শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের পানি ও জেনারেটরের তেল ফুরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তার বাসভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
সোমবার দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের এক কর্মচারী বলেন, স্যারের (উপাচার্য) বাসায় পানি ফুরিয়ে আসছে। যা আছে তা দিয়ে সম্ভবত বিকেল পর্যন্ত চলবে। তবে বাসায় খাবার ও গ্যাসের কোনো সংকট নেই। সন্ধ্যার পর থেকে স্যার পানির সংকটে ভুগতে পারেন।
তিনি বলেন, ছাত্ররা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু জেনারেটরের তেলও ফুরিয়ে এসেছে। তেল সরবরাহ না পেলে সন্ধ্যার পর থেকে হয়তো আর জেনারেটরও চালানো সম্ভব হবে না।
ওই কর্মচারী বলেন, এখন পর্যন্ত স্যারের বাসার সবাই সুস্থ আছেন। তবে শুনেছি হলে অবরুদ্ধ একজন প্রক্টর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার গায়ে ১০২ ডিগ্রি জ্বর। রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে তাকে ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ দিকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রক্টর ড. আলমগীর কবিরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন।
এ সময় প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় এবং ব্যারিকেড দেওয়ায় আমরা কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছি না। ভিসি স্যার হার্টের রোগী, ওনার ওষুধ প্রয়োজন। তাই আমরা কিছু ওষুধ নিয়ে এসেছি। এ ছাড়া শিক্ষকদের ডর্মের ভেতর একজন শিক্ষকের জ্বরসহ করোনার উপসর্গ রয়েছে। তিনি আমাদের দেখে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। আমরা তাকে এক নজর দেখতে চাচ্ছিলাম। এ ছাড়া আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছিলাম। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আমাদের একবার যেতে দেওয়া হোক। আমরা গিয়ে আবার দ্রুত চলে আসব।
শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে গত ১১ দিন ধরে উত্তাল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ৬ দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন।