আসছেন নতুন পাঁচ নায়িকা

আসছেন নতুন পাঁচ নায়িকা

জান্নাতুল ফেরদৌসের মা মৌসুমী ও শাবনূরের ভক্ত। তাঁর মা চাইতেন, বড় হয়ে তাঁদের মতো নায়িকা হোক মেয়ে। মায়ের মুখে শুনতে শুনতে মেয়ের মনেও অভিনেত্রী হওয়ার সাধ জাগে। পড়াশোনার পাশাপাশি বাফায় নাচ শিখতে থাকেন। বাসায় ফিরে মৌসুমী-শাবনূরদের গানের সঙ্গে হুবহু নাচতেন। সেই মেয়েকে বন্ধু, পড়শিরা এখন নায়িকা বলেই ডাকেন। জাহিদ হোসেনের সোনার চর সিনেমার তিনি নায়িকা। চলচ্চিত্রে তিনি স্নিগ্ধা নামেই পরিচিত। স্নিগ্ধা বললেন, ‘আমি কখনোই মৌসুমী, ওমর সানী, জায়েদ খান, শহীদুজ্জামান সেলিমকে দেখিনি। কখনোই ভাবিনি, প্রথম সিনেমায় তাঁদের সঙ্গেই অভিনয় করব। শুনেই ভয়ে ছিলাম। তাঁদের কাছ থেকেই আমি সবচেয়ে বেশি শিখেছি।’

স্নিগ্ধার মতো ঢালিউডে নাম লিখিয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তাঁদের কেউ আগে কখনো অভিনয়ই করেননি, কেউ নাটকে অভিনয় করলেও বড় পর্দায় এই প্রথম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী তাহুয়া লাভিব তুরা। ৯ বছর বয়স থেকে থিয়েটার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির পর থেকেই সিনেমায় সুযোগ খুঁজছিলেন। অভিনয়ের সুযোগ না পেয়ে ক্যামেরার পেছনে কাজ খুঁজতে থাকেন। এভাবেই টোকন ঠাকুরের কাঁটা ছবিতে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন। ফজলুল কবির তুহিনের সরকারি অনুদানের সিনেমা গাঙকুমারীতেও নেপথ্য কাজের অডিশন দিতেই গিয়েছিলেন। বদলে পেয়ে গেলেন নামভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ। অভিনয়ে কীভাবে আসা?

‘একদম নিজের ইচ্ছায়। আমার পরিবার চায়, আমি বিসিএস বা সরকারি কোনো চাকরি করি। কিন্তু আমাকে বেশি টানে অভিনয়,’ বলেন তাহুয়া। সিনেমায় তাঁর স্বামী হয়েছেন তারিক আনাম খান। একটি মজার ঘটনা শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের প্রয়োজনে আমাকে সাঁতার, লাঠিখেলা, নৌকা চালানো শিখতে হয়েছে। এক মাস মায়ের সঙ্গে সাঁতার শিখেছি। কিন্তু মা জানতেন না, আমি শুটিংয়ের জন্য শিখছিলাম। জানার পর আম্মু আমাকে যা বকা দিয়েছেন।’

পাঞ্জাবের চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ থেকে পড়াশোনা করলে কী হবে, সামিনা বাশারের ইচ্ছা অভিনেত্রী হওয়া। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন চলচ্চিত্র অভিনয় করলে ভালো কোনো প্ল্যাটফর্মেই করবেন। জ্যাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমা মনার অডিশনে টিকে গেলেও তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় দুই বছর। সামিনা বলেন, ‘আমি বিটিভিতে নাচতাম। একটি নাচের অনুষ্ঠানে অ্যাংকর হয়ে এসেছিলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। সেই থেকে তিশা আপু আমার আইডল। আমি লেখাপড়া করে তিশা আপুর মতো অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। নাটকে অভিনয় করলেও সিনেমার জন্য ভালো প্ল্যাটফর্মের অপেক্ষায় ছিলাম। জ্যাজের হাত ধরে মাহিয়া মাহি, সিয়াম, পূজারা ক্যারিয়ার গড়েছেন। প্রথম এই সুযোগ আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং।’ ডিসেম্বর থেকে মনার শুটিং শুরু হবে।

মানব দানব সিনেমার নবাগত নায়িকা রাশিদা জাহান। তিনি শালুক নামেই পরিচিত। শৈশব থেকে রূপকথার গল্পের নায়িকা হতে চাইতেন। এভাবেই একসময় বুঝতে পারেন, অভিনয় তাঁকে টানে। কিন্তু কীভাবে জগৎটাতে ঢুকবেন, বুঝতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু ফেসবুকে খোঁজ নিচ্ছিলাম কে কাজ করেন। কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে সাহস পেতাম না। চলচ্চিত্রে সুযোগ না পেয়ে নাটকে অভিনয় শুরু করি। এর মধ্যেই ভারতের বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে হঠাৎ অভিনয়ের সুযোগ পাই।’

মায়ের সঙ্গে ববিতা, কবরী, শাবনূর, মৌসুমীদের সিনেমা দেখতেন উষ্ণ হক। মজা করে মা তখন বলতেন, তোকে নায়িকা বানাব। কিন্তু আমলে নিতেন না কুমিল্লার মেয়ে উষ্ণ। তাঁর আগ্রহ রাজনীতি ও ব্যবসা। সেই তিনিই কিনা এক বছরে তিন সিনেমার নায়িকা। গত বছর ডিসেম্বরে নাম লিখিয়েছেন সিক্রেট এজেন্ট সিনেমায়। উষ্ণ বলেন, মিডিয়ার কাউকেই চিনতাম না। হঠাৎ একদিন ইনবক্সে নক করেন (শাফি উদ্দীন) শাফি ভাই, তিনিই প্রস্তাব দেন। অবাক হয়ে যাই। আম্মাকে জানালাম। শুরু হলো গ্রুমিং। এখন অপূর্ব রানা ভাইয়ের অনুদানের সিনেমা জলরং-এর শুটিং করছি।’

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *