‘বঙ্গমাতা’ জাতীয় দিবসে পদক পাবেন ৫ নারী

আগামী ৮ আগস্ট দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে পালিত হবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ৮ ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক দেওয়া হবে। পাশাপাশি সারাদেশে ২ হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বুধবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভা থেকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নারীদের জন্যসর্বোচ্চ ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত জাতীয় ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা পদক’ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবার ৮ ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচজন বাংলাদেশী নারীকে এই পদক দেওয়া হবে। পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে নির্মিত পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা এবং সম্মাননা পত্র দেওয়া হবে।

বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। 

গণভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গোপালগঞ্জ প্রান্তে সরাসরি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মিশন ও দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো সজ্জিতকরণ, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্টার তৈরি ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবন ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইলে এসএমএস প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

Leave a Comment