জমি দখলের চেষ্টা,মানা হচ্ছেনা আদালতের রায়

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পাড়েরহাট এলাকায় উমেদপুরের নাসিরউদ্দিন শেখ ও জাকির হোসেন এ ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।

ভুক্তভোগী নাসির শেখ জানান, কবির হোসেন, ছগির, রফিকুল ইসলাম, আলতাফ হাওলাদার, মো: বাচ্চু, সগীর দলবল নিয়ে নাছির উদ্দিন ও তার পরিবারের উপর বিভিন্ন সময় হামলা করে নাসির ও জাকিরের জমি দখল করে সীমানা পিলার উপড়ে ফেলে। তিনি আরো জানান,পিরোজপুর জেলাধীন ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর মৌজার এস এ ৫৪৭ , ৫৪৮,ও ৫৪৯ নং খতিয়ানের এস এ ৩৬২ ,৩৬৪, ৩৭৫,৩৭৭,৩৭৬ ও ৩৮০ নং দাগের ৩.১৮ একর ভুমি আদালতের রায় মোতাবেক আদালতের জারীকারক লাল নিশান পুতে আমাদের বুঝিয়ে দেন কিন্তু কবীর গং ওই লাল নিশানা উপড়ে ফেলে সীমানা পিলার ভেঙ্গে জমি দখলের চেষ্টা করে, এসময় আমি বাধা দিলে তারা আমাদের মারধর করে।

স্থানীয় বাসিন্দা বারেক হাওলাদার জানায়, আদালতের রায় অমান্য করে কবির গং বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কায়দায় নাসির ও তার পরিবারের উপর হামলা করে জমি দখলের চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে নাসির ও জাকির বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে একাধিক বার সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু কোন সালিশে সিদ্ধান্ত কবির গং মানেনা।

স্থানীয় বাসিন্দা, জামাল বেপারী ও আরিফ সিকদার জানান, কবির গং বিভিন্ন সময় নাসির ও তার পরিবারের উপর হামলা চালানো সহ তার পরিবাররকে হুমকি সহ তাদের জমি দখলের চেষ্টা করছে।

স্থানীয় তহসিলদার আবুল বাসার জানায়, আগামী ১ আগষ্ট স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার তারিখ দেয়া আছে কিন্তু কবীর গং এর আগেই জমি দখলের উদ্দেশ্যে জমিতে ধানের বীজ রোপনের চেষ্টা করে এতে নাসির শেখ বাধা দিলে তারা নাসির শেখের ছেলে সাব্বিরকে মারধরের উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন লোকমান হোসেন মোল্লা জানান, আমি মসজিদে আসার পথে সাব্বিরকে ধাওয়া করতে দেখে সাব্বিরকে পালিয়ে যেতে বলি।


এ ব্যপারে মতামত জানার জন্য কবীর হোসেন বা তার পরিবারের কোন সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *