ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ গাজীপুরের টঙ্গীর হিমারদিঘী কেরানীরটেক বস্তি এলাকা থেকে।তবে তাকে মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে আজ বুধবার সকালে তাঁকে।
টঙ্গীর নোয়াগাঁও হিমারদীঘি এলাকার হোসেন আলীর ছেলে গ্রেপ্তার রেজাউল করিম (৩২) । তবে তিনি টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের এই নেতা সম্প্রতি সাজ্জাদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে। টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার এই ঘটনায় বাদী হয়ে। তবে সেই মামলায় ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
রেজাউলের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় চাঁদাবাজির মামলা আছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ইলতুৎমিশ বলেন এই কথা । গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউলকে মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন দত্তপাড়া এলাকায় তাঁর নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ।
একই দিন নবীন হোসেন নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করে পুলিশ উপকমিশনার ইলতুৎমিশএই কথা জানায় । তবে তাঁর কাছ থেকে পুলিশ ৭৭০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০০টি ইয়াবা উদ্ধার করে ।তবে জিজ্ঞাসাবাদে নবীন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে ওই ৫০০ ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে রেজাউল করিম তাঁকে সরবরাহ করেছেন। গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আজ সকালে রেজাউল করিম ও নবীন হোসেনকে।
২৫ এপ্রিল রংপুর ডেইলীতে ‘মাদকে কোটিপতি ছাত্রনেতা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর সংবাদ প্রকাশের পর ওই ছাত্রলীগ নেতার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। তবে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ।