রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হাঙ্গেরি গ্রেপ্তার করবে না বলে জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবানের চিফ অব স্টাফ গার্জেলি গুলিয়াস আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ইউক্রেন থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে পুতিনের বিরুদ্ধে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এই দেশটি আইসিসির সদস্য হওয়ার পরও তারা এই পরোয়ানা মানতে আইনত বাধ্য নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা গার্জেলি গুলিয়াস।
রাজধানী বুদাপেস্টে এক সংবাদ সম্মেলনে গুলিয়াস বলেন, ‘আমরা হাঙ্গেরির আইনের কথা বলতে পারি এবং সেই ভিত্তিতে আমরা রুশ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করতে পারি না…কারণ হাঙ্গেরিতে আইসিসির আইন জারি করা হয়নি।’
হাঙ্গেরি ১৯৯৯ সালে আইসিসির রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করে এবং প্রধানমন্ত্রী অরবান যখন প্রথমবার ক্ষমতায় তখন ২০০১ সালে এটি অনুমোদন করে।
গুলিয়াস বলেন, হাঙ্গেরির আইনে আইসিসির সংবিধিটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়নি, কারণ ‘এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া কেউই আইসিসির বিচারব্যবস্থা স্বীকার করে না।
বুদাপেস্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে গুলিয়াস বলেছেন, সিদ্ধান্তটি ‘খুব ভালো কিছু নয়’। তিনি বলেন, এটি পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে ‘শান্তির বদলে উত্তেজনা’র দিকে নিয়ে যাবে।
যুদ্ধের আগে থেকেই পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবানের সুসম্পর্ক রয়েছে। অরবান ২০১০ সাল থেকে টানা চারটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কিয়েভে হাঙ্গেরি অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানালে অরবানকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন এবং উল্টো শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।