তবে মাস খানেক আগে মোবাইলে কথা ও পরিচয় অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক । আর এরপরে মধ্যে রাতে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে ৩ বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । তবে ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৯জুলাই) মধ্যে রাতে উপজেলার খামার বিষ্ণুগঞ্জ এলাকায় । তবে এ ঘটনায় শনিবার (১০জুলাই) খানসামা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ধর্ষিতা ঐ কিশোরী (১৯)। ধর্ষণের শিকার এই মেয়ে উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা ।
তবে থানায় অভিযোগের পরেই মূল আসামী গোবিন্দপুর এলাকার সাহাদাত হোসেনের ছেলে প্রেমিক সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরান (২৫) থানা পুলিশের হাতে আটক হয় । আর অপর দুই আসামী খামার বিষ্ণুগঞ্জ মন্ত্রীপাড়া এলাকার সুজন ইসলাম (২২) ও মুকুল শর্মা (২৩) পলাতক রয়েছে । তবে থানায় অভিযোগ ও ঐ কিশোরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুমানিক ২০-২৫ দিন আগে সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরান কিশোরীর মধ্যে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় । তবে এরপরে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রেমিক ইমরান।
তবে ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাতে ফোন করে জরুরী গোপন কথা আছে বলে কাকুতি- মিনতি করলে তাঁর সাথে দেখা করতে রাজি হয় কিশোরী । আর এরপরে বাড়ির বাইরে আসলে প্রেমিক ইমরান এবং উৎ পেতে থাকা প্রেমিকের দুই সহযোগী সুজন ইসলাম ও মুকুল শর্মা কিশোরীকে তুলে নিয়ে খামার বিষ্ণুগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটের পিছনে নিয়ে যায় ।
আর সেখানে মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক পর্যায়ক্রমে সেফাউল ইসলাম ইমরান, মুকুল শর্মা ও সুজন ইসলাম ধর্ষণ করে । তবে এমতাবস্থায় মেয়েটি তাঁর ইজ্জত রক্ষার্থে চেচামেচি শুরু করে । আর চিৎকার চেচামেচি শুনে স্কুলের পাশেই রাস্তার পথচারীরা এগিয়ে আসলে আসামীরা মেয়েটির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পড়নের কামিজ নিয়ে যায় । তার পরে পথচারীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁর বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয় ।
তবে আসামীদের দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন ধর্ষিতা ঐ কিশোরী । আর ওসি শেখ কামাল হোসেন বলেন, ঐ কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ১ জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে । তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান অব্যাহত আছে । তিনি আরো বলেন, শান্তি প্রিয় এই উপজেলায় এরকম ঘটনা কখনই কাম্য নয় । তবে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে ।