চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা

চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণাযুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম পাটাপুটিয়ান চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পেয়েছেন

সুইডেনের স্টকহোমে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয় আজ সোমবার। আমরা যদি গত ১০ বছরের নোবেলজয়ীদের তালিকা দেখি, তবে কেবল একবারই চিকিৎসাবিজ্ঞানে একক বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

২০২১

যাঁরা পেলেন: যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম পাটাপুটিয়ান।

যে কারণে পেলেন: মানুষের উষ্ণতা এবং স্পর্শের অনুভূতি বুঝতে পারার রিসেপটর আবিষ্কারের জন্য নোবেল পান তাঁরা।

২০২০

যাঁরা পেয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভি অল্টার ও চার্লস রাইস এবং যুক্তরাজ্যের মাইকেল হটন।

যে কারণে পেয়েছেন: হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কার করে সংবেদনশীল রক্ত পরীক্ষা এবং সংক্রামক রোগনাশক ওষুধ তৈরির পথ দেখান।

২০১৯

যাঁরা পেয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম কেলিন ও গ্রেগ সিমেনজা এবং যুক্তরাজ্যের পিটার র‍্যাটক্লিফ।

যে কারণে পেয়েছেন: অক্সিজেনের মাত্রা বুঝে মানবকোষ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং মানিয়ে নেয়, তা বুঝতে সাহায্য করে এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা।

২০১৮

যাঁরা পেয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পি অ্যালিসন এবং জাপানের তাসুকু হোনজো।

যে কারণে পেয়েছেন: মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ক্যানসার চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পান।

২০১৭

যাঁরা পেয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্রের জেফরি হল, মাইকেল রসব্যাশ এবং মাইকেল ইয়ং।

যে কারণে পেয়েছেন: শরীরের ভেতরের জৈব ঘড়ি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পান। এই ঘড়ি সিংহভাগ জীবের ঘুম-জাগরণের চক্র নির্ধারণ করে।

২০১৬

যাঁরা পেয়েছেন: জাপানের ইয়োশিনোরি ওহশোমি।

যে কারণে পেয়েছেন: অটোফেজি নিয়ে কাজ করার জন্য নোবেল পান। শরীরের কোষগুলোর ‘নিজেদের খেয়ে ফেলা’র প্রক্রিয়া এটি, যা একপর্যায়ে পারকিনসনস এবং ডায়াবেটিসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২০১৫

যাঁরা পেয়েছেন: মার্কিন নাগরিক উইলিয়াম ক্যাম্পবেল, জাপানের সাতোশি অমুরা এবং চীনের তু ইউইউ।

যে কারণে পেয়েছেন: ম্যালেরিয়া ও কেঁচো কৃমির চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য নোবেল পান।

২০১৪

যাঁরা পেয়েছেন: যুক্তরাজ্যের জন ও’কিফে এবং নরওয়ের এডভার্ড আই মোজার ও মে-ব্রিট মোজার।

যে কারণে পেয়েছেন: ‘অভ্যন্তরীণ জিপিএস’ ব্যবস্থার সাহায্যে মস্তিষ্কের পথনির্দেশ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তাঁরা।

২০১৩

যাঁরা পেয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্রের টমাস সি সুডহফ, জেমস ই রথমান এবং র‍্যান্ডি ডব্লিউ শেকমান।

যে কারণে পেয়েছেন: কোষের পরিবহনব্যবস্থা বিন্যস্তের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার জন্য নোবেল পান তাঁরা।

২০১২

যাঁরা পেয়েছেন: জাপানের শিনিয়া ইয়ামানাকা এবং যুক্তরাজ্যের জন বি গুরডন।

যে কারণে পেয়েছেন: পরিপক্ব কোষকে কীভাবে স্টেম কোষে ফিরিয়ে নেওয়া যায়, তা দেখানোর জন্য নোবেল পুরস্কার পান তাঁরা।

আগামীকাল থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত একে একে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেলের ঘোষণা আসবে। ১১ অক্টোবর অর্থনীতিতে ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে নোবেলের এবারের আসর।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *