ঘোড়াশালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৩ নম্বর ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান শ্রমিকেরা। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পাশাপাশি দ্রুত কর্মরত শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ নিলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। পলাশ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

এরই মধ্যে নরসিংদীসহ আশপাশের আরও ৯টি ইউনিট এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। তাদের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় লোকজন ও কারখানার শ্রমিকেরা জানান, ভবনটির যে অংশে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সে অংশে ফ্রোজেন ফুড তৈরি করত প্রতিষ্ঠানটি। সেখানকার তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। ওই তাপমাত্রায় শ্রমিকেরা সেখানে কাজ করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে কোনো কিছুর বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এরপরই আগুনের ধোঁয়া ও শিখা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে সব শ্রমিককে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজন শ্রমিক আহত হন। অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এই কারখানায় অনেকগুলো ইউনিটে অনেক ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে ফ্রোজেন ফুডের ইউনিটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে কারখানাটির ওই অংশের ডেকোরেশন ও কিছু মেশিনে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনায় কারখানাটির বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। আহত পাঁচজনকে কারখানার ভেতরেই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক কোনো ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এটা তদন্তের পর বলা যাবে। তবে আমাদের ১২টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’

Leave a Comment