স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর পণ্য পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করেছেন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিকদের সংগঠনের নেতারা। আজ সোমবার রাত আটটার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পণ্য পরিবহন খাতের মালিকেরা নানা দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সমিতির নেতারা ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ট্যাংকলরি ও প্রাইম মুভার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রোস্তম আলী খান বৈঠকে পরিবহন নেতাদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও রুস্তম আলী খান দুজনই ধর্মঘট স্থগিত করার তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত বুধবার রাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর তিনটি দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন পণ্য পরিবহনের যানবাহনের মালিকেরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পণ্যবাহী যানবাহন থেকে টোল আদায় বন্ধ।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, মুক্তারপুর ও বঙ্গবন্ধু সেতুর বর্ধিত টোল সরকার আগেই স্থগিত করেছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। আর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পণ্যবাহী যানের টোল যাতে আদায় না করা হয়, সে বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে বৈঠকে আশ্বাস দেওয়া হয়।
অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা হবে না। তবে ট্রাক-কভার্ড ভ্যানসহ পণ্যবাহী যানবাহনের আয়ের বড় উৎস তৈরি পোশাক খাত। এই খাতের মালামাল পরিবহনে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং নিট পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি। এই আশ্বাসের পরিপ্রক্ষিতে ধর্মঘট স্থগিত করেন পণ্য পরিবহন খাতের নেতারা।