তথ্য সংগ্রহে ১৬ নির্দেশনা: ভোটার তালিকা হালনাগাদ

নির্বাচন কমিশন

ভোটার তালিকা হালনাগাদের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন আগামী ২০ মে থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করবে। প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ২০ মে থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে অন্য উপজেলাতেও একই নিয়মে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একইসঙ্গে যাদের জন্ম ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে, তাদেরও নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক পরিপত্র জারি করে তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঠ প্রশাসনকে রোহিঙ্গা ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে সতর্কতাসহ সুনির্দিষ্ট ১৬টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—

১.বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের তথ্য নিবন্ধনের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে।

২. তথ্যসংগ্রহকালে কোনও ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের আগে তিনি ইতোপূর্বে ভোটার হয়েছেন কিনা, তা অবশ্যই নিশ্চিত করা।

৩. বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়া।

৪. কোনও ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোনও পেশা, খেতাব, পদবি, অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা।

৫. ভোটার যোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা।

৬.বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সময় ভোটারযোগ্য অনুপস্থিত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অবশ্যই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

৭. নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা।

৮.সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতি দিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা।

৯. সুপারভাইজাররা তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণকৃত ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গমন করে শুদ্ধতা যাচাই করা এবং কোনও ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করা।

১০. ভোটারযোগ্য নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা, অর্থাৎ কোনোক্রমেই ভোটারযোগ্য কোনও নারী যেন বাদ না পড়েন, তা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা।

১১. নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা।

১২. বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। বিশেষ তথ্য ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিশেষ এলাকাগুলোর জন্য তথ্য ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ করা।

১৩. এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় নাম স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের নিকট দাখিল করা।

১৪. মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

১৫. তথ্যসংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখতে হবে।

১৬. কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা এবং অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *