আদা খাওয়ার উপকারিতা

আদা খাওয়ার উপকারিতা

আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যাই বলি না কেন, সেটাই কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা কম বলা হবে। সর্দি কাশি গলাব্যথা হলে প্রায় আমাদের মা-ঠাকুমাদের বলতে শুনেছি, একটু আদা-চা পান করার কথা। আসলে এটি শুধুমাত্র কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা একটি টোটকাই নয়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত আদা খাওয়ার উপকারিতা যে, আদা খেলে উপরিউক্ত সমস্যাগুলি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনেই আপনি হয়তো নিয়মিত কাঁচা আদা খেয়ে থাকেন। এক টুকরো কাঁচা আদা কিংবা আদা মিশিয়ে চা কিংবা রান্নায় মশলা হিসাবে আদার ব্যবহার, অনেকেই তা করে থাকেন।

 

খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা কথায় বলে ‘আদা সকল রোগ নিরাময়ে দাদা’। যার অর্থ আমাদের শরীরে সব রোগ নিরাময়ের জন্য খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি এজেন্ট বিদ্যমান। খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা যার কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা–মধু–জল সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর।

 

আদা কি?
আদাকে মূলত মসলা হিসেবেই আমদের ব্যবহার করা হয়। সে হিসেবে আদাকে মসলাই বলা চলে। মসলা হলেও এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। নানা রোগ নিরাময় ও পুষ্টি গুণে আদা এর জুড়ি মেলা ভার। দারুণ এক ভেষজ ওষধি হিসেবে প্রাচীন কাল থেকেই আদা এর ব্যবহার রয়েছে। আদাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং বি কমপ্লেক্স। এছাড়াও আছে ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, দস্তা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সিলিকন, বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খনিজ উপাদান। এ সকল উপাদান দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ও উপকারী।

আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা টি শরীরে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। তাই গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, গর্ভাবস্থায় আদা খেলে প্রিম্যাচিউর বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই গর্ভবতী নারীরা আদা এড়িয়ে চলবেন। আদা চা বেশি পান করলে মাইগ্রেনের সমস্যা কমার বদলে বাড়তে পারে৷ আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পাশাপাশি অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা এটি বেশি খেলে শরীরে চুলকানি ও শরীর ও মুখ ফুলে যেতে পারে। আদা পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে, যা ক্ষতির কারণ। আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পাশাপাশি যদি ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের ওষুধ সেবন করেন তাহলে আদা এড়ানোই ভালো। আদা বেশি খেলে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা এসব সমস্যাও কিন্ত দেখা দিতে পারে।

আদা খাওয়ার উপকারিতা

আসুন আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিশদে জেনে নেই আজ। আদা দারুণ উপকারী খাদ্য উপাদান। আদা এর রয়েছে নানাবিধ উপকার। এবার আমরা এর সেসব উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। আসুন জেনে নিই আদা খাওয়ার উপকারিতা কি কি।

১) সাধারণ সর্দি কাশি থেকে মুক্তি
আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের বিভিন্ন ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আদা খাওয়ার ফলে আপনি সহজেই সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই সর্দি বা কাশি হলে মা ও দাদা-দাদিরা আদা চা পান করার কথা বলেন।

 

২) বদহজমের সমস্যায় আদার উপকারিতা
অনেকেই দীর্ঘদিন বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। এতে পেটের ওপরের অংশে ব্যথা, মুখে টক ভাব, ক্ষুধামন্দা এসব লক্ষণ প্রকাশ পায়। আদা আমাদের পাকস্থলীর অম্লতা কমায়, যার ফলে প্রদাহ কম হয়। আদা এনজাইমের নিঃসরণ বাড়াতেও সাহায্য করে। ফলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়। রান্নায় আদার ব্যবহার বিশেষ স্বাদ দেয় এবং হজমেও সাহায্য করে।

 

৩) মাসিকের বেদনায় আদার উপকারিতা
অনেক মেয়েকে পিরিয়ড বা মাসিকের সময় তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। এই ব্যথা স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করে। অল্প পরিমাণে আদা অনেকটাই উপশম করে। আদা চা এ সময় একটু আরাম দেয়। তাছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

 

৪) জ্বর জ্বর, বমি বমি ভাব
অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি বমি ভাব হয়। এটাকেই আমরা মর্নিং সিকনেস বলি। তদুপরি, কিছু লোক অস্ত্রোপচার বা কেমোথেরাপির পরে বমি বমি ভাব হয়। এই বমি ভাব দূর করতে আদা খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যায়। উপরের বেশিরভাগ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আদার রস অল্প পরিমাণে গ্রহণ করা যেতে পারে। বাসে উঠলে যাদের বমি হয় তাদের মুখে এক টুকরো আদা দেখতে পাওয়া যায়।

৫) অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা
অস্টিওআর্থারাইটিস এমন একটি রোগ যাতে আমাদের শরীরের দুটি হাড়ের মধ্যে জয়েন্টগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়। এই অবস্থা, যাকে অস্টিওআর্থারাইটিস বলা হয়, সাধারণত বয়সের সাথে বিকশিত হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন কাঁচা আদা খেয়েছেন তাদের অস্টিওআর্থারাইটিস থেকে অন্যান্য রোগীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ব্যথা হয়েছে। মূলত এসব রোগের কোনো স্থায়ী সমাধান নেই। শরীরের ওজন ঠিক রাখতে এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ আদার রস, লেবুর রস, মধু মিশিয়ে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম এবং চায়ের মতো দিনে দুবার খেলে এর তীব্রতা কমে যায়। যেহেতু এ রোগের অন্যতম কারণ শরীরে পানি ও ক্যালসিয়ামের অভাব, তাই পানি পানের প্রবণতা বাড়াতে হবে।

 

৬) ওজন কমাতে আদার ব্যবহার
BMI (বডি মাস ইনডেক্স) একটি ওজন পরিমাপকারী চিহ্নিতকারী। একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক BMI 18.5 থেকে 25 এর মধ্যে হওয়া উচিত। আদা BMI কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নির্যাসটিতে প্রচুর শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে স্থূলকায় ব্যক্তিরা যারা আদা খেয়েছেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা অনুভব করেন। ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম হয়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আদা খাওয়ার উপকারিতা

৭) হৃদরোগ কমাতে আদা
আমাদের শরীরে LDL ( low density lipoprotein) নামক একটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে। যেটির পরিমাণ বেড়ে গেলে করোনারি আর্টারিতে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস নামক সমস্যা তৈরি হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে হৃদরোগের চিকিৎসার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যাদের হৃদরোগ আছে কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নেই তাদের এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ আদার রস, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে হবে। গ্যাসের সমস্যা থাকলে গরম পানিতে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে সাত দিন চায়ের মতো ছয় থেকে সাত বার খান। ধৈর্য ধরে নিয়মিত এই নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের সমস্যা দূর হতে থাকবে। আদা এই ক্ষতিকর LDL এর পরিমান কমাতে সহায়তা করে এবং এইভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়।

 

৯) ক্যানসার রোধে আদার উপকারিতা
কাঁচা নির্যাসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কাঁচা আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জিঞ্জেরল থাকে। এই জিঞ্জেরল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আদা প্রধানত গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার এবং কিছু ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাইহোক, এই বিষয়ে অনেক গবেষণা স্থান আছে।

 

১০) মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও অ্যালঝেইমার্স রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলস্বরূপ, বয়সের সাথে সাথে আমাদের আলঝেইমার রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অন্যান্য প্রাণীর উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে আদার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ মস্তিষ্কের প্রদাহের কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করে। তাছাড়া আদা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

১১)পেটের সমস্যায় ও গ্যাস্ট্রিকে
পেট খারাপের জন্য আদা অন্যতম সেরা ঘরোয়া প্রতিকার। পেট ফাঁপা প্রতিরোধে এটি খুবই উপকারী একটি খাবার। এটি পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করে। এছাড়াও, এর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট পেটের পেশীগুলিকে শিথিল করে, এইভাবে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে খেতে পারেন।

 

১২) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা হার্টের জন্য খুবই ভালো।

 

১৩) মলমূত্রজনিত সমস্যায়
মলমূত্রের কারণে কোনো সমস্যা হলে আদা খাওয়া যেতে পারে। এতে থাকা ভিটামিন-বি৬ প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ডায়রিয়ার জন্যও অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ।

 

১৪) বাতের ব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যায়
আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করে। ফলে বাতের ব্যথা দূর হয়। তাই যারা বাতের ব্যথায় ভুগছেন তারা নিয়মিত এটি খান। এতে বাতের ব্যথা কমবে। এছাড়াও, কিছু গবেষণা অনুসারে, আদা দিয়ে চা পান করা মাইগ্রেনের ব্যথায় খুব কার্যকর। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা হলে এর সঙ্গে লিকার চা বানিয়ে খেতে পারেন। এটি ব্যথা কমাতে পারে।

 

১৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ক্ষত দূর করতে
এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দাঁতের যত্নেও এটি খুবই উপকারী। দাঁতের ফাঁকে থাকা জীবাণু ধ্বংস করতে আদার রস খুবই উপকারী। এছাড়াও আদার প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরের বিভিন্ন ক্ষত সারাতে খুব ভালো কাজ করে। তাই শরীরের কোথাও কাটা বা ঘা হলে বেশি করে আদা খান। আদা বমি বমি ভাব দূর করতেও সাহায্য করে। বমি ভাব হলে তা খেলে বমিভাব দূর হয়। চুল পড়া বা কানের ব্যথা সহ বিভিন্ন সমস্যার জন্যও এটি ভালো কাজ করে। এক কথায় আদা বিভিন্ন সমস্যার অন্যতম সমাধান।

 

আদা খাওয়ার নিয়ম
কথায় আছে, কাঁচা আদার জুরি নেই। কিন্তু অনেকেই কাঁচা আদা খেতে পারেন না। কিন্তু তারপর কিভাবে রোগ নিরাময়? নিশ্চিন্ত থাকুন, আদা খাওয়ার নিয়ম আছে, তাই প্রচুর পরিমাণে আদা খেলে রোগটিও দূর হবে। পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ-

গরম চায়ে আদার রসঃ
বিশেষ করে শীতকালে আমরা আদা চা পান করতে পছন্দ করি। এটি শুধু গরম রাখতেই সাহায্য করে না পেটের সমস্যাও দূরে রাখতে সাহায্য করে। সকালে এক কাপ আদা চা – বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, দুর্বলতা দূর করে। চা করার সময় ফুটন্ত জলে এক টুকরো ছোট আদার রস সঙ্গে একটু লেবুর রস, একটি নিখুঁত শীতকালীন টনিক। নিয়মিত আদার চা কাশির সিরাপও বলা যেতে পারে।

স্যুপঃ
স্যুপ যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো তেমনি সুস্বাদু খাবারের চাহিদাও পূরণ করে। আপনি গাজর, মিষ্টি আলু এবং আরও আদা দিয়ে স্যুপ তৈরি করতে পারেন। এবং আপনি এটি একটু মশলাদার করতে ক্রিম যোগ করতে পারেন।

মাছের সঙ্গে আদাঃ
আদার অনেক গুণ রয়েছে। আদা ঠান্ডা ঘা কমানোর পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, পেশীর ব্যথা কমায়, হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। আমাদের বাঙালিদের কাছে মাছ খুবই প্রিয়। এটা ছাড়া খাবার সম্পূর্ণ হয় না। তাছাড়া আমরা সবাই একটু মশলাদার খাবার খেতে পছন্দ করি। তাই এখানে আদা খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী আদা দিয়ে মাছ রান্না করতে পারেন।

 

আদার সিরাপঃ
আদার সিরাপ সর্দি কাশির উপশম ঔষধ। বাড়িতে আপনি এই সিরাপ বানিয়ে নিতে পারেন।

উপকরণঃ-

১ / ৪ আদা
১ কাপ জল
১ কাপ চিনি
পদ্ধতিঃ-

উপকরণগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে ৩০ মিনিট ফোটান। এবার মিশ্রণটিকে ছাঁকনির মাধ্যমে ছেঁকে নিন। আপনার আদার সিরাপ রেডি।

আদা, লেবু ও মধুঃ
ওজন কমাতে ও শরীর ফিট রাখতে অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবু ও মধুর পানি পান করেন। এতে সামান্য আদা মেশালে তা স্বাস্থ্যের জন্য দ্বিগুণ উপকারী হবে। নির্যাসে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেট পরিষ্কার রাখে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। জ্বর, সর্দি-কাশির জন্য আদা, লেবু ও মধুর পানি খুবই উপকারী।

মিষ্টি খাবারের সঙ্গে আদাঃ
মিষ্টি খাবারের সাথে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন কুমড়ার তরকারি।

আদার অপকারিতা
আদার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। তবে এসব ঔষধি গুণ দেখে বেশি পরিমাণে খাওয়া শুরু করা সম্ভব নয়। তার আগে জেনে নিতে হবে এর থেকে কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না। অন্য সব কিছুর মতো আদারও কিছু অসুবিধা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অসুবিধাগুলো।

শেষে
যদিও আদা একটি দুর্দান্ত ভেষজ, তবে এটি পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। শুধু আদা নয় যেকোনো খাদ্য বা ভেষজ উপাদান বা ওষুধ পরিমিতভাবে গ্রহণ করা উচিত। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেলে বেশি উপকারী কিছু নেই। তাহলে ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। তাই সীমিত পরিমাণে আদা খান এবং এর ঔষধি গুণে সুস্থ থাকুন।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *