এত লাভ করতে হবে কেন

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন নিত্যপণ্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সুযোগ পেলে অপব্যবহার কইরেন না। ব্যবসা করেন, কিন্তু মানুষকে কষ্ট দিয়েন না।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, করোনাকালে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষের কষ্ট হয়। বাস্তবতা হচ্ছে মাছ, মাংস, পোলট্রি, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অসম্ভব বেড়ে গেছে। এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ফেডারেশনের সভাপতি জসিম উদ্দিন। মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন ভবনে আজ রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় নিত্যপণ্যের আমদানিকারক, আড়তদার ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের নেতারা অংশ নেন।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে জসিম উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে যেদিন পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার করা হলো, সেদিন বিকেলেই প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা কমে গেল। শুল্কমুক্ত সুবিধায় পেঁয়াজ আমদানির আগেই দাম কমাতে পারলেন। তার মানে দাম কমানোর সুযোগ ছিল। তাহলে আগে কেন দাম কমালেন না? তিনি আরও বলেন, ‘দু–চারজন ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সমাজ দোষী হতে পারে না। ফলে ব্যবসায়ীদের জবাবদিহির মধ্যে আসতে হবে। কোনোভাবেই ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেব না।’

নিত্যপণ্য একেক বাজারে একেক দামে বিক্রি হওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘রংপুরের একটি পণ্য পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়। ঢাকার কারওয়ান বাজারে সেটির দাম বেড়ে ১০ টাকা হয়। গুলশানে গেলেই সেটি ২০-২৫ টাকা হয়ে যায়। এত লাভ করতে হবে কেন? আমরা ব্যবসা করব। কিন্তু এমন কিছু করব না, যাতে পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ওপর দোষ বা বদনাম চলে আসে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, এক কেজি চাল বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। অরাজকতা চলছে। এটা ঠিক নয়। আগে কেজিতে ৫০ পয়সা বা ১ টাকা মুনাফা করতেন ব্যবসায়ীরা। এখন কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকাও মুনাফা করছেন কেউ কেউ। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, শ্যামবাজারে আজ দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সেই পেঁয়াজ গুলশানের বাজারে ৬০ টাকা, নিউমার্কেটে ৬৫ ও শান্তিনগর বাজারে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেন এমন হবে?

Leave a Comment