ঢাকার পথে আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস

ঢাকার পথে আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক হল তৃতীয় আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেন।

বুধবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ নাগাদ নিউজলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ঢাকার রেলপথে রওনা দেয় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে (ভারতীয় সময়)।

নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা ১৫ মিনিট আগেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যাত্রার সূচনা করেন দুই দেশের রেলমন্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলাহাটি আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ময়নুল হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সময়ের নির্ধারিত সময়ের আগে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে চিলাহাটিতে গ্রহণ করা হবে।

মিতালি এক্সপ্রেস সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) ভারতের হলদিবাড়ি স্টেশনে অবস্থান করছে। প্রথম দিন ট্রেনটিতে যাত্রী রয়েছে ১৭ জন। এর মধ্যে ভারতীয় যাত্রী ৪ জন ও বাংলাদেশি ১৩ জন।

সূত্রমতে, ভারতীয় রেলকোচে পরিচালিত মিতালি এক্সপ্রেস’র প্রথম যাত্রা নিউজলপাউগুড়ি (এনজেপি) থেকে শুরু করে ভারতের ৫৯ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিয়ে হলদিবাড়ির খালপাড়া সীমান্ত রেলগেট দিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলার মাটির চিলাহাটি সীমান্তের ঢুকবে দুপুর বাংলাদেশের সময় ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ।

এই দিনই ট্রেনটি রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পৌঁছাবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে। এর মাঝে মিতালি ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশনে পৌঁছার পর ৩০ মিনিট বিরতি দেবে।

ভারতীয় ইঞ্জিনটি এখানে বিচ্ছিন্ন করে সংযুক্ত হবে বাংলাদেশের ইঞ্জিন। এরপর চেক পয়েন্ট সেরে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ঢাকার দিকে ছেড়ে যাবে।

ট্রেনটিকে চিলাহাটি স্টেশনে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ রেলের ও নীলফামারী জেলা প্রশাসনের উচ্চপদের কর্মকর্তারা।

এখন ট্রেনটি বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্ত রেল করিডর এলাকায় দুই বাংলার হাজারো মানুষ।

রেল সূত্রে জানা গেছে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনটি অতিক্রম করবে ৫৯২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারতে অংশের পড়ছে ৫৯ কিলোমিটার। সময় লাগবে প্রায় ১১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। মিতালির যাত্রীদের নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনে পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষা করা হয়। যখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে যাত্রীরা নামবে সেখানেও একইভাবে ইমিগ্রেশন করা হবে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে নিউ জলপাউগুড়ি পর্যন্ত মিতালির ফিরতি পথেও একইভাবে যাত্রীদের পাসপোর্ট-ভিসা ইমিগ্রেশন করা হবে।

পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় নতুনভাবে দুই দেশ ১০ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপন করে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়েছিল। সে সময়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রেন গিয়েছিল ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত। এরপর ২০২১ সালের পয়লা আগস্ট হতে এই পথে নিয়মিত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *