নামাজের ওয়াক্তঃ
আল্লহ তা’আলা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের কর্তব্য।(সূরা নিসা-১০৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’য়ালা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে উযু করে সময় মতো নামাজ পড়বে এবং বিনয় বিনম্রতা সহকারে রুকু করবে, তাকে ক্ষমা করার আল্লহ তা’আলার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আর যে ব্যক্তি এমনটি করবে না তার ব্যাপারে আল্লহ তা’আলার কোন প্রতিশ্রুতি নেই। ইচ্ছে হলে মাফ করবেন, আর ইচ্ছে হলে শাস্তি দিবেন। (আহমদ)
আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদের প্রতি রাত ও দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যথাঃ
১। ফজরের নামাজ, আর তা হল দু’ রাকাত। সুবহে সাদিক থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত ওয়াক্ত বাকি থাকে।
২।জোহরের নামাজ, আর তা হল চার রাকাত। সূর্য মধ্য গগন থেকে হেলে যাওয়ার পর থেকে জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং মধ্যাহ্ন ছায়া ব্যতিত প্রতিটি জিনিসের ছায়া তার দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের ওয়াক্ত বাকি থাকে। এটা হল ইমাম আবু হানীফা (রাহ:)এর মতে, আর এমত অনুসারেই ফতোয়া প্রদান করা হয়। তদুপরি হানাফী মাযহীবের পরবর্তী ওলামায়ে কেরামের মতে আবু হানীফা (রহ:)এর কথা অনুসারে করতে হবে।
ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (রাহ:)এর মতে প্রতিটি জিনিসের ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের ওয়াক্ত বাকি থাকবে। ইমাম তাহাবী (রাহ:)শেষোক্ত মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
৩।আছরের নামাজ, আর তা চার রাকাত। জোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে আছরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং সূর্য ডোবা পর্যন্ত বাকি থাকে।
৪।মাগরিবের নামাজ, আর তা হল তিন রাকাত। সূর্যাস্তের পর থেকে মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং দিগন্ত লালিমা অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত ওয়াক্ত বাকি থাকে। এই মত অনুসারে ফতোয়া প্রদান করা হয়েছে।
৫।এশার নামাজ, আর তা হল চার রাকাত। (পশ্চিম দিগন্তে) লালিমা অদৃশ্য হওয়ার পর থেকে এশার ওয়াক্ত শুরু হয় এবং সোবহে সাদিক পর্যন্ত ওয়াক্ত বাকি থাকে।
বিতের নামাজঃ
এটা ওয়াজিব। এশার ওয়াক্তই হলো বিতির নামাজের ওয়াক্ত।উভয়ের মাঝে পার্থক্য হলো, বিতের নামাজ এশার নামাজের পরে পড়া হয়।অতএব কেউ যদি এশার নামাজের আগে বিতের নামাজ পড়ে নেয় তাহলে এশার নামাজের পর পুনরায় বিতের নামাজ পড়া তার উপর ওয়াজিব হবে।
এই সমস্ত ফিকহ প্রদান করেছেন- “হযরত মাওলানা শফীকুর রহমান নাদভী (র:)
reporter: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।