অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস আগামী মাসে মহাকাশে যাবেন। তা যাক, তবে তাকে আর পৃথিবীতে ফিরতে দেওয়া উচিত নয়- এতে ৩৪ হাজার মানুষ অনলাইন আবেদনে অংশ নিয়েছেন।
বেজোস কেবল অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা নয়, মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা ব্লু অরিজিনেরও প্রতিষ্ঠাতা। ৬ জুন, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি এবং তার ছোট ভাই নিউ শ্যাপার্ড মহাকাশযানে কিছুক্ষণের জন্য মহাকাশ থেকে ফিরে আসবেন। মানুষ নিয়ে ব্লু অরিজিনের প্রথম বিমানটি ২০ জুলাইয়ে দিনটি ঠিক করা হয়েছে।
বেজোসের এই ঘোষণার পরে তাকে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসতে বাধা দিতে দুটি আবেদন করা অনলাইনে চালু করা হয়েছিল। এর চালুর দিন কয়েকে হাজার মানুষ এতে অংশ নেয়।
“জেফ বেজোসকে পৃথিবীতে ফিরে আসতে দিও না” শিরোনামে এই পিটিশনটি এখন পর্যন্ত চেঞ্জ ডট অর্গ ওয়েবসাইটে ৩৪০০০ এর বেশি স্বাক্ষর পেয়েছে।
“বিলিয়নেয়ারের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয় . এটি পৃথিবীতে অথবা মহাশূন্যে একই,” তিনি বর্ণনা বাক্সে লিখেছিলেন। তবে যদি তারা পরেরটা পছন্দ করে তবে তাদের সেখানেই থাকা উচিত। ‘
আবেদনে অংশ নেওয়া কয়েকজন স্বাক্ষর করার পিছনে যুক্তি দেখিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “বিশ্বে ফিরে আসা একটি অগ্রাধিকার, অধিকার নয়।” অন্য একজন লিখেছেন, “বিশ্ব জেফ, বিল (গেটস), এলন (কস্তুরী) এবং এই জাতীয় অন্যান্য কোটিপতিদের পৃথিবী চায় না।”
হোসে অরতিজ অনুরূপ আর একটি পিটিশন খোলেন। স্বাক্ষর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। “মানবজাতির ভাগ্য আজ আপনার হাতে রয়েছে,” হোস স্বাক্ষরকারীদের লিখেছিলেন।
বেজোস অবশ্য মহাকাশে খুব বেশি দূর যাচ্ছেন না। ফ্লাইটটি থেকে ছাড়তে কেবল ১১ মিনিট সময় লাগবে। তার ছোট ভাই মার্ক বেজোস ছাড়াও আরেক ব্যক্তি সেই অভিযানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না কেরা সেই ব্যক্তি ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারে একটি নতুন শেপার্ডের শূন্য আসনের টিকিট কিনেছিল। তারা নিউ শেপার্ড মহাকাশযানের গম্বুজ আকারের ক্যাপসুলে থাকবে। এবং এটি রকেট বুস্টারটির সাথে যুক্ত হবে।
পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উপরে মহাকাশের কাল্পনিক সীমানা, অর্থাৎ ক্যাপসুলটি কারমান লাইনে পৌঁছালে রকেট বুস্টার থেকে আলাদা হয়ে যাবে। নভোচারীরা সেখানে তিন মিনিটের ওজনহীনতা অনুভব করবেন। তারপরে পৃথিবীতে ফেরার যাত্রা শুরু হবে। প্যারাশুটগুলি অবতরণে সহায়তা করা হবে।
সে অভিযানের প্রচারের ঘোষণা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জেফ বেজোস বলেছিলেন, “আমি এই অভিযানে অংশ নিতে চাই, কারণ এটি এমন একটি কাজ যা আমি সবসময়ই করতে চেয়েছিলাম। এটি একটি অভিযাত্রা। এটি আমার পক্ষে বড় ব্যাপার।”