রমেক হসপিটালে মায়ের চিকিৎসা নিতে গিয়ে চাঁদা না দেয়ায় হসপিটাল স্টাফদের মারধোরের শিকার হলেন বেরোবি ও রাবি শিক্ষার্থী দুই ভাই।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী রিয়াদের মাকে(রহিমা বেগম) বিকেলে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করায় রিয়াদ ও রিয়াদের ভাই রাবির শিক্ষার্থী রাশেদ।
ভর্তির সময় মেডিকেল স্টাফ অতিরিক্ত চাঁদা চাইলে দিতে নারাজ হয় রিয়াদ। একপর্যায়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয় তাদের মাঝে।
পরে রিয়াদের মোবাইল, মানিব্যাগ থেকে শুরু কতে গুরুত্বপূর্ণ সব জিনিস নিয়ে রেখেছে মেডিকেল স্টাফ।
এখন রাত 10 টা বাজে প্রায় এখন পর্যন্ত রিয়াদের মায়ের চিকিৎসা শুরু হয়নি। বর্তমানে তারা অবস্থান করছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের দুই তলায় মেডিসিন বিভাগের সামনে।
সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্ঠা করুন। আসুন মেডিকেল মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং একজন মুমূর্ষু মায়ের পাশে দাঁড়াই।
রেজওয়ানুল করিম রিয়াদ জানায়, ‘আমি ও আমার ভাই সহ অসুস্থ মাকে ভর্তি করার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে আসি৷ এসময় ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলরা ৩০ টাকার জায়গায় অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। অতিরিক্ত টাকার মেমো চাইলে তারা (স্টাফ) মেমো দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কেন অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে এর প্রতিবাদ করার সাথে সাথেই প্রায় ১৫/১৬ জন মিলে তাকে ও তার ছোট ভাইকে ব্যাপক মারধর করে।
এঘটনায় তার ছোটভাই ছোট ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ করিম ছবি তোলার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করে স্টাফরা। এসময় তাদের মোবাইল নিয়ে রেখে দেয় তারা। কিছুক্ষণ পরে মোবাইল ফেরত দিলেও এ ব্যাপারে বারাবারি করলে তাদের দুই ভাইকে গুম করারও হুমকি দেয় স্টাফরা। এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে মারধরের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী ’
মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এস.আই আপেল বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঐ শিক্ষার্থীর মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। বিষয়টি থানার বড় অফিসারকে জানিয়েছি। তারা এসে বিষয়টি দেখবেন।’
যোগাযোগ: সাইফুল ইসলাম
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
সেশন: ২০১৬-১৭ ইং
মোবাইল: 01780526720