাংলাদেশের মিষ্টি সকাল, দুর্দান্ত দুপুর

চট্টগ্রামের জহুর আহমদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল শেষ দুটি সেশন কী দুর্বিষহই না কেটেছে বাংলাদেশ দলের! প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর হাপিত্যেশ করতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের। দুই সেশন বোলিং করেও পাকিস্তানের একটিও উইকেট ফেলতে পারেননি তাইজুল-এবাদতরা। বাংলাদেশের সমর্থকেরা হয়তো মনে মনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার একটি লাইন আউড়েছেন—‘দেখিস, একদিন, আমরাও…’।সেই একদিন ছিল আজ এবং সেটা সকাল থেকেই। এদিন পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিকে বিচ্ছিন্ন করতে বাংলাদেশ সময় নিয়েছে মাত্র ৫ বল। দিনের প্রথম ওভারে বল করতে এসে তাইজুল পঞ্চম বলে তুলে নেন আবদুল্লাহ শফিককে। বিনা উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা পাকিস্তান এর আগে যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১ রান। পরের বলেই আবার আঘাত হানেন তাইজুল। ‘সোনালি হাঁস’ পেয়েছেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের আজহার আলী। তাইজুলের বাঁহাতি ঘূর্ণিতে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৮৬ রানে।


বাংলাদেশকে মিষ্টি একটা সকাল উপহার দেওয়ার পর দুপুরটাও দুর্দান্ত করে দিয়েছেন তাইজুল। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার প্রথম সেশনে নিয়েছেন ৩ উইকেট, দ্বিতীয় সেশনে নিয়েছেন ৪টি। সব মিলিয়ে ১১৬ রান দিয়ে এই ইনিংসে তাঁর উইকেট ৭টি। গতকাল বল হাতে লড়াই করা বাংলাদেশও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে ৪৪ রানের।বাংলাদেশের বোলাররা যখন ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন পাকিস্তানের ইনিংসে, বিরুদ্ধ স্রোতে শতকের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন আগের দিন ৯৩ রানে অপরাজিত থাকা আবিদ আলী। তাইজুলের জোড়া আঘাতের পর অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়া আবিদ আলী তাঁর চতুর্থ টেস্ট শতক পূর্ণ করেন ৬৮তম ওভারে। তাইজুলেরই ওভার ছিল সেটি, প্রথম বলে ডিপ মিডউইকেটে খেলে ২ রান নিয়ে শতক পূর্ণ করেন আবিদ আলী।

আবিদ আলী সেঞ্চুরি পেলেও বাবরের সঙ্গে তাঁর জুটিটি খুব বেশি বড় হয়নি। ৮৮ বলে ২৩ রানের জুটিটি ভাঙেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তান অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ১০ রান করেছেন বাবর। আবিদ আলী ফাওয়াদ আলমের সঙ্গে। ফাওয়াদও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাঁকে ফিরিয়েছেন তাইজুল। আবিদ জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি তাঁরা। পাকিস্তান মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় ৪ উইকেটে ২০৩ রান তুলে।মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর জ্বলে ওঠেন ইবাদত। রিজওয়ানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ফেরানোর পর তিনি বোল্ড করেন সাজিদ খানকে। তবে এই সেশনেও বাংলাদেশের সেরা বোলার তাইজুলই। শতক করা আবিদ আলীর সঙ্গে তিনি তুলে নেন আরও দুই আলী হাসান ও নোমান এবং ফাহিম আশরাফকে। আউট হওয়ার আগে ২৮২ বলে ১৩৩ রান করেছেন আবিদ আলী। ৪৭.১৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে তিনি ১২টি চারের পাশাপাশি মেরেছেন ২টি ছয়।ইবাদত নিয়েছেন ২ উইকেট, রান দিয়েছেন ৪৭টি। এ ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৬৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *