‘ক্লিনিকালি ডেড’ নওশাদের লাইফ সাপোর্ট খোলার অনুমতি চায় হাসপাতাল

‘ক্লিনিকালি ডেড’ নওশাদের লাইফ সাপোর্ট খোলার অনুমতি চায় হাসপাতাল

ভারতের নাগপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও তিনি এখনো লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানা গেছে।

বিমানের একটি সুত্র বলেছে, নাগপুরের হোপ হাসপাতালে কোমায় থাকা কাইয়ুম ক্লিনিকালি ডেড। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে।

পাইলট নওশাদের স্বজনরা এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তাদের দাবি, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানো হোক। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তারাই সিদ্ধান্ত দিক। এ দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইউম হার্ট অ্যাটাক করেন। শনিবার রাতে তিনি কোমায় চলে যান।

এর আগে গত শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বলেছিলেন, আকাশে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই পাইলট নওশাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময়ে তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কাছের নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান।

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন।

জরুরি অবতরণের পর নওশাদ কাইউমকে নাগপুরের হোপ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, নওশাদ একজন দক্ষ পাইলট। কার্ডিয়াক এরেস্ট হওয়া সত্ত্বেও তিনি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তার প্রেসার হাই হয়ে যাওয়ায় মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।

শনিবার রাতেই কাইয়ুমের শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

এ দিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *