টুইটার সিইওর পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বিতর্ক

টুইটার ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়াল এই সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছেন যে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় তিনি কয়েক সপ্তাহের ছুটি নেবেন। পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথা (ট্যাবু) ভাঙায় অনেকেই তাঁর প্রশংসা করছেন। অন্যরা বলছেন, এ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বেশি দূর যেতে পারবেন না।মার্কিন কোম্পানিগুলোতে কত দ্রুত নিয়ম বদলাচ্ছে তার ইঙ্গিত দিচ্ছে আগারওয়ালের ঘোষণা। তবে একই সঙ্গে সবচেয়ে বড় হয়ে যে প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে সেটি হলো, টুইটার যে ২০ সপ্তাহের ছুটি দিচ্ছে তা কেন নিচ্ছেন না আগারওয়াল। রেডিট ইনকরপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান যেমন আগারওয়ালের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনার যত সময় লাগে (ছুটি) নিন।’ অন্যরা বলছেন, আগরওয়াল আরও ছুটি নিলে কর্মীরাও ভাববেন এমন ছুটি পাওয়াই যাবে।


পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে উচ্চকিত মানুষদের একজন অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি পিতৃত্বকালীন ছুটি এভাবে ভাগ করতে পারেন না। যেমন প্রথমে কয়েক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে এটা নিশ্চিত হওয়া যে বাড়িতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কি না। এরপর প্রতি শুক্রবার ছুটি নিয়ে বাকি ছুটি ব্যবহার করা।’অ্যালেক্সিস ওহানিয়ানের আরেক কোম্পানি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ইনিশিয়ালাইজড ক্যাপিটালের কর্মীরা এখন চার মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি পান। গত বছরের অক্টোবরে এর সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্যারি ট্যান বলেন, সময় আসলে পুরো চার মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি নেবেন তিনি, যাতে করে সব কর্মী স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটি নিতে পারেন।


পরাগ আগারওয়াল টুইটারের প্রযুক্তি প্রধান থেকে গত বছরের নভেম্বরে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পান। টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। টুইটারের মুখপাত্র লরা ইয়াগারম্যান বলেছেন, ‘পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার সময় টুইটারের নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন আগারওয়াল।’বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যার যেভাবে ছুটি নিলে ভালো হয়, টুইটারে আমরা কর্মীদের সেভাবেই পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত এবং পূর্ণ সমর্থন করি।’যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, পিতৃত্বকালীন ছুটির কোনো সময় বেঁধে দেওয়া নেই। তবে বাইডেন প্রশাসন ‘বিল্ড ব্যাক বেটার প্ল্যান’–এর খসড়ায় ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়। পরে অবশ্য সেটি চার সপ্তাহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের মাত্র ২৩ শতাংশ এই ছুটি পান।’

Leave a Comment