করোনা সংক্রমণ রোধে মুখে মাস্ক ছাড়া কারমাইকেল কলেজে প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও কারমাইকেল কলেজে ক্যম্পাসে সরেজমিনে দেখা যায় যে ক্যম্পাসে বিনা প্রয়োজনে অনেকে বসে আছে অনেকে বিনা প্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখে অভিযোগ করেন কয়েকজন।
কারমাইকেল কলেজ গেটে এই নোটিশটি টাঙানো থাকলেও ক্যম্পাসের ভিতর অনেক লোককে ঘোরাঘুরি ও বসে থাকতে দেখা যায়।
টাঙানো নোটিশটি নিম্নরুপ..
”সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ পনিস্থিতির কারণে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যম্পাসে বিনা প্রয়োজনে শিক্ষার্থী অভিভাবক, বহিরাগতদের প্রবেশ, খেলাধুলা বা ঘোরা ফেরা করতে নিশেধ করা হলো। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এ নোটিশ দেয়া হল।”
অভিযোগকারীর একজন জানান, আমি প্রথমে গেটের নোটিশ না পড়ে ঢুকার চেষ্টা করি। গেটের ভিতরে কয়েকজন মাস্কবিহীন লোকজন দেখতে পাই। তারা আমাকে গেটের নোটিশটি পড়তে বলে।আমি নোটিশটি একটা অযুহাত বের করে, ক্যম্পাসে ঢুকি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কর্মচারীদের মুখে মাস্ক না দেখে আমি বড়ই হতবাক হয়েছি।
অপর এক অভিযোগকারী জানান, আমরা স্বামী-স্ত্রী এই কলেজের ছাত্র-ছাত্রী হওয়া সত্তেও আমাদের মুখে মাস্ক ছিল। আমরা ঢুকার চেষ্টা করলে মাস্কবিহীন কর্মচারীরা আমাদের ঢুকতে দেয় নি বরং আমাদের বলে ‘ ক্যম্পাসের ভিতরে কোন দূর্ঘটনা হলে এর দায় কে নিবে, এজন্য ঢুকতে দেওয়া যাবে না।’ আমরা স্বামী-স্ত্রী করে দেওয়ার পরেও আমি হতবাক হয়েছি তাদের কথায়। আমরা তাদের বললাম ভিতরে তো অনেক লোক বসে আছে, ঘোরাঘুরি করছে, তারপরও আমাদের ঢুকতে দিল না।
সরেজমিনে রংপুর ডেইলী এর কাছে যে ভিডিও ফুটেজটি এসেছে সেখানে দেখা যায়,হাতে একটি খাতা কিংবা বই হলে মুখে মাস্ক আছে কিনা সেটা যাচাই ছাড়াই সেখানকার কর্তব্যরত মাস্কবিহীন কর্মচারীরা ক্যম্পাসে ঢুকতে দিচ্ছে। অপরদিকে কেউ কেউ মাস্ক পরেও ঢুকার চেষ্টা করলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সম্পর্কে জানার জন্য কারমাইকেল কলেজ প্রশাসনকে কয়েকবার ফোন দিলে, আমাদের ফোনটি রিসিভ করেনি নি।