প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পে অনিয়মে জড়িত কোনো কর্মকর্তা যদি অবসরে গিয়ে থাকেন, তাঁদেরও শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় এম এ মান্নান বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল। তিন বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ১১ বছরেও হয়নি।

এ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বানে অনিয়ম, একাডেমিক, হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়মসহ বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি। আজ একনেক সভায় আইএমইডির তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যাঁরা এ প্রকল্পে এত দেরি করেছেন, যাঁরা এসব অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। আজকের সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, সরকারি চাকরিতে থাকাকালে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

কোনো কর্মকর্তা আর্থিক অনিয়ম করেছেন কিন্তু চাকরিতে নেই, তখন পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্টের (পিডিআর) মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালে যখন পাস হয়, তখন এর ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। এখন সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২ কোটি টাকা। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেক সভায় ওঠালে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠান। অনিয়মে কারা জড়িত, তা বের করতে আইএমইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আট মাস তদন্ত শেষে আইএমইডি একটি প্রতিবেদন আজ দাখিল করে।


এদিকে আজকের একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব এলাকা এখনো অনগ্রসর, সেসব এলাকার উন্নয়নে নতুন প্রকল্প নেওয়ার জন্য। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আরও বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টানেলের (টিউব) কাজ আগামী শুক্রবার শেষ হবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ।আজকের একনেক সভায় ৬ হাজার ৫১১ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *