ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম জানতে চাইলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । স্বামী স্ত্রীর মধুর মলিন ও‌ আর্দশ দাম্পত্য জীবনরে ক্ষত্রেও রয়েছে সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম । আপনাদের সহজে বোঝার জন্য এবং আয়ত্ত রাখার জন্য আলাদা আলাদা ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম। প্রত্যকেটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ইসলামিক নিয়মে সহবাস । আপনাদের বিবাহিত দাম্পত্য জীবন মধুময় করতে চাইলে ইসলামিক নিয়মে সহবাস এর বিকল্ল নাই ।

 

স্বামীর পুরুষাঙ্গ ছোট থাকার কারণ?

স্বামীর পুরুষাঙ্গ ছোট থাকার কারণ হল স্বামীর পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় নরম থাকে ও সহবাসকালীন যোনিগহবরে প্রবেশের উপযুক্ততা অর্জনের জন্য শক্ত হয়। স্ত্রী সহবাসের সময় তা শক্ত অবস্থা কারও ক্ষেত্রে ছোট হয়, কারও ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত থাকে, স্বামীর পুরুষাঙ্গ ছোট থাকার কারণ তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিঞ্চিত বর্ধিত ও শক্ত হয়।

 

ইসলামে বিয়ে করা কখন ফরজ?

ইসলামে বিয়ে করা কখন ফরজ। যুগ জামানা যেভাবে কঠিন হচ্ছে তাতে ১৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে প্রায় সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক। এই বয়সে ইসলামে বিয়ে করা কখন ফরজ যদি কোন যুবক যুবতী দ্বিমত থাকে তার ক্ষেত্রে বেশী বয়স প্রযোয্য হতে পারে। কিন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইসলামে বিয়ে করা ১৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে ফরজ।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস

ইসলামিক নিয়মে সহবাস করতে চাইলে বিয়ে আগে করতে হবে। বিয়ের আগে সহবাস কখনোই সম্ভব না। বিয়ের আগে সহবাস মানেই হল জেনা করা। বিয়ে করা কি ফরজ নারী কিংবা পুরুষ সবার জীবনে বিয়ে অত্যান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ।‌ বিয়ে ছাড়া কারো জীবনে প্রকৃত সুখ কিংবা জান্নাতের সহবাসের সুখ পাওয়া সম্ভব নয় । ইসলামিক নিয়মে সহবাস সামাজিক জীব মানুষ হিসেবেও সারা জীবন একা থাকা যায় না সঙ্গি ছাড়া ।‌ গল্প করার জন্য হলেও একজন জীব কিংবা মানুষ প্রয়োজন । আর এ জন্য সবথেকে উত্তম সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিয়ে যা উত্তম ও যুগোপযোগী শ্রেষ্ঠ একটি মাধ্যম । ইসলামিক নিয়মে সহবাস বিবাহের মাধ্যমে ঈমান পরিপূর্ণ হয় বিয়ে করা কি ফরজ। ইসলামিক নিয়মে সহবাস চারিত্রিক আত্মরক্ষার অনুপম হাতিয়ার পাওয়া যায় ।‌

ইসলামিক নিয়মে সহবাস এর দোয়া

ইসলামিক নিয়মে সহবাস এর দোয়া যুবক কিংবা যুবতির উত্তম চরিত্র গঠনে সহায়ক হয় ।‌ আদর্শ পরিবার কিংবা মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানসিক প্রশান্তি লাভের জন্য প্রধান উপকরণ হচ্ছে একমাত্র ইসলামিক বিবাহ ।‌ ইসলামিক নিয়মে সহবাস এর দোয়া যা চিরচায়িত প্রত্যেক মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা । চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিয়ের আগেই ইসলামিক নিয়মে সহবাস এর দোয়াকরা মতো ভয়ংকর- আত্মঘাতী অভিশাপ থেকে বাঁচতে আল্লাহ তাআলা সহজ বিবাহের বিধান দিয়েছেন ।

কুরআনে সহবাস এর দোয়া

কুরআনে সহবাস এর দোয়া কিন্ত আমাদের সমাজ যত দিন যাচ্ছে বিবাহ কঠিন করে দেওয়া হচ্ছে। একজন মানুষ চাইলেই জেনা করতে পারে যত সহজে তার থেকে অনেক বেশী কাঠ পোড়াতে হয় বিবাহ করতে। এক্ষেত্রে এই সমাজের সব থেকে বড় কুসংস্কার কি করে বউ চালাবে? তাহলে আমার প্রশ্ন, পৃথিবীর এই ইতিহাসে কেউ বিয়ে করে বউকে না খাওয়াতে পেরে মারা গেছেন এরকম কোন সত্য ঘটনা কিংবা ইতিহাস আছে কুরআনে সহবাস এর দোয়া আপনাদের মাঝে? বরং বিয়ে করে ফকির কে রাজা বানাইছেন অনেক মানুষকে। তাই জেনা ঠেকাতে বিয়ের বিকল্প দুনিয়াতে কিছু নাই। ইসলামিক নিয়মে সহবাস যেহেতু পর্নগ্রাফী মানুষের হাতে হাতে চলে আসছে, সেহেতু বিবাহ ছাড়া একজন যুবক কিংবা যুবতিকে থাকতে দেওয়ার মানেই হল সেই যুবক যুবতী নিজেকেই শুধু পাপের ভাগিদার করলো না। বরং তার সেই পাপের পারসেন্টজ আমাদের সমাজের কাধেও আসবে কুরআনে সহবাস এর দোয়া।

আসুন বিয়েকে সহজ করি, জেনা কে কঠিন করি।

 

পবিত্র কুরআনে ইসলামে বিয়ে করা কখন ফরজ সমন্ধে এসেছে-

অনুবাদ: তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ-হীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (আন নূর  ৩২)

পবিত্র কুরআনে ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম আরো এসেছে-

অনুবাদ: যদি আরও তোমরা ভয় কর যে, তোমাদের মধ্যে এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব এতীম মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, এতীম মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।(আন নিসা ৩)

পবিত্র কুরআনে আরও বলা হয়েছে-

অনুবাদ: আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ইসলামিক নিয়মে সহবাস নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। (আর রুম  ২১)

 

ইসলামে সহবাস এর আগে পূর্ব প্রস্তুতি

ইসলামে সহবাস এর আগে পূর্ব প্রস্তুতি হলদাম্পত্য সম্পর্কে সবচেয়ে মধুর কাজটি হলো স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলন। স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসার তীব্রতম প্রকাশ হচ্ছে এই শারীরিক সম্পর্ক। ইসলামে সহবাসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের যত সান্নিধ্য লাভ করতে পারে, তা অন্য কোনভাবে সম্ভব নয়। তবে সহবাসের আগে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই কিছু করণীয় রয়েছে।

সহবাসের আগে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ইসলামিক নিয়মে সহবাস স্বভাবগতভাবে মানুষ সবাই পরিচ্ছন্নতা প্রিয়। তাই ইসলামে সহবাসের আগে পরিচ্ছন্ন হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের অবাঞ্চিত অংশ যেমন বগল ও নাভির নিচের লোম, নখ ইত্যাদি কেটে রাখতে হবে। ইসলামে সহবাসের আগে ভালো সুগন্ধিময় পারফিউম ব্যবহার করা। ইসলামে সহবাস এর আগে সঙ্গিনীকে আদর করে উত্তেজীত অবস্থায় সহবাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় সহবাস শেষে শুধুমাত্র স্ত্রী কামতা সম্পুর্ণ হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ তাদের কোলে শুওয় থাকতে বলা হয়েছে।

 

ইসলামে বিয়ে করার সঠিক নিয়ম

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম একটি সুন্নাত হচ্ছে বিয়ে করা । তিনি বিবাহের নির্দেশ ইসলামে বিয়ে করার সঠিক নিয়ম দিয়েছেন । হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বিশেষ ভাবে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে একবার বলেছেন, হে পৃথিবীর যুবসমাজ ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখ, তোমরা বিবাহ করো । কেননা এই বিবাহ তোমাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে । আর যে ব্যক্তি বিবাহের (ভরণপোষণের ) সামর্থ্য রাখে না সে যেন‌ রোজা রাখে । কেননা একমাত্র রোজা কামভাব দমনের সহায়ক । ( সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৮৫)

 

মহিলাদের কি দেখে বিয়ে করবেন?

মহিলাদের কি দেখে বিয়ে করবেন? হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বিশেষভাবে বর্ণিত । নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন বিয়ে করার আগে মেয়েদের এই চারটি বিষয় দেখে বিয়ে করো‌ এক, তার সম্পদ; দুই, তার বংশ; তিন, সৌন্দর্য; চার,তার দ্বীনদারী ।

তবে তোমরা মহিলাদের দিনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দাও । তাহলে তোমাদের জীবন কল্যাণময় হবে । ( সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৭০০)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বিশেষভাবে বর্ণিত ।‌ ইসলামিক নিয়মে সহবাস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , সমগ্র দুনিয়াটাই সম্পদ । এর মধ্যে সবচাইতে উত্তম সম্পদ হলো নেককার স্ত্রী । (ইবনে মাজাহ, ১৮৫৫, সহীহ মুসলিম )

হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বিশেষভাবে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলার স্বীয় দায়িত্ব । ১. যারা আল্লাহর পথের মুজাহিদ ২. ওই চুক্তিবদ্ধ ক্রীতদাস যে তাঁর দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে চায় । ৩. ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে চরিত্র সংরক্ষণের জন্য বিয়ে করে । ( জামে তিরমিজী, হাদীস নং ১৫৭৯) সহীহ বুখারীতে আরো বর্ণিত হয়েছে, বিয়ে হলো আমার সুন্নাত যে ব্যক্তি আমার সুন্নত তরীকা ছেড়ে চলবে সে আমার দলভুক্ত নয় । কোরআন ও হাদিসের আলোকে আপনারা সবাই বিবাহের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানলেন । অতএব আপনারা সকলেই পছন্দসই মেয়েকে বিবাহ করুন । আর বিয়ের কাজ শেষ হলে লেখা গুলো পাঠ করতে থাকুন ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম ।

 

ইসলামে সহবাস এর পরে করণীয়

ইসলামে সহবাস এর পরে করণীয় হল যে সহবাসের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনের যৌনাঙ্গ হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া উচিত নয়। তারপর স্বামী-স্ত্রী দুইজনে সামান্য কিছু মধু সেবন করে নিবেন। সহবাস শেষ করে দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করে নিতে হবে। তবে কেউ যদি গোসল করতে না চায় তবে তার জন্য ওযু করে ‍ঘুমানোর অনুমতি আছে। যদি সহবাসের পর স্বামী যদি বেশীক্ষণ ইসলামিক নিয়মে সহবাস ঘুমিয়ে থাকে তাহলে স্ত্রীর দায়িত্ব হলো ফজরের নামাযের জন্য স্বামীকে জাগিয়ে দেয়া। আর যদি স্বামী অবহেলা করে নামাজ না পড়ে তাহলে স্বামীর গুনাহ হবে।

 

ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

১. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল সামর্থ্য অনুযায়ী স্ত্রীর ভরণপোষণ দেওয়া এবং স্ত্রীর জন্য পৃথক বাসস্থান( ঘর) ব্যবস্থা করা ।

২. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল স্ত্রীকে দীনি মাসআলা-মাসায়েল শিখাতে থাকা এবং নেক কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে থাকা ।

৩. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল স্ত্রীর সাথে সুন্দর আচরণ করা । ভালো ব্যবহার করা । ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অহেতুক রাগ না করা ।

৪. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল মাহরাম আত্মীয় স্বজনের সাথে মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া । সম্ভব হলে তাদের বাসায় বেড়াতে যাওয়া ।

৫. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল অনর্থক স্ত্রীর প্রতি কু ধারণা পোষণ না করা এবং তার ব্যাপারে একেবারে উদাসীন ও না হওয়া । মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা ।

৬. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল খরচের ব্যাপারেও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা । কৃপণতা না করা । আবার অপ্রয়োজনীয় খরচেরও অনুমতি না দেওয়া ।

৭. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল প্রয়োজন অনুপাতে তার মানবিক চাহিদা পূরণ করে তার দিল-দেমাগ ও দৃষ্টিকে গুনাহ থেকে হেফাজতের ব্যবস্থা করা ।

৮. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে কিছু হাত খরচ দেওয়া এবং তাকে সেই টাকা তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন বৈধ খাতে খরচের অনুমতি দেওয়া ।

৯. ইসলামে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল তার অসাবধানতা বা বুদ্ধিমত্তার অভাবে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে তাতে ধৈর্য ধারণ করা । কখনো শাসন বা সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিলে ভারসাম্য বজায় রাখা ।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

 

ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় কি ?

১. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল যথাযথভাবে স্বামীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা নিজের আদব আখলাক ও সেবার মাধ্যমে স্বামীর মন জয় করা । এবং তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা । তবে শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ স্বামী করতে বললে হলে তাতে কৌশলে অপারগতা প্রকাশ করা ।

২. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীর সামর্থ্যের অতিরিক্ত কোনো চাপ না দেওয়া ।

৩. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল অনুমতি ছাড়া স্বামীর সম্পদ ব্যয় না করা ।

৪. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়া।‌

৫. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীর অনুমতি ব্যতীত নিজের কাউকে স্বামীর ঘরে আসতে না দেওয়া ।

৬. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীর অনুমতি ছাড়া নকল রোযা না রাখা। তেমনি ভাবে স্বামীর উপস্থিতিতে লম্বা সময় নফল নামাজ পড়তে হলে তার অনুমতি নেওয়া ।

৭. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীর সহবাসের জন্য আহবান করলে কোন শরয়ী বাধা না থাকলে তার আহবানে সাড়া দেওয়া ।

নবী কারীম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, কসম সেই সত্তার যার হাতে আমাদের প্রাণ ! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যখন বিছানায় আহ্বান করে কিন্তু সেই স্ত্রী যদি অস্বীকার করে নিঃসন্দেহে যে পর্যন্ত সে তার স্বামী ঐ স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট না হয় ততক্ষণ আসমানবাসী তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকে । ( সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৪৩৩)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন যে , স্বামী যখন স্ত্রীকে বিছানায় আহ্বান করে এবং সে না আসে । তার স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাত্রিযাপন করে । সেই স্ত্রীর প্রতি ফেরেশতারা ভোর হওয়া পর্যন্ত লানত করতে থাকে ।( সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৪৩২ )

৮. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীর থেকে শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ প্রকাশ পেলে আদবের সাথে তা বুঝিয়ে বলা । তার চেহারা নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য না করা ।

৯. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীকে মুরুব্বী হিসেবে মান্য করা এবং তার নাম ধরে না ডাকা ।‌ কারো সামনে স্বামীর বদনাম বা সমালোচনা না করা ।

১০. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল স্বামীর আত্মীয় ও আপনজনদের সাথে এমন ব্যবহার না করা যাতে তার মনে কষ্ট হয় । বিশেষত নিজের পক্ষ থেকে স্বামীর পিতা-মাতাকে সেবার পাত্র হিসাবে যথাসম্ভব শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেদমত করাই ঈমানী দায়ীত্ব ।

১২. ইসলামে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় হল সন্তানদেরকে মায়া-মমতার সাথে লালন-পালন করা এবং তাদের খানাপিনা ও অজু-গোসল, পেশাব-পায়খানা, নামাজ-কালাম ইত্যাদি সুন্নাত তরীকা শিক্ষা দেওয়া ।

 

ইসলামে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের উপকারিতা

ইসলামে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের উপকারিতা অনেক উপকার রয়েছে । ইসলামে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের উপকারিতা সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে সাওয়াব পাওয়া যায় ‌। একজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলেন, আমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে কি সওয়াব পাবে ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি মনে করো না ! সে যিনা করলে তার পাপ হতো না ? তাহলে হালাল ভাবে স্ত্রী সহবাস করার কারণে তারা সওয়াব পাবে না কেন‌? (সহীহ মুসলিম, ৭২০)

 

ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার

১. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল সপ্তাহে দুদিন যৌন মিলন পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায় ।‌

২. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল নিয়মিত যৌনমিলন ব্যথা উপশমে অব্যর্থ ভূমিকা রাখতে পারে ।

৩. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল নিয়মিত যৌন মিলন শরীরে Iga অ্যান্টিবডি সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।

৪. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল সহবাস ক্লান্তি দূর । করে মানসিক শান্তি আনে ।

৫. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল যৌন মিলনের পরবর্তী ঘুম আরাম ও প্রশান্তিদায়ক হয় ।‌

৬. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল সহবাস ক্লান্তি দূর করে। মানসিক শান্তি আনে

৭. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল প্রত্যেকবার যৌন মিলনের ফলে অন্তত পক্ষে ৮০ ক্যালোরি করে ক্ষয় হয় ।‌ যার ফলে ওজন ঝরানোর জন্য মোক্ষম পদ্ধতি হচ্ছে সহবাস ।

৮. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল যৌন মিলনের সময় হৃদস্পন্দন হার বৃদ্ধি পায় । ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ও কোষে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ।

৯. ইসলামে নিয়মিত সহবাসের আরো কিছু উপকার হল নিয়মিত যৌন মিলনের ফলে নারী-পুরুষের চেহারার মধ্যে লাবণ্যতা পাওয়া যায় । ইত্যাদি আরও নানাবিধ ফায়দা হাসিল হয় ।

 

ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ

ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ ফকিহ আবুল লাইস রহ: তার কিতাব বুস্তানে লিখেছেন, যে হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন, যে ব্যক্তি আশা করে যে তার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সুদীর্ঘকাল অটুট থাকুক সে জন্য সকালে এবং রাত্রের আহার করে । ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ ঋণ থেকে বেঁচে থাকে। খালি পায়ে না হাটে এবং স্ত্রীর সাথে ঘনঘন সহবাস না করে ।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ: বলেছেন শরীর অসুস্থ হয় চারটি কারণে, অতিরিক্ত কথা, অতিরিক্ত খাওয়া, অতিরিক্ত ঘুম, অতিরিক্ত সহবাস বা হস্তমৈথুন ।

স্বামী-স্ত্রী মাত্রাতিরিক্ত সহবাস করলে পরিণাম ভালো হয় না ।‌ অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে । যেমন-

(১) ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ হল অধিক বীর্যপাতের ফলে শরীর ও স্বাস্থ্য দুর্বল হয় ।
(২) ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ হল যৌন পিপাসা আস্তে আস্তে‌ লোপ পায়‌।
(৩) ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ হল গাল ভেঙ্গে যায় চক্ষু কোঠারাগত হয় । ধীরে ধীরে ধাতু দৌর্বল্য দেখা যায়।‌ এমন কি ধ্বজভঙ্গ রোগ হতে পারে ।
(৪) ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ হল অকালে যৌবন ও সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে এবং স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ে ।
(৫) ইসলামে অধিক সহবাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ হল অনেক সময় নারীরা রক্তহীনতার শিকার হয়ে তাদের শরীর ফেকাশে হয়ে যায় । চেহারার লাবণ্য এবং কমনীয়তা লোপ পায় ।

শরীয়তে সাধারনত প্রত্যেক কাজে মধ্যমপন্থাকে অবশ্যই পছন্দ করা হয়েছে । তাই সহবাসের ক্ষেত্রে সবাইকে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা উচিত । এখন প্রশ্ন হতে পারে সহবাসের ব্যাপারে কিভাবে মধ্যমপন্থার করব কিংবা এর মাপকাঠি কি ? এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় সহবাসে নির্দিষ্ট কোন মাপকাঠি নেই । তবে সপ্তাহে দুবার করা ভালো । পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার হলে, স্বামী এবং স্ত্রীর সহবাসের চাহিদা বেশি হলে আরো বেশিও করা যেতে পারে । তবে মাঝে- মধ্যে সহবাসের বিরতি দেওয়া জরুরি । তাহলে পরবর্তী সহবাসের আনন্দটা আরও বেশি পাওয়া সম্ভব । এজন্য প্রত্যেক বুদ্ধিমান মুসলিম স্বামী-স্ত্রী রুটিন করে যৌন মিলন করলে উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ ।

 

ইসলামে জীবন সুখী করার উপায়

ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় নারী পুরুষের দৈহিক মিলন সহজাত প্রবৃত্তি । সবার প্রধান রয়েছে মৌলিক চাহিদা ।‌ সুতরাং একে লজ্জা করা বা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সিস্টেম নেই । বিবাহের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী-পুরুষের সুষ্ঠু ও সহজাতভাবে মিলনের মাধ্যমে মানব জাতি বংশ বৃদ্ধি করা । এই সহবাস কিংবা সম্ভোগের উপর দিয়েই মানুষের জীবনের সকল সুখ- শান্তি নির্ভর করে । মিলন কিংবা সহবাস সফল হলে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ে পরম আনন্দ লাভ করে যা ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায়। সমানভাবে তৃপ্ত হলে দুজকার মেজাজ ফুরফুরে থাকে । দুজনার স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং দাম্পত্য জীবনও সুখের হয় ।

যে সমস্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে কিংবা অমিল দেখা দেয় তাদের বেশিরভাগই দাম্পত্য জীবনে সুখী নয় । আর ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় জন্য স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম জানা রাখা খুব জরুরী । ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় করার কৌশল কুরআন-হাদীসের বই থেকে রপ্ত করা বাঞ্ছনীয় । কোন বন্ধুবান্ধব কিংবা কোন বড় ভাই কে পর্যন্ত সেক্স এডুকেশন সেন্টারের প্রিন্সিপাল মনে করা যাবে না । ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় কেননা তারা আপনাকে ভুল তথ্য আপনাকে দিতে পারে ।

ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায়

ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে যোগ্য আলেম- অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারেন । পৃথিবীর কোথাও কেউ আপনাকে সহবাস এর পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি শেখাতে পারবে না । নিজে সতর্ক থাকুন ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায়। এই বিষয়ে লেখাপড়া করুন । তবে বাস্তবতার মুখোমুখি হলে অনেক কিছু সহজে বুঝতে পারবেন। স্মরণ রাখবেন কখনোই কোনো পর্নো ভিডিও দেখে তা বাস্তবে করতে যাবেন না । আপনার সঙ্গিনী বিরক্ত বোধ করবে । কোন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে । ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না ।

ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় পর্ন ভিডিওগুলো শুটিং করা । শুটিং আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক তফাৎ ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায়। তাছাড়া এগুলো হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী ও ইহুদি জনগোষ্ঠীর চক্রান্তমূলক কাজ । এগুলোর মাধ্যমে বিকৃত মস্তিষ্ক তৈরি করার পাঁয়তারা করছে ওরা । ওরা মুসলিম যুব সমাজকে ধ্বংস করতে আদা-জল খেয়ে নেমেছে । পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত নারী-পুরুষ কখনো সুখী হয় না । মাস্টার ব্রেশন বা হস্তমৈথুনে জড়িয়ে পড়ে । ধর্ষণ কিংবা যৌন কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ঘটায় । ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায় তাই বিকৃত রুচির অশ্লীল ওইসব পর্নো ভিডিও থেকে সাবধান ।

 

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম

১. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম হল ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা গ্রহণ করা । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ । ( সহীহ মুসলিম, ২২৩)

সহবাসের পূর্বে পরিছন্নতা অনেক ক্ষেত্রে একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে বাধ্য করে । ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম

২. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম হল শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করে রাখা ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ।

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম নাভির নিচের পশম পুরুষের জন্য ব্লেড- খুর ইত্যাদি দ্বারা কামিয়ে ফেলা উত্তম ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম। কোনরকম লোম নাশকের দ্বারাও‌ উপড়ে ফেলা জায়েজ আছে । মেয়েদের জন্য বিভিন্ন গাছের আঠা কিংবা বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ক্রিম দ্বারা উপড়ে ফেলায় সুন্নতের মোয়াফেক । মেয়েরা ব্লেড ব্যবহার করলে ঘনত্ব বাড়ে এবং কোমলতা হারিয়ে যায় ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম। তাই উপড়ে ফেলা উচিত ।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম নাভির নিচের পশম কামানোর সময় নাভির দিক থেকে শুরু করা নিয়ম । অন্ডকোষ তার নিচে ও মলদ্বারে পশম থাকলে সময় কমিয়ে ফেলা । নাকের মধ্যে পশম না উপড়িয়ে কাচী দ্বারা কাটা উত্তম । বগলের পশম উপড়ে ফেলাই উত্তম তবে কামানোও জায়েজ । কানের মধ্যে পশম থাকলে তাও কেটে ফেলবে । বুক ও পিঠের পশম কামানো জায়েজ আছে । তবে ভালো নয় । বগলের পশম ,নাভির নিচের পশম, গোপ ইত্যাদি প্রত্যেক সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করা মুস্তাহাব । শুক্রবার জুমার নামাজের আগেই এসব থেকে পাক সাফ হয়ে মসজিদে যাওয়া উত্তম । দুই সপ্তাহে একবার করলেও জায়েজ । একেবারে শেষ সীমা ৪০ দিন । এসব থেকে পাক-সাফ না হওয়া অবস্থায় ৪০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে গোনাহ হবে ।

৩. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম হল ভালো আতর বা সুগন্ধময় পারফিউম ব্যবহার করা । যা আপনার সঙ্গীকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ।যা সহবাস করার আগ্রহ জন্মাবে । হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহা বলেন আমি নবীজিকে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ।

অতঃপর তিনি তার স্ত্রী তার কাছে গমন করতেন । (সহীহ বুখারী,২৬৩ )

৪. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম হল লাইফ পার্টনার এর সামনে অন্য কারো সৌন্দর্যের প্রশংসা না করে শুধু তার প্রশংসা করুন ।ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম কেননা প্রিয় জন প্রিয় মানুষের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে। স্ত্রীর প্রশংসা করলে সে আরো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য খুশিমনে এগিয়ে আসবে ।

৫. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম হল মুখের ভেতর মিষ্টি চকোলেট, চুইনগাম,ঝাঁঝালো ফ্লেভারযুক্ত কোন খাবার যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ ,খেজুর ইত্যাদি রাখা । এ ধরনের খাবার কন্ঠ ও জিব্বাকে সতেজ রাখবে। মুখে দুর্গন্ধ থাকলে সেটা দূর করবে

৬. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম হল ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম সহবাসের পূর্বে স্ত্রীকে শৃঙ্গার করতে হবে । শৃঙ্গার মানে হচ্ছে স্ত্রীর পুরো শরীরে আদর করা । বিশেষ করে কপাল, দু ঠোঁট, জিহ্বা, দুটি স্তন , নাভি ,উরু , নিতম্ব ,ঘাড় ,কোমর , যোনির উপরের অংশ ইত্যাদি স্পর্শ কাতর স্থানে চুমু-খাওয়া , স্পর্শ করা , হাত দিয়ে ভাল করে মর্দন করা ।‌ দু-এক আংগুলের মাথা দিয়ে যোনির উপর বা ভেতরে ঢুকিয়ে হালকা ঘষাঘষি করা । ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম এতে সেটা পিচ্ছিল হয়ে যাবে । স্ত্রী দ্রুত উত্তেজিত হবে এবং সহজে তার অর্গাজম হতে সহায়তা করবে ।ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম তাই ইত্যাদি বিষয়কে যত সময় দিয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আদর করা সম্ভব ততই স্ত্রীকে দ্রুত ভালোবাসা ও তৃপ্তি দেওয়া সম্ভব।

 

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম

১. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম সহবাস শুরু করার পূর্বে নিয়ত সহীহ করে নেওয়া । অর্থাৎ এই নিয়ত করা যে এই হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করা দ্বারা হারামে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে । তৃপ্তি লাভ করা যাবে এবং তার দ্বারা কষ্ট সহিঞ্চু হওয়া ।‌ নেকী হাসিল হবে এবং সন্তান লাভ হবে ।‌

২. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম কোন শিশু বা পশুর সামনে সহবাসে রত না হওয়া ।

৩. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল পর্দা ঘেরা স্থানে সঙ্গম করা ।

৪. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল সঙ্গম শুরু করার পূর্বে শৃঙ্গার করা( চুম্বন, স্তন মর্দন) ইত্যাদি করা ।

৫. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল বীর্য, যৌনাঙ্গের রস ইত্যাদি মোছার জন্য এক টুকরা কাপড় রাখা ।

৬. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল বিসমিল্লাহ বলে কাজ শুরু করা ।

 

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের দোয়া

৭. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের দোয়া স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের দোয়া শয়তান থেকে পানাহ চাওয়া ।স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের দোয়া এই দোয়া পড়া-

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের দোয়া অনুবাদ: আমি আল্লাহর নাম নিয়ে এই কাজ শুরু করছি । হে আল্লাহ শয়তানকে আমাদের থেকে দূরে রাখ এবং যে সন্তান তুমি আমাদেরকে দান করবে তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখ । ( মুসলিম, হাদীস নং- ১৪৩৪)

৮. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের দোয়া সহবাস অবস্থায় বেশি কথা না বলা । প্রয়োজন অনুপাতে কথা বলা এবং সঙ্গীকে উৎসাহ মূলক বাক্য বলা। তাহলে আরো মধুর হবে সহবাস ।

৯. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম সঙ্গম অবস্থায় স্ত্রীর যোনির দিকে নজর না দেওয়া । তবে হযরত ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু সঙ্গম অবস্থায় স্ত্রী যৌনীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া উত্তেজনা বৃদ্ধির সহায়ক বিধায় এটাকে উত্তম বলতেন । এবং কখনো সখনো এটাই উত্তম ।

১০. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল হযরত ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু বীর্যপাতের সময় এই দোয়া পাঠ করতেন-

অনুবাদঃ হে আল্লাহ যে সন্তান তুমি আমাদেরকে দান করবে তার মধ্যে শয়তানের কোন অংশ তথা প্রভাব রেখো না । ( মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা )

১১. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বীর্যের প্রতি দীর্ঘদৃষ্টি না দেওয়া ।

১২. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল বীর্যপাতের পর স্বামীর নেমে না যাওয়া বরং স্ত্রীর উপর অপেক্ষা করা যেন স্ত্রী ও তার খায়েশ পূর্ণ মাত্রায় মিটিয়ে নিতে পারে । ( মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)

১৩. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল সংগম শেষে পেশাব করে নেওয়া জরুরি ।

১৪. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল সঙ্গমের পর সাথে সাথে গোসল করে নেওয়া উত্তম। অন্তত অজু করে নেওয়া ।

১৫. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল স্বপ্নদোষের পর বা একাধিক বার সঙ্গম করতে হলে পেশাব করে নিবে এবং যৌনাঙ্গ ধুয়ে নেওয়া ।

১৬. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল সঙ্গমের পর অন্তত কিছুক্ষণ ঘুমানো উত্তম ।

১৭. ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম হল সঙ্গমের বিষয়ও কারো নিকট প্রকাশ করা নিষেধ । এটা একদিকে যেমন নির্লজ্জতা, অন্যদিকে তেমন স্বামী স্ত্রীর হক নষ্ট করা।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

ইসলামে রমজান মাসে সহবাসের নিয়ম

ইসলামে রমজান মাসে সহবাসের নিয়ম হল রোজা রেখে দিনের বেলায় যৌন মিলন করলে রোজা ভেঙ্গে যায়, এ কারণে ইফতারির পর থেকে শুরু করে সেহরির আগ পর্যন্ত যে কোন সময় যৌন মিলন করা যাবে। তবে রমযানের দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি ঘুমানো কিংবা আদর সোহাগ, চুমু দেয়া, স্তন মর্দন ইত্যাদি জায়েয। কিন্তু তা অবশ্যই হতে হবে বীর্যপাত ব্যতীত কিংবা জোনিপথে কোনভাবে ঢুকানো যাবে না। ইসলামে রমজান মাসে সহবাসের নিয়ম ফরজ রোযা পালনকারী স্বামী-স্ত্রীর এমন কিছু করা জায়েয হবে না যাতে করে বীর্যপাত হয়ে যায়। কিছু লোক আছে যাদের বীর্যপাত দ্রুত হয়ে যায়। ইসলামে রমজান মাসে সহবাসের নিয়ম এমন স্বামী-স্ত্রী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফরজ রোযা পালনকালে স্ত্রীকে চুম্বন করা, আলিঙ্গন করা ইত্যাদি থেকে তাকে সাবধান থাকতে হবে।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ?

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ? স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের গোপনাঙ্গে মুখে দেওয়া প্রসঙ্গে কোরআন এবং হাদীসে স্পষ্ট কোনো বিধান বা নিষেধাজ্ঞা নেই ‌।‌ এজন্য এটাকি অকাট্যভাবে হারাম বলার কোন সুযোগ নেই । তবে এর মাঝে ইসলামী শিষ্টাচার বহির্ভূত ও ক্ষতিকর কিছু দিক রয়েছে ।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ? এক. যৌনাঙ্গ থেকে নির্গত নাপাক বীর্য-মযী ইত্যাদিতে জিহ্বা , মুখে ‌লাগবে । আর একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না ।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ? দুই. মানুষের শরীরের সবচেয়ে সম্মানিত অঙ্গ হল চেহারা আর যৌনাঙ্গ হল নাপাকির জায়গা । সুতরাং সম্মানিত মুখকে নাপাকির জায়গা স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয় । নির্লজ্জতার কাজ ।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ? তিন. মুখ দ্বারা আল্লাহর কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।‌ জিকির করা হয় । এই মুখ নাপাকি লাগানো এবং যৌনাঙ্গে মুখ দিয়ে চোষা অবশ্যই গর্হিত কাজ ।‌ মায়ের পেটে তো সন্তানকে আল্লাহ তাআলা নাভি দ্বারা খাবার দিয়েছেন । মুখকে পবিত্র রেখেছেন তার জিকির করার জন্য । এখন যদি মানুষ উল্টো করে তাহলে তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কে হতে পারে?

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ? চার. মুখের অনেক জীবাণু যৌনাঙ্গে বা যৌনাঙ্গের অনেক রোগ মুখের দিয়ে ভেতরে গিয়ে ভয়াবহ সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।‌ তাছাড়া ধারালো দাঁত দিয়ে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ?এসব কারণে ফকিহগণ এটাকে মাকরুহ বলেছেন। তবে সহবাসের পূর্বে নাপাক না লাগার শর্তে কিছু ফকিহ লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার (লেহন নয়) অবকাশ দিলেও এটাকে পরিহার করাকে উত্তম বলেছেন। প্রসিদ্ধ হানাফি ফকিহ বুরহানুদ্দীন মাহমুদ ইবন তাজুদ্দীন রহ. বলেন,

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ওরাল সেক্স : যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া কি হারাম ? অনুবাদ: যদি পুরুষ নিজের লজ্জাস্থান স্ত্রীর মুখে প্রবেশ করায় তাহলে তা মাকরুহ হবে। কেননা, মুখ কোরআন তেলাওয়াতের স্থান। সুতরাং এখানে লজ্জাস্থান প্রবেশ করানো অনুচিত।’ (আল্মুহীতুল বুরহানী ৮/১৩৪)

 

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময়

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময় এমন কিছু সময় আছে যখন সহবাস করা হারাম । এই নিষিদ্ধ সময় সহবাস করলে গোনাগার হতে হবে ।ইসলামে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময় যদি কেউ সঙ্গম করে ফেলে তাহলে তাওবা করতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময়।

 

মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে?

মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে? স্ত্রী যখন ঋতুবর্তী থাকে তখন যৌন মিলন করা যাবে না । ঐ সময়ে সহবাস করা হারাম । আল্লাহ তাআলা বলেছেন-

মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে? অনুবাদ: আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। (আল বাকারা – ২২২)

মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে? হাদীসেও এ ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কোরআন এবং হাদীস গবেষণা করে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এ তথ্য উদঘাটন করেছে যে নারীদের হায়েজের নির্গত রক্তে এক প্রকারের বিষাক্ত পদার্থ থাকে ।‌ যা শরীরের থেকে যাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর । অনুরূপভাবে ঋতুবর্তী কালে মহিলাদের লজ্জাস্থান ঋতুর রক্ত দ্বারা পরিপূর্ণ থাকার কারণে কুঞ্চিত হয়ে থাকে ।

মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে? এবং আভ্যন্তরীণ শিরা-উপশিরা সমূহ রক্তক্ষরণের দরুন সংকুচিত হয়ে থাকে । এ কারণে ঋতুবতী অবস্থায় সহবাস ক্ষতিকর এবং কখনো তা ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ‌। এর কারণে গর্ভাশয় জ্বালাপোড়া প্রভৃতি রোগ দেখা দিতে পারে । পুরুষাঙ্গে ঘা হতে পারে ।‌ এইডস এর ভয়ঙ্কর ভাইরাসের উৎপত্তি এই সমস্ত অপকর্মের ফল ।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

 

রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস করা যাবে কি ?

রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস করা যাবে কি অনুবাদ: সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা নিজদের সাথে খিয়ানত করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা কবূল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর।

আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য স্পষ্ট করেন যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।(বাকারা-১৮৭)

রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস করা যাবে কি রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস করা হারাম । তবে রমজান মাসে রাতে বেলা সহবাস করা যাবে । দিনের বেলা সহবাস করা নিষিদ্ধ । ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সঙ্গম করে ফেললে তাওবা করতে হবে এবং কাজা-কাফফারা আদায় করতে হবে ।

 

আরো বেশ কিছু সময়ে ইসলামে সহবাস করা নিষিদ্ধ ।

১. ইসলামে সহবাস করা নিষিদ্ধ হল ইতিকাফের সময় ।

২. ইসলামে সহবাস করা নিষিদ্ধ হল হজের ইহরাম বাঁধা অবস্থায় ।

আল্লাহ তাআলা বলেন হজের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস। এই মাসে যে লোক হজের ইহরাম করে নিবে তার জন্য স্ত্রী সহবাস পাপাচার ঝগড়া বিবাদ কোনো কিছুই বৈধ নয়। (সুরা বাকারা – ১৯৭)

৩. ইসলামে সহবাস করা নিষিদ্ধ হল স্ত্রীর সন্তান হওয়া পরবর্তী রক্ত বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ।

৪. ইসলামে সহবাস করা নিষিদ্ধ হল শরীরে জ্বর থাকা অবস্থায় ।

৫. ইসলামে সহবাস করা নিষিদ্ধ হল পতিতা নারীর সাথে ।‌

৭. ইসলামে সহবাস করা নিষিদ্ধ হল রাগ, চিন্তা ও ভয় ইত্যাদি সময়ে সহবাস করা অনুচিত ।

 

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময়

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময় ফকিহ আবুল লাইস রহ: স্বীয় কিতাব বুস্তানে লিখেছেন যে সহবাসের সর্বোত্তম সময় হলো শেষ রাত ইসলামে স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময়। কেননা রাতের শুরুতে পেট খাবার দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে । এ সময়ে সহবাসের সুখ স্থায়ী হয় না । শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত ।ইসলামে স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষরাতে বিতরের নামায আদায় করে অবসর হয়ে যাওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের প্রয়োজন হলে সেরে নিতেন। ইসলামে স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময় নতুবা জায়নামাজে শুয়ে পড়তেন । আর হযরত বেলাল রাদিআল্লাহু আনহু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ফজরের নামাজের সংবাদ দিতেন।

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময় ঈদের রাতে বা জুমার দিনে সহবাস করা উত্তম ।

ইমাম গাজ্জালী রহঃ এর মতে রাতের শুরুতে সহবাস করা মাকরূহ । কেননা সারারাত অপবিত্র অবস্থায় অতিবাহিত করতে হয় ইসলামে স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময়।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

 

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি সহবাসের পজিশনের ক্ষেত্রে ইসলামে শুধুমাত্র দু একটি পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন কড়াকড়ি বিধিনিষেধ নেই । প্রত্যেক ব্যক্তি তার সুবিধা ও ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে পারবে । ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি লাইফ পার্টনারের পুরো শরীর থেকে উপকৃত হতে পারে । তবে স্বাভাবিক পদ্ধতি হলো স্ত্রী নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপরে থাকবে । ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি প্রত্যেক প্রাণীই এই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সহবাস করে থাকে । পবিত্র কোরআনে বিষয়টিকে সুন্দর ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে-

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি অনুবাদ: তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া, যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। তারপর যখন বোঝা হয়ে গেল, তখন উভয়েই আল্লাহকে ডাকল যিনি তাদের পালনকর্তা যে, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব। (আল আরাফ – ১৮৯)

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতিআয়াতে কারীমা থেকে বোঝা গেল স্ত্রীর চিৎ হয়ে শয়ন করবে আর স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে উপগত হবে । এই পদ্ধতিতে স্ত্রীর শরীর স্বামীর শরীর দ্বারা ঢেকে যাবে । ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি এই পদ্ধতি সর্বাধিক শান্তি এবং স্বস্তিদায়ক । এই পদ্ধতিতে স্ত্রীকে কষ্ট সহ্য করতে হয় না আর গর্ভধারণের পক্ষেও এ পদ্ধতিটি অত্যন্ত উপযোগী ।

 

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল দাঁড়িয়ে ,বসে , শুয়ে , কাত হয়ে ,চিৎ হয়ে , ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল চেয়ার-টেবিলে বসে , সামনের দিক থেকে , পিছন দিক থেকে সহবাস করা যায় । একবার হযরত ওমর রাদিআল্লাহু আনহু নিজ স্ত্রীর সাথে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল পিছন দিক দিয়ে সামনের যোনিপথে সহবাস করে ফেললেন । তখন তার অন্তরে অনুভূতি জন্মালো যে এ পদ্ধতিতে সহবাসে শরীয়তের বিধান কি ? তাই হযরত ওমর রাদিআল্লাহু আনহু সকালে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু‌ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমিতো ধ্বংস হয়ে গিয়েছি ।

নবী কারীম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন কি হয়েছে ? তখন হযরত ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বললেন আমি গতরাতে সহবাসের দিক পরিবর্তন করে ফেলেছি । নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন উত্তর না দিতেই এক আয়াত নাযিল হয়ে গেল-

তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য প্রজনন ক্ষেত্র । তাই তোমরা স্বীয় প্রজননক্ষেত্রে‌ যেদিক থেকে ইচ্ছা হয় আসতে পারো । ( সূরা বাকারা, ২২৩)

আরো একটি বর্ণনা রয়েছে । হযরত জাবের রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, ইয়াহুদীরা একথা বিশ্বাস করতো যে যদি পিছন ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল দিক থেকে যোনিতে সহবাস করা হলে সন্তান ট্যারা হয়ে জন্মায় ।

এই কথার পরিপেক্ষিতে উক্ত আয়াতটি নাজিল হয় ।

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন পিছন দিক থেকে হোক বা সামনের দিক থেকে হোক অসুবিধে নেই । কেবল যোনীতেই হতে হবে । ( সহীহ বুখারি ৮/১৫৪)

হাদীসে এসেছে- স্বামীর ভর নিজের হাতের উপরে হবে, সিনা মিলাবে না। (বুখারী শরীফ হাদীস নং-৫১৮৯)

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি প্রয়োজনে শরীর মিলিয়ে করতে পারে।

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি স্ত্রীর পা উঠিয়ে ভাজ করে পায়ের পাতাদ্বয় নিতম্বদ্বয় এর নিকটবর্তী রাখবে। (বুখারী শরীফ-হাদীস নং ২৯১) অথবা তার দুটি পা ভাঁজ করে কাঁধে নিয়ে সহবাস করবে । এক্ষেত্রে কখনো-সখনো স্ত্রীর নিচে বালিশ রাখতে পারে ।‌ তাহলে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ স্বামীর সামনে আরো সহজভাবে প্রকাশ হয়ে পড়বে । সহবাসের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ার কিছু নেই । ঠান্ডা মাথায় ধীরে ধীরে কার্যক্রম চালানো কর্তব্য । মিলনে উভয়ের যেন পরিপূর্ণ সুখ অর্জিত হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা ।

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি রাসুলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে, তখন সে যেনো আবৃত থাকে, গাধা যুগলের মতো যেনো একেবারে নগ্ন না হয়ে যায়। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৯২১)

এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন ।‌ কেউ চাইলে সম্পূর্ণরূপে উলঙ্গ হতে পারে । তার সঙ্গীকে উলঙ্গ করাতে পারে । কোন গোনাহ হবে না । তবে উত্তম হলো একেবারে অনাবৃত না হওয়া । অন্তত গায়ে কোন উড়না, গামছা বা ডিজিটাল নাইট ড্রেস ব্যবহার করা। এতে সবকিছু দেখা, স্পর্শ করা যেমন সহজ হবে হাদীস অনুযায়ী আমল করাও সহজ হবে ।

 

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের হারাম পদ্ধতি

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের হারাম পদ্ধতি ইসলামে সহবাসের ক্ষেত্রে যত রকম স্টাইল করতে ইচ্ছে হয় সামনের যৌনীতে করতে হবে । কখনো‌ বায়ুপথে সহবাস করা যাবে না । এটি হারাম ।

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের হারাম পদ্ধতি, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন

যে ব্যক্তি ঋতুস্রাব গ্রস্থ স্ত্রীর সাথে বা স্ত্রীর গুহ্যদেশে সহবাস করলে বা গণকের কাছে এসে তার কথা বিশ্বাস করে নিল সে প্রকৃতপক্ষে মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ সবকিছু অস্বীকার করল । (জামে তিরিমিযি – ১৩৫)

তিনি আরো বলেছেন সেই ব্যক্তি অভিসপ্ত যে তার স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের হারাম পদ্ধতি।

ভিন্ন শব্দে আছে আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না, যে তার স্ত্রীর গুহ্যদেশে সহবাস করেছে। (আবু দাউদ , ২১৬৪)

অতএব পায়ুপথে সহবাস করলে অবশ্যই গুনাগার হতে হবে । গুনাহ থেকে তাওবা করা অতি জরুরী । তাছাড়া এই জঘন্য কাজে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের গোপনাঙ্গে বিভিন্ন রোগ, নারীর স্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে । যা অভিজ্ঞ ডাক্তারদের বক্তব্যে প্রমাণিত ।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

 

ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম

ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম হল গর্ভধারণের জন্য সহবাসের নির্দিষ্ট কোন পজিশন নেই ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল । ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম তবে যৌন মিলনের বহুল প্রচলিত ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল নারীর উপরে পুরুষ থাকা। যাকে মিশনারি পজিশন বলে । ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল পজিশনে সহজে শুক্র কনসেভ হতে সাহায্য করে। কারণ ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল নারী কোনরকম নড়াচড়া ছাড়াই বিছানায় পিঠ লাগিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম । এবং বীর্য দ্রুত বেগে তার নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছতে পারে । তাই বাচ্চা নেওয়ার জন্য স্টাইল ফলো করা যেতে পারে । ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম স্বামীর বীর্যপাত হওয়ার পর‌ স্বামী দেরী করে উঠে গেলেও স্ত্রী আরো দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকা উচিত ।

ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়মতাছাড়া ডগি স্টাইল‌ মানে নারী চার হাত-পায়ে ভর কুকুরের মতো উপুড় হয়ে থাকে এবং তাঁর পুরুষ-সঙ্গী পিছন দিক থেকে সহজে সহবাস করে । ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম সাধারণভাবে বোঝা যায় উল্লেখিত সহজ দুইটি পদ্ধতিতে সহজে বীর্য সার্ভিক্স পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম । এই দুটি পদ্ধতিতে দ্রুত বীর্য যোনী হয়ে সার্ভিক্স পর্যন্ত পৌঁছে । ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল পদ্ধতি ও ফলো করা যায় । নারী সঙ্গী তার পুরুষ সঙ্গীর কাঁধে তার পা তুলে দেবে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল। ‌অথবা নিচে কোল বালিশ দিয়ে পা ছড়িয়ে দিবে কিংবা ঊর্ধ্বে তুলে রাখবে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল । এতে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল তার যৌনাঙ্গ স্বামীর সামনে ভালো করে প্রকাশ হয়ে পড়বে । আর বীর্যপাত হলে বীর্য গুলো সরাসরি ভেতরে প্রবেশ করবে ।

ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম আর সহজে বাচ্চা কনসেভ হয়ে যাবে । উল্লেখিত তিনটি পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ফলাফল না পাওয়া গেলে আরও চেষ্টা করা দরকার কিংবা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত । তবে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল ছাড়াও উত্তেজিত ব্যপারটা প্রভাব করবে। এক্ষেত্রে দুদিন পর পর সহবাস করলে ১ মাসের মধ্যে কনসেভ হবেন ইনশাআল্লাহ। তবে বিভিন্ন পদ্ধতি কিংবা ডাক্তার যাই বলেন না কেন আল্লাহ পাকের ইচ্ছা না হলে কোন কিছুই কাজে আসবে না । ইসলামে বাচ্চা নেওয়ার জন্য ইসলামে স্ত্রী সহবাসের স্টাইল তাই পদ্ধতি নেওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দুআ করুন । আল্লাহ একমাত্র সন্তান দেওয়ার মালিক ।

 

ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম

ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম গর্ভাবস্থায় সহবাস করতে অনেকেই ইতঃস্তত বোধ করেন । ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম আবার অনেক নারী পুরুষ সহবাসের কারণে তার গর্ভের সন্তান কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয় কিনা সে চিন্তা করেন।‌

ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম তবে আশার কথা হলো ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস নিষেধ করা হয়নি। তেমনি গর্ভের সন্তানও কোনো ক্ষতির সম্মুখিন হবে না সহবাস করলে বলে চিকিৎসা বিজ্ঞান জানিয়েছে। ইসলামী স্কলারদের পক্ষ থেকেও সহবাস নিয়ে কোনো রকম বাধা আর কথা নেই । ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম বরং গর্ভ অবস্থায় সহবাস করা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য ভালো উপায়।‌ ডেলিভারির রাস্তা ক্লিয়ার থাকে ।‌ জরায়ুর মুখ খুলতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না ‌। ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম তবে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে সহবাসের সময় স্ত্রীর যাতে পেটে চাপ না লাগে । স্ত্রী যেন কোনো প্রকার কষ্ট কিংবা ক্ষতির স্বীকার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

ইসলামিক নিয়মে সহবাস, সহবাস এর দোয়া, সহবাসের সঠিক নিয়ম

 

ইসলামে সহবাসের পর করণীয় কি ?

১. ইসলামে সহবাসের পর স্বামী কিংবা স্ত্রী গোসল করে নেওয়া এটা আমরা সবাই জানি । নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, স্বামী যদি স্ত্রীর যোনির উপর সহবাস করার জন্য কর্মতৎপর হয়ে ওঠে । তাহলে তার ওপর গোসল গোসল ওয়াজিব হয়ে যাবে যদিও তার বীর্য নির্গত না হয় । (সহীহ মুসলিম)

২. ইসলামে সহবাসের পর প্রথমবার সহবাস শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় বার সহবাস শুরু করার পূর্বে অজু করে না থাকা মুস্তাহাব নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে-

তোমাদের কেউ সহবাস করার‌ পর যদি ২য় বার আবার সহবাস শুরু করতে চায় তাহলে সে যেন ওযু করে নেয়। এই অযু করা তার দ্বিতীয় সহবাসকে স্বাদময় করবে।‌ ( সহীহ মুসলিম – ১/১৭১)

৩. সহবাস শেষে গোসল না ইসলামে সহবাসের পর করণীয় কি করে বিলম্ব করার অবকাশ আছে । তবে ইসলামে সহবাসের পর করণীয় গোসল করে নেয়া উত্তম । অন্ততঃ সহবাস শেষে অযু করে নেয়া মুস্তাহাব । হযরত ওমর রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন যে-আমাদের কেউ সহবাস শেষে গোসল ছাড়াই ঘুমাতে পারবে কি না?

তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হ্যাঁ এটা তার জন্য অনুমতি আছে । তবে সহবাস শেষে অযু করে‌ নিবে ।‌ (সহীহ ইবনু হিব্বান ,২৩২ )

ইসলামে সহবাসের পর করণীয় কি ফকিহ আবুল লাইস সমরকন্দী রহ: লিখেছেন ‌সহবাসের পর লজ্জাস্থান নিজে ধৌত করা ইসলামে সহবাস উচিত । তাতে শরীর সুস্থ ইসলামে সহবাস থাকে । তবে এতোটুকু সময় বিলম্বিত করে ধৌত করে যেন ইসলামে সহবাসে পর শরীরের তাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে । হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু এর ভাষ্যমতে সহবাস শেষে প্রস্রাব করে নেওয়া ।‌ অন্যথায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই পুরুষাঙ্গ কুমকুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া । তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে । অগত্যা গরম পানি না পেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানিতে করলেও কোনো ক্ষতি নেই । ইসলামে সহবাসের পর করণীয় কি ? আর স্ত্রীর গোপনাঙ্গ ঠান্ডা পানি দ্বারা ধোয়া উত্তম । তাহলে তার যৌনাঙ্গ আরো সংকুচিত হয়ে টাইট হয়ে আসবে । যা পরবর্তী সহবাসের সময় বেশি ইনজয় হতে হেল্প করবে ।

 

কিভাবে সহবাস করলে পেটে ছেলে বাচ্চা আসে?

কিভাবে সহবাস করলে পেটে ছেলে বাচ্চা আসে? যদি এটাই সমাধান হতো তাহলে পৃথিবীর সবাই সেই নিয়ম ফলো করতো। আসলে আল্লাহ যা চান তাই ঘটে। আ্ল্লাহ যা দিবেন তাতেই সন্তেষ্ট থাকা উচিৎ। কিভাবে সহবাস করলে পেটে ছেলে বাচ্চা আসে এভাবে অনলাইনে সার্ করে কিংবা ডাক্টারদের সহায়তায় ও কাজ হবে না। কিংবা কবিরাজের দ্বারাও সম্ভব না।

স্ত্রী সহবাসের পর ফরজ গোসল কেন ও কিভাবে করবো ?

১. যৌন সম্ভোগ কিংবা স্ত্রী সহবাসের দ্বারা অথবা অন্য কোনো কারণে জোশের সাথে বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় ।

২. স্বপ্ন দেখুক বা না দেখুক রাতে অথবা দিনে কিংবা ঘুমন্ত অবস্থায় বীর্যপাত হলে ।

৩. স্বামী লিঙ্গের শুধু অগ্রভাগ অর্থাৎ কেবল খতনার স্থানটুকু স্ত্রীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করলে । ( যদিও কিছু বের না হয়) যেমন সামনের রাস্তায় এইরকম তেমনি মহাপাপ হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ পিছনের রাস্তায় প্রবেশ করায় তার ও এই হুকুম ।

৪. স্ত্রী লোকের হায়েজ কিংবা নেফাস হওয়ার পর যখন রক্ত বন্ধ হয় তখন গোসল ফরজ হয় ।

৫. স্ত্রীলোকের নেফাসের রক্তস্রাব বন্ধ হলে পাক পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল ফরজ হয় ।

 

ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা যা সমাজের কুসংস্কার

আমাদের সমাজে সহবাস সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে আবার এই ধারণাগুলোকে শরীয়তসম্মত বলে প্রচার করে মানুষের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তাই ফিতনা থেকে বাঁচতে যৌন মিলন সম্পর্কিত এইসব ভুল ধারণা ও কুসংস্কার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন-

১. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, সহবাস সম্পর্কিত প্রথম ভুল ধারণা হলো রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহবাস করা যাবে না
২. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, ফলবান গাছের নিচে সহবাস করা যাবে না
৩. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, রবিবারে সহবাস করা যাবে না
৪. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, বুধবারের রাত্রে স্ত্রীর সহবাস করা যাবে না
৫. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না
৬. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, স্ত্রীর জরায়ুর দিকে চেয়ে সহবাস করলে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত একটি ধারণা
৭. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না। এই কথার কোনো ভিত্তি নেই
৮. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, উলঙ্গ হয়ে সহবাস করা যাবে না
৯. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না
১০. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, ভরা পেটে যৌন মিলন করা যাবে না
১১. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, উল্টাভাবে সহবাস করা যাবে না
১২. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না
১৩. ইসলামে সহবাস সম্পর্কিত আমাদের কিছু ভুল ধারণা হল যে, পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে সহবাস করা যাবে না

 

ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় কোনটি?

ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় রয়েছে। ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় হল শেষ রাত। এর অন্যতম কারণ প্রথম রাতে সহবাস করলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অপবিত্র অবস্থায় পুরো রাত কাটাতে হয়। তাই ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় হল শেষ রাত। তাছাড়া যে কোন সময় আপনি সহবাস করতে পারবেন, শুধু সহবাসের নিষিদ্ধ সময় এ সহবাস না করলেই হল।

 

কিভাবে সহবাস করলে দ্রুত গর্ভধারণ করা যায়?

কিভাবে সহবাস করলে দ্রুত গর্ভধারণ করা যায়। এর একটাই সহজ সোজা সাপ্টা ট্রিক্স সেটা হল মাসিকের পর থেকে দুদিন পর পর সহবাস করতেই থাকবেন। যদি আল্লাহ চান তাহলে এক মাস অর্থাৎ ১৫ দিনের সহবাসের ফলে আপনার কিভাবে সহবাস করলে দ্রুত গর্ভধারণ করা যায় এর সমাধান পেয়ে যাবেন। তবে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতাও নরে না এটা কিন্ত ভুলে যাবেন না।

 

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *