ওই সংঘাতে আটকে পড়া লোকজনের দুর্দশা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ২০১৩ সালে আইএসের হাতে আটক হন ডেনিয়েল রাই সিরিয়ার সংঘাত। আর মুক্তিপণ দিয়ে ৩৯৮ দিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান ডেনমার্কের ওই আলোকচিত্রী । তবে মুক্তি পাওয়ার পর নিজের সেই দুর্বিষহ দিনগুলো নিয়ে একটি বই লিখেছেন ডেনিয়েল । ওই বইয়ের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে সাড়াজাগানো ছবি ডেনিয়েল গ্র্যান্ড ফিল্ম আড্ডায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ছবিটি নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন । আর সাতজন ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক প্রতিনিধির প্রত্যেকে নিজ দেশের একটি করে ছবি নিয়ে কথা বলেন।
তবে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (বিইইউএফএফ) এই ছবিগুলো দেখানো হবে । আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ঢাকায় এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করেছে । তবে বিইইউএফএফের বিশেষ আয়োজন ছিল গতকালের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা ‘গ্র্যান্ড ফিল্ম আড্ডা’ । ।আর অনুষ্ঠানটি ইইউয়ের ফেসবুক পেজ, ইভেন্ট এবং প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় । প্রথম আলোর সহযোগিতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ।
তবে ভার্চ্যুয়াল আড্ডার শুরুতে ২১ দিনের এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রমো দেখানো হয় । আর ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি তিরিঙ্ক বলেন, যতটা আশা করেছিলাম, এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, এই উৎসব তার চেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে । তবে বাংলাদেশি ও ইউরোপীয় ছবির মিশেলে এবারের উৎসবটা হচ্ছে । আর বাংলা সাবটাইটেলে ছবিগুলো দেখানোর ফলে ছবিগুলো বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছাবে । তবে প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বৈশ্বিক ইস্যুতে আমাদের জনগণের কৌতূহল আছে এবং উদারভাবে বিশ্বের যেকোনো নতুন উদ্যোগ গ্রহণে তৈরি আছে । আরএই উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার প্রধান কারণ আমরা ব্যক্তির সৃজনশীলতা বিকাশের সহযোগী হতে চাই ।’
তবে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে ২০১৯ সালে নির্মিত ডাচ চলচ্চিত্র রোমিজ সেলুন নিয়ে আলোচনা করেন । আর আলঝেইমারে আক্রান্ত ছবির মূল চরিত্র প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি আবেগ আর মানুষের সম্পর্কের সংঘাতের কথা বলেন । তবে মাই ব্রাদার চেইজেস ডাইনোসরস নিয়ে আলোচনা করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নানজিয়াতা ।আর ছবিতে পরিচালক কমেডির মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম নিয়ে ইতালির সমাজের টানাপোড়েন তুলে ধরেছেন । তবে ফায়ার উইল কাম ছবিটি নিয়ে আলোচনা করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রানসিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস । আর ছবির বিষয় দাবানল। সব সময় সাধারণ কারণে এটা হয় না ।
তবে বিভিন্ন স্বার্থে আগুন লাগানো হয়ে থাকে । তবে সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রিস্টিন জোহানসন স্যামি ব্লাড চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করেন; যেখানে নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত স্যামিদের জীবন তুলে ধরা হয়েছে । আর ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের পরিচালক আলিয়া ওলিভিয়ে দাঁতাঁজে ফরাসি ছবি পারফিউম নিয়ে আলোচনা করেন । তবে ঢাকায় গ্যেটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক কার্স্টেন হ্যাকেনব্রখ আলোচনা করেন এক ভায়োলিন শিক্ষককে নিয়ে নির্মিত একটি ছবি নিয়ে । আর চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ রীতির সঞ্চালনায় আরও আলোচনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ) ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী ।