কক্সবাজারে জামায়াতের আমির-সেক্রেটারিসহ ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির, সেক্রেটারিসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশ। ২৪ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সাঈদ নূর বাদী হয়ে এ মামলা করলেও আজ সোমবার রাতে তা জানাজানি হয়। মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অন্যদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন জেলা জামায়াতের আমির ও টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারী, সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম বাহাদুর, শহর শাখার আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক, সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, কক্সবাজার সদর উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলার আমির ফজলুল্লাহ মো. হাসান, সেক্রেটারি আনম হারুন, ঈদগাহ উপজেলা আমির মাওলানা সলিমুল্লাহ জিহাদী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মো. মোহসিন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার বাসিন্দা আবুল কাশেম, মুহুরীপাড়া এলাকার তাহের সিকদার, চান্দের পাড়া কলেজ গেট এলাকার আল আমিন, খুরুশকুল ফকিরপাড়ার সেলিম উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ এবং জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য জাকির হোসাইন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৮০ থেকে ১৮৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দলীয় কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে দলের ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ গায়েবি মামলা করেছে। আইনিভাবে মামলা মোকাবিলা করা হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর সকাল ছয়টার দিকে জেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারির নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী শহরের প্রধান সড়কের কালুরদোকান গ্যাস পাম্পের সামনে ঝটিকা মিছিল বের করে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেন। পরে পুলিশ ও সাধারণ লোকজন এগিয়ে এলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে ৫টি রড, ১৫টি কাঠের লাঠি, ১০ টুকরা কাচ ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ জব্দ করে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হুদা বলেন, গোপনে ঝটিকা মিছিল বের করে ২৪ ডিসেম্বর সকালে শহরে যানবাহনে ভাঙচুরসহ ত্রাস সৃষ্টি করেন জামায়াত–শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে থানায় দলের ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে আজ রাত ১০টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

মামলার প্রধান আসামি ও জেলা জামায়াত আমির নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৪ ডিসেম্বর সকালে তাঁরা শহরের কালুরদোকান এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন। কোনো যানবাহনে ভাঙচুর বা হামলার ঘটনা ঘটেনি। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটেনি। দলীয় কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে দলের ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ ‘গায়েবি’ মামলা করেছে। আইনিভাবে মামলা মোকাবিলা করা হবে।

Leave a Comment