দেশী সৌন্দর্যপণ্যে ইরানি মডেলের সাজ

ফারনাজ আলমের কাজের ক্ষেত্র ,আন্তর্জাতিক মডেলিং জগতের পুরোটাই বাংলাদেশী সৌন্দর্যশিল্পী । তাঁর নিজের ব্র্যান্ড আছে ‘কণা’ নামে । তবে এছাড়া তিনি উইমেন’স ওয়ার্ল্ডের সিইও । এক মডেলকে সাজানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে রংপুর ডেইলীকে লিখেছেন দুবাইভিত্তিক ইরানি। ​সঙ্গে সঙ্গে একটা বোল্ড লুক কল্পনায় চলে আসে আমরা যখন লালের কথা ভাবি । তবে আমি দুই ধরনের রেড মিক্সড করে ঠোঁটের রেডটা করেছি । আর এর ভেতর একটা স্কারলেট রেড । ব্রাউনি শিমার গোল্ডেন আইজের আউটলাইনে ব্যবহার করেছি । তবে চোখের ওপর ভাগে মূলত গোল্ডেনই । তবে আউটার লাইনে ব্রাউনিশ কালারটা দিয়ে ফিনিশিং টানা করে ।

আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ চোখের মেকআপের ব্যাপারে আরেকটা জিনিস । আমি সব সময় বলি এটা । তবে সেটা হলো আইব্রো। খুবই জরুরি আইব্রোগুলো কিন্তু সুন্দর করে ডিফাইন করা । অনেকগুলো ট্রেন্ড চলে এসেছে এখন আইব্রোজে । হালকা করে বা যতটা দরকার এঁকে দেওয়া আইব্রোকে ঠিকমতো কেটেছেঁটে ডিফাইন করে । তবে আামি আমার গর্জিয়াস লুকের সঙ্গে মানানসই আইব্রো বানিয়েছিলাম । সাজের আইব্রো চলে কেননা, একেকটা লুকের সঙ্গে একেক ধরনের । একটা ঠিকঠাক আইব্রো খুবই জরুরি চেখের ফুল মেকআপের জন্য ।

আমার একটা ফরাসি আলোকচিত্রী বন্ধু আছে জেরেমি জেসিঞ্জার নামে । কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম আমরা একই সঙ্গে । আমি আর্কিটেকচারে ও পড়ত ফটোগ্রাফি নিয়ে। তবে তারপর ও ফটোগ্রাফিতে ক্যারিয়ার গড়েছে তিনি । তবে আমি মেকআপকে পেশা হিসেবে নিলাম জীবনে । মোকআপ করতে খুব পছন্দ করতাম আমি স্কুল থেকেই । আর তখন তো আর মডেল পেতাম না। তবে নিজের ওপর নিজে ট্রাই করতাম । আমি নিজের ওপরেই মেকআপ করতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেও । আমার ছবি তুলে দাও আর ওকে বলতাম, প্লিজ । তবে এখন তো ও অনেক নামকরা মডেল ফটোগ্রাফার হয়ে গেছে । আর এল, ভোগসহ নানা ম্যাগাজিনের কাজ করে তিনি ।

একটা ফটোশুটের জন্য জেরেমি দুবাইয়ে এসেছিল । তবে এসে আমাকে নক দিয়েছিল । মেকআপের ভূত মাথা থেকে নেমেছে কি না জানতে চেয়েছিল আমি এখনো লোকজন ধরে ধরে সাজাই কি না। আমি বললাম যে নামেনি । আমরা তাহলে একটা টেস্টশুট করি আমি মেকআপকেই ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছি। তখন ও বলল, ঠিক আছে । একটার পর একটা ফটোশুট করলাম সেই টেস্টশুট করতে গিয়ে । তবে তার ভেতর সবার আগে করলাম মাইসার শুট। তারপর আরেকটা করলাম । নিজের ওপরেই করলাম তৃতীয়টা । নিজেই নিজেকে সাজালাম আমার মেকআপ ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট দিয়ে । তবে এভাবে টানা ১২টা শুট করলাম আমি ।

তা নয় ,আমি যে বাইরের প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না। যে নিজের ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টই ব্যবহার করি, তা–ও নয় বা সব সময় । যে আমার প্রোডাক্ট কেবল বাংলাদেশে না, দেশের বাইরেও মানুষেরা পছন্দ করছে । এটা মোটেও ঠিক না বাংলাদেশের মেকআপ প্রোডাক্ট মানেই নকল হবে, ভালো হবে না । তবে যখন বিদেশিরা আমার মেকআপ নিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘এটার শেড কত? নম্বরটা কত? এই আইব্রোতে কী দিয়েছ? এই নতুন আইশ্যাডোটা কোথাকার?’ এই প্রশ্নগুলো আমার ভালো লাগে। কেননা, এগুলো আমরা বাইরের দেশের প্রোডাক্টের জন্য করি। এ জন্য আমি খুবই গর্বিত।

কোয়ালিটি’তে একচুলও ছাড় দিইনি আমি কোনো দিন ‘। যে ব্যবহার করেছে, সে যেন আরও একবার করে। মাইসার খুবই ভালো লেগেছে আমার সঙ্গে, কণার প্রোডাক্টের নিয়ে কাজ করে। আমাদের আসলে একটা টেস্টলুক করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা একসঙ্গে দুটো কাজ করেছি। আমি সব সময় চেয়েছি যে আমার প্রোডাক্ট একবার। তবে মাইসার খুবই ভালো লেগেছে আমার সঙ্গে, কণার প্রোডাক্টের নিয়ে কাজ করে। একটা টেস্টলুক করার কথা ছিল আমাদের আসলে । তবে আমরা একসঙ্গে দুটো কাজ করেছি।

Leave a Comment