পুলিশ ধরতেই লুকিয়ে রাখা স্বামীর ‘কেটে ফেলা পুরুষাঙ্গ’ বের করে দিল স্ত্রী

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে খাটের নিচে ময়লার ঝুড়িতে লুকিয়ে রাখেন স্ত্রী। তবে পুলিশ ধরার পরই বের করে দিয়েছেন লুকিয়ে রাখা স্বামীর বিশেষ অঙ্গের খণ্ডিত অংশ। আর নৃশংস এ কাণ্ডটি ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন বলেও দাবি তার।

আলোচিত এ ঘটনাটি রাজশাহী নগরের সাগরপাড়া এলাকার। এ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন রাজশাহী নগরের মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইফতেখার আল আমিন ও রুপসী দেওয়ান দম্পতি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের সাগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় মামলার পর শুক্রবার সকালে রুপসী দেওয়ানকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ইফতেখার আল আমিনের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি ২০১০ সালে এসআই পদে চাকরিতে ঢোকেন। আর অভিযুক্ত স্ত্রী রুপসী দেওয়ানের বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে এসআই ইফতেখারকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়। পরে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে রাতেই অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। কিন্তু কেটে ফেলা পুরুষাঙ্গ জোড়া দিতে ব্যর্থ হয়েছেন চিকিৎসকরা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বাসাতেই ঘুমিয়ে ছিলেন ইফতেখার। এ সময় চাকু দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে খাটের নিচে ময়লার ঝুড়িতে লুকিয়ে রাখেন স্ত্রী। খবর পেয়ে ইফতেখারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সন্ধ্যায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়। রাত ২টার দিকে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়।

পুলিশের কাছে স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের কথা স্বীকার করেছেন ইফতেখার আল আমিনের স্ত্রী রুপসী দেওয়ান। লিঙ্গের খণ্ডিত অংশও বের করে দিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুপসী দেওয়ান জানান, অন্য নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তার স্বামী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভের বশে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি।

পুলিশের কাছে আগে কেন অভিযোগ করা হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, তার স্বামী তো ‘জাদুকর’ তাকে ধরা যায় না। এ ধরনের অভিযোগ করলে কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু তার উপায় ছিল না। বাধ্য হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন।

ওসি নিবারণ বলেন, ঘটনার পরই স্ত্রী রুপসীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি করেন ওই এসআইয়ের বাবা। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রুপসীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Comment