নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া আইনকে ‘নতুন মোড়কে পুরোনো জিনিস’ বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেন, ‘নতুন এই আইনটি পুরাতন পদ্ধতিটিকে একটি আইনগত কাঠামোর ভেতরে এনেছে। এক কথায়, এই আইনটি করার পরেও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় সংশয় থেকেই যাচ্ছে।’
আজ শনিবার বিকালে বনানীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।জি এম কাদের বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয়–সংবলিত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান ব্যবস্থায় প্রকাশ করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ ছাড়া মাত্র ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে নাম প্রস্তাব করার বিধানটি বেশি তাড়াহুড়া বলে মনে হয়। যা জনমনে সংশয় সৃষ্টি করতে পারে। ফলে সার্চ কমিটির কাজের স্বচ্ছতা থাকছে না।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার আগে সার্চ কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত নামের তালিকা জনগণের সামনে প্রকাশ করা এবং জনগণের মতামত দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত। জনগণের মতামত বিবেচনায় এনে তালিকা সংশোধনের সুযোগ রাখার ব্যবস্থা রাখলে সার্বিক বিষয়টি স্বচ্ছতা পেত।এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদের ৩ ধারার কারণে রাষ্ট্রপতি মাত্র দুটি নিয়োগ বাদে সব কাজেই পরামর্শ করতে হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান, এস এম আবদুল মান্নান, ফখরুল ইমাম, মীর আবদুস সবুর আসুদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।