ফাঁদে ফেলে অপহরণ অতপর চাদাঁবাজী

সহজ-সরল মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে নিজ বাড়িতে ডেকে আটকে আপত্তিকর ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ হাতিয়া নেয়া স্বামী-স্ত্রী চক্রের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, দিনাজপুরের একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে নিজেকে সেবিকা বলে এক স্কুল শিক্ষকের সাথে পরিচিত হয় দিনাজপুর খানসামার বাসিন্দা প্রতারক শাহিনা বেগম। এরপর ওই স্কুল শিক্ষককে গত ১১ আগস্ট ডাক্তার দেখানোর নাম করে রংপুরে নিয়ে আসেন।

এরপর ডাক্তার চেম্বারে দেরি করে আসবেন বলে হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার পর পাশেই কটকিপাড়ায় ভাবীর বাড়ি আছে বলে ওই শিক্ষককে নিয়ে যান। বাসায় প্রবেশ করে ওই শিক্ষক দেখেন বাড়িতে আরও ২ জন মহিলা। এরপর বাড়িতে অবস্থানের ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মমিন (২৪)সহ অজ্ঞাত আরও ২জন এসে রুমের দরজায় জোরে ধাক্কা দেয় এবং ওই শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর অজ্ঞাত যুবকরা ওই শিক্ষককে জোর করে খাটে বসিয়ে দুই নারীকে পাশে রেখে ছবি তোলে।

এ সময় শাহীনা ওই শিক্ষকের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করে এবং টাকা না দিলে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার সম্মানহানীর হুমকি দেয়। ওই শিক্ষক লজ্জা ও ভয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শাহিনাকে ৩৫ হাজার টাকা দেয়। এরপর ওই শিক্ষক গত ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় অভিযোগ দেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর শুক্রবার মধ্যরাতে কটকিপাড়া থেকে প্রতারক শাহীনা ও তার স্বামী মমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ, এসআই আবু ছাইয়ুম তালুকদার, এসআই বাবুল ইসলামসহ অন্যরা।

Leave a Comment