পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৬০ শতাংশ

পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৬০ শতাংশ

পণ্য রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত অক্টোবরে ৪৭২ কোটি ডলার বা ৪০ হাজার ৫৯২ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছিল ২৯৪ কোটি ডলারের পণ্য। সেই তুলনায় গত মাসে ১৭৮ কোটি ডলারের পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে।
অক্টোবরে রেকর্ড পরিমাণ পণ্য রপ্তানির কারণে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি ডলার। এই আয় গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল ও রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। বড় খাতের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ২৬২ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৮ হাজার ৫৩২ কোটি টাকার। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে ১ হাজার ৪৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশি। জুলাই-অক্টোবর-চার মাসে ৭২০ কোটি ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫৪১ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

পোশাকশিল্পের মালিকেরা বলছেন, ক্রেতা দেশগুলোতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আবার বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি যা-ই থাকুক না কেন, পোশাক কারখানায় তার প্রভাব পড়েনি। সে কারণে ক্রেতারা এ দেশের ওপর আস্থা রেখেছে। তা ছাড়া প্রধান প্রতিযোগী দেশ চীনে পোশাক তৈরির ব্যয় বাড়ছিল। সম্প্রতি জ্বালানিসংকটের কারণে তারা সমস্যায় পড়েছে। ভিয়েতনামেও করোনার বিধিনিষেধে লম্বা সময় কারখানা বন্ধ ছিল। সে জন্য দেশ দুটি থেকে প্রচুর ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে এসেছে। তৈরি পোশাকের পর পণ্য রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য। আলোচ্য চার মাসে ৪৬ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। রপ্তানিতে তৃতীয় স্থানে আছে হোম টেক্সটাইল। এই খাতের রপ্তানির পরিমাণ ৪১ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৬ কোটি ডলারের। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। অবশ্য পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৪ শতাংশ। রপ্তানির পরিমাণ ৩৩ কোটি ডলার।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *